ETV Bharat / bharat

পাঞ্জাব একাই কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে : পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী - covid-19 precautions

FRBM আইনের আওতায় রাজ্যগুলির ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হোক । লকডাউনে থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আর্থিক প্যাকেজেরও দাবি করেন পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল ।

Manpreet Badal
Manpreet Badal
author img

By

Published : Apr 4, 2020, 1:21 PM IST

পঞ্জাব, 4 এপ্রিল : যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে, ভিডিয়ো কনফারেন্স মারফত অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, সেদিনই পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল ETV ভারতকে জানান, GST ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া ও এরিয়ার মিলিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রায় 6000 কোটি টাকা পায় পঞ্জাব । প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো কনফারেন্সের আগে ETV ভারত-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মনপ্রীত বলেন, "যদি কেন্দ্র GST-র বকেয়া মিটিয়ে দেয়, তাহলে পঞ্জাব কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একাই লড়তে পারবে ।"

রাজ্যগুলির সীমাবদ্ধ আর্থিক ক্ষমতার দিকে তাকিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, যে FRBM আইনের আওতায় রাজ্যগুলির ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হোক । লকডাউনে থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আর্থিক প্যাকেজেরও দাবি করেন তিনি । সাক্ষাৎকারের সম্পাদিত অংশ:

ETV ভারত : কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে কেন্দ্রের তরফে কী ধরণের সাহায্য চাইছেন আপনারা?

মনপ্রীত বাদল: আমরা কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে নিজেরাই লড়াই করতে পারি, যদি কেন্দ্র আমাদের বকেয়া GST ক্ষতিপূরণ ও এরিয়ার দিয়ে দেয় ।

ETV ভারত: কেন্দ্র যেখানে দ্বৈমাসিকভাবে রাজ্যগুলির বকেয়া দিয়ে দেয়, সেখানে GST ক্ষতিপূরণের বর্তমান পরিস্থিতি কী?

মনপ্রীত বাদল: কেন্দ্রকে আমাদের বকেয়া প্রায় 6000 কোটি টাকা দিতে হবে, কারণ আমাদের কিছু এরিয়ারও কেন্দ্র সরকারের কাছে ঝুলে রয়েছে । আমাদের মনে হয়, যদি আপনারা অন্যকিছু নাও দেন, অন্তত বকেয়াটা দিয়ে দিন ।

ETV ভারত : আপনারা কী আপনাদের রাজ্যের ঋণের উর্ধ্বসীমাতেও ছাড় চাইছেন?

মনপ্রীত বাদল: এক টাকাও কর আসছে না, পেট্রোল, ডিজেল বা মদের কোনও বিক্রি নেই । একইরকমভাবে কোনও সম্পত্তি কেনাবেচা না হওয়ায় স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ আয় নেই । এককথায়, কিছুই আসছে না । কোনও আয় না হলেও আমাদের নির্দিষ্ট খরচ, যেমন বেতন বা মজুরি দেওয়া রয়েছে । আমাদের অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দিতে হবে এবং ঋণও মেটাতে হবে । আমরা জানি না, ভবিষ্যতে রাজ্যটাকে কীভাবে চালাবো । ভারত সরকারও একই ধরণের পরিস্থিতির মুখে পড়েছে । কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে ঋণ নিতেও পারব না, আবার টাকাও ছাপতে পারব না । বিপরীতে, কেন্দ্র তার ঋণগ্রহণের উর্ধ্বসীমা বাড়াতে পারে, এবং টাকাও ছাপতে পারে । তাই কেন্দ্রের এইদিকটাও দেখা উচিত । এটা শুধু পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত রাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ৷ কেন্দ্রকে এখন দেখতে হবে, কী করে থমকে যাওয়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় । ওদের (কেন্দ্রকে )এখন এগুলিও ভাবতে হবে ।

ETV ভারত : আপনারা কী সরকারের তরফে বেতন ছাঁটাইয়ের কথা ভাবছেন, যা কয়েকটি অন্য রাজ্যও ভেবেছে?

মনপ্রীত বাদল: আমরা সেটা ভাবিনি, কারণ যেহেতু আমরা মার্চে কর আদায় করতে পেরেছিলাম, তাই বেতনও দিতে পারবো । যদিও এপ্রিলে কর আদায় না হলে, মে মাসে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে । তখন আমাদের বিষয়টা ভাবনাচিন্তা করতে হবে ।

পঞ্জাব, 4 এপ্রিল : যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে, ভিডিয়ো কনফারেন্স মারফত অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, সেদিনই পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল ETV ভারতকে জানান, GST ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া ও এরিয়ার মিলিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রায় 6000 কোটি টাকা পায় পঞ্জাব । প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো কনফারেন্সের আগে ETV ভারত-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মনপ্রীত বলেন, "যদি কেন্দ্র GST-র বকেয়া মিটিয়ে দেয়, তাহলে পঞ্জাব কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একাই লড়তে পারবে ।"

রাজ্যগুলির সীমাবদ্ধ আর্থিক ক্ষমতার দিকে তাকিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, যে FRBM আইনের আওতায় রাজ্যগুলির ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হোক । লকডাউনে থমকে যাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আর্থিক প্যাকেজেরও দাবি করেন তিনি । সাক্ষাৎকারের সম্পাদিত অংশ:

ETV ভারত : কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে কেন্দ্রের তরফে কী ধরণের সাহায্য চাইছেন আপনারা?

মনপ্রীত বাদল: আমরা কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে নিজেরাই লড়াই করতে পারি, যদি কেন্দ্র আমাদের বকেয়া GST ক্ষতিপূরণ ও এরিয়ার দিয়ে দেয় ।

ETV ভারত: কেন্দ্র যেখানে দ্বৈমাসিকভাবে রাজ্যগুলির বকেয়া দিয়ে দেয়, সেখানে GST ক্ষতিপূরণের বর্তমান পরিস্থিতি কী?

মনপ্রীত বাদল: কেন্দ্রকে আমাদের বকেয়া প্রায় 6000 কোটি টাকা দিতে হবে, কারণ আমাদের কিছু এরিয়ারও কেন্দ্র সরকারের কাছে ঝুলে রয়েছে । আমাদের মনে হয়, যদি আপনারা অন্যকিছু নাও দেন, অন্তত বকেয়াটা দিয়ে দিন ।

ETV ভারত : আপনারা কী আপনাদের রাজ্যের ঋণের উর্ধ্বসীমাতেও ছাড় চাইছেন?

মনপ্রীত বাদল: এক টাকাও কর আসছে না, পেট্রোল, ডিজেল বা মদের কোনও বিক্রি নেই । একইরকমভাবে কোনও সম্পত্তি কেনাবেচা না হওয়ায় স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ আয় নেই । এককথায়, কিছুই আসছে না । কোনও আয় না হলেও আমাদের নির্দিষ্ট খরচ, যেমন বেতন বা মজুরি দেওয়া রয়েছে । আমাদের অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দিতে হবে এবং ঋণও মেটাতে হবে । আমরা জানি না, ভবিষ্যতে রাজ্যটাকে কীভাবে চালাবো । ভারত সরকারও একই ধরণের পরিস্থিতির মুখে পড়েছে । কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে ঋণ নিতেও পারব না, আবার টাকাও ছাপতে পারব না । বিপরীতে, কেন্দ্র তার ঋণগ্রহণের উর্ধ্বসীমা বাড়াতে পারে, এবং টাকাও ছাপতে পারে । তাই কেন্দ্রের এইদিকটাও দেখা উচিত । এটা শুধু পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত রাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ৷ কেন্দ্রকে এখন দেখতে হবে, কী করে থমকে যাওয়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পুনরুজ্জীবিত করা যায় । ওদের (কেন্দ্রকে )এখন এগুলিও ভাবতে হবে ।

ETV ভারত : আপনারা কী সরকারের তরফে বেতন ছাঁটাইয়ের কথা ভাবছেন, যা কয়েকটি অন্য রাজ্যও ভেবেছে?

মনপ্রীত বাদল: আমরা সেটা ভাবিনি, কারণ যেহেতু আমরা মার্চে কর আদায় করতে পেরেছিলাম, তাই বেতনও দিতে পারবো । যদিও এপ্রিলে কর আদায় না হলে, মে মাসে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে । তখন আমাদের বিষয়টা ভাবনাচিন্তা করতে হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.