ETV Bharat / bharat

এখনও পর্যন্ত কোরোনা ভাইরাসের মিউটেশন হয়নি, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক - স্বাস্থ্যবিধি

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে কোরোনার তিন ধরনের স্টেইন দেখা গেলেও এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের কোনও মিউটেশন হয়নি ৷

Press conference of Health Ministry
স্বাস্থ্যদপ্তরের যুগ্ম সেক্রেটারি লাভ আগরওয়াল
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 9:22 PM IST

দিল্লি, 17 এপ্রিল: তিন ধরনের ভাইরাস স্টেইন দেখা গেলেও এখনও ভাইরাসের মিউটেশন হয়নি ৷ জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক । যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল বলেন, ‘‘দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে ৷ আমরা রিকম্বিন্যান্ট BCG, প্লাজ়মা থেরাপি ও মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মাধ্যমে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসা চালাচ্ছি ৷’’

দেশে কোরোনা আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হওয়া ও মৃত্যুর হার 80:20, যা বহু দেশের তুলনায় অনেক বেশি ৷ 1 এপ্রিল পর্যন্ত ভাইরাসের বৃদ্ধি বা সংক্রমণের হার ছিল 1.2 । 15 মার্চ থেকে 31 মার্চ পর্যন্ত তা ছিল গড়ে 2.1 ৷ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ 40 শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে ৷

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, তারা মে মাসের মধ্যে 10 লাখ RTPCR কিট তৈরির চেষ্টা করছেন, এর ফলে প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হবে ৷ এছাড়া গুজরাতের আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালকে 5 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে COVID-19 হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি ৷ 200-র বেশি ভেন্টিলেশন, ICU ছাড়াও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ PPE কিট, N-95 মাস্ক মজুত রাখা হয়েছে ৷ সংক্রমণ রুখতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালেই থাকছেন বিশেষ কোয়ারান্টাইনে ৷

লভ আগরওয়াল জানান, ‘‘লকডাউনের আগে কোরোনা আক্রান্তের দ্বিগুণ হওয়ার হার ছিল গড়ে তিনদিন ৷ অর্থ্যাৎ তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ৷ তবে শেষ সাতদিনের তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের পর তা গড়ে 6.2 দিনে দ্বিগুণ সংখ্যায় পৌছাচ্ছে ৷ 19টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার কেন্দ্রের তুলনায় কম ৷ এই রাজ্যগুলি হল কেরালা, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব ৷

তিনি আরও বলেন, "আমাদের বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই উচিত ৷" অন্যদিকে ICMR-র প্রধান উপদেষ্টা ডঃ গঙ্গাখেরকড় বলেন, ‘‘ ভারতে এই ভাইরাস প্রায় তিন মাস ধরে ছড়াচ্ছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত এর কোনও মিউটেশন দেখা যায়নি ৷’’ বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পুল টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, পুল টেস্ট পাঁচজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ তার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সকলের নমুনা ফের আলাদা করে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সবাইকেই কোরোনা আক্রান্ত নন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে ৷

দিল্লি, 17 এপ্রিল: তিন ধরনের ভাইরাস স্টেইন দেখা গেলেও এখনও ভাইরাসের মিউটেশন হয়নি ৷ জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক । যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল বলেন, ‘‘দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে ৷ আমরা রিকম্বিন্যান্ট BCG, প্লাজ়মা থেরাপি ও মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির মাধ্যমে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসা চালাচ্ছি ৷’’

দেশে কোরোনা আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হওয়া ও মৃত্যুর হার 80:20, যা বহু দেশের তুলনায় অনেক বেশি ৷ 1 এপ্রিল পর্যন্ত ভাইরাসের বৃদ্ধি বা সংক্রমণের হার ছিল 1.2 । 15 মার্চ থেকে 31 মার্চ পর্যন্ত তা ছিল গড়ে 2.1 ৷ পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ 40 শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে ৷

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, তারা মে মাসের মধ্যে 10 লাখ RTPCR কিট তৈরির চেষ্টা করছেন, এর ফলে প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ রোগীর পরীক্ষা করা সম্ভব হবে ৷ এছাড়া গুজরাতের আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালকে 5 দিনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে COVID-19 হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি ৷ 200-র বেশি ভেন্টিলেশন, ICU ছাড়াও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ PPE কিট, N-95 মাস্ক মজুত রাখা হয়েছে ৷ সংক্রমণ রুখতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালেই থাকছেন বিশেষ কোয়ারান্টাইনে ৷

লভ আগরওয়াল জানান, ‘‘লকডাউনের আগে কোরোনা আক্রান্তের দ্বিগুণ হওয়ার হার ছিল গড়ে তিনদিন ৷ অর্থ্যাৎ তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ৷ তবে শেষ সাতদিনের তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের পর তা গড়ে 6.2 দিনে দ্বিগুণ সংখ্যায় পৌছাচ্ছে ৷ 19টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার কেন্দ্রের তুলনায় কম ৷ এই রাজ্যগুলি হল কেরালা, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব ৷

তিনি আরও বলেন, "আমাদের বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই উচিত ৷" অন্যদিকে ICMR-র প্রধান উপদেষ্টা ডঃ গঙ্গাখেরকড় বলেন, ‘‘ ভারতে এই ভাইরাস প্রায় তিন মাস ধরে ছড়াচ্ছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত এর কোনও মিউটেশন দেখা যায়নি ৷’’ বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পুল টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, পুল টেস্ট পাঁচজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ তার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সকলের নমুনা ফের আলাদা করে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সবাইকেই কোরোনা আক্রান্ত নন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.