ফাগওয়ারা, 26 ডিসেম্বর : কৃষকদের আন্দোলনের জেরে হোটেলের পিছনের গেট দিয়ে পালাতে বাধ্য হলেন বিজেপি কর্মীরা ৷ গতকাল পঞ্জাবের ফাগওয়ারার ঘটনা ৷ কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে একটি হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা ৷ ঘেরাও করা হয় ওই হোটেল ৷ ওই হোটেলেই বিজেপির একটি অনুষ্ঠান চলছিল ৷ এরপর ঘটনাস্থানে পুলিশ আসে ৷ পুলিশের সহায়তায় হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে বেরতে পারেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজেপি নেতার ৷
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিজেপি কর্মীদের তরফে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল ওই হোটেলে ৷ সেখানেই কৃষকরা একত্রিত হয়ে হোটেল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ আন্দোলনরতরা জানায়, ওই হোটেলটি একজন বিজেপি নেতার ৷ ওই নেতার একটি গবাদি পশু ও মুরগি খাদ্যের কোম্পানি রয়েছে ৷ সেই কোম্পানির জিনিসও বয়কট করা হবে বলে জানায় বিক্ষোভকারীরা ৷
ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের সহ-সভাপতি কিরপাল সিং মুস্সাপুরের নেতৃত্বে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখায় ৷ কৃষকদের আন্দোলন চলায় হোটেলে ঢুকতেও পারেননি কয়েকজন বিজেপি নেতা ৷ বিজেপির মহিলা সংগঠনের জেলা সভাপতি ভারতী শর্মাকেও হোটেলে ঢুকতে দেয়নি ৷ যাঁরা হোটেলের ভিতরে ছিলেন তাঁরা পিছনের দরজা দিয়ে বেরতে বাধ্য হন ৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন জেলা ও ব্লক প্রেসিডেন্ট রাকেশ ডুগ্গাল , পরমজিত সিং পাম্মা ছাছোকি ও প্রাক্তন মেয়র অরুন খোসলা ৷
আরও পড়ুন : কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, 24 ঘণ্টায় মৃত 251
কিরপাল সিং মুস্সাপুরের অভিযোগ, বিজেপি নেতারা কৃষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল ৷ বিক্ষোভ চলাকালীন আন্দোলনরতরা মোদি সরকার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয় ৷ হোটেলের ভিতর একটি কৃষক সংগঠনের পতাকাও লাগিয়ে দেয় ৷
গতমাসের শেষ থেকেই কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা ৷ চলছে কেন্দ্রীয় সরকার , বিরোধী ও কৃষক সংগঠনের টানাপোড়েন ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবে কৃষকরা ৷ এরপর কেন্দ্রও বৈঠকে বসার জন্য চিঠি পাঠায় কৃষকদের ৷ তবে, আলোচনার পরই কৃষকরা এই আইনের ভালো দিকগুলি বুঝতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ৷