ETV Bharat / bharat

বিক্ষোভ-বিতর্কের মাঝেই কৃষি বিলে সই রাষ্ট্রপতির - Ramnath Kovind

চলতে থাকা কৃষক অসন্তোষের মধ্যেই বিতর্কিত কৃষি বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । ফলে 'বিতর্কিত' কৃষি বিল পরিণত হল আইনে ।

রামনাথ কোবিন্দ
রামনাথ কোবিন্দ
author img

By

Published : Sep 27, 2020, 9:08 PM IST

Updated : Sep 27, 2020, 9:16 PM IST

দিল্লি, 27 সেপ্টেম্বর : পঞ্জাব-সহ দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা । বিল প্রত্যাহারে দাবি উঠেছে । অনুমোদন না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলিও । এইসবের মধ্যেই আজ কৃষি সংক্রান্ত তিনটি বিলে সবুজ সংকেত দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । তৈরি হল আইন । ইতিমধ্যেই নতুন আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র ।

কৃষি ক্ষেত্রে “ঐতিহাসিক” এই সংস্কারে দেশের কৃষকরা ফসলের আরও ভালো দাম পাবেন বলে দাবি করছে কেন্দ্র ।

সংসদের বাদল অধিবেশনে কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি নিয়ে চূড়ান্ত নাটকীয়তা চলেছিল । লোকসভায় যেদিন বিলগুলি পাশ হয় সেদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন হরসিমরত কউর বাদল । শিরোমণি অকালি দলের হয়ে মন্ত্রিসভায় তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রতিনিধি । এরপর গতকাল BJP-র নেতৃত্বাধীন NDA জোট থেকে বেরিয়ে আসে শিরোমণি অকালি দল ।

কৃষকদের একাংশ মনে করছে এই বিলগুলি আইনে পরিণত হলে, তাঁরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির দয়ায় তাঁদের বেঁচে থাকতে হবে । কৃষকদের প্রতিবাদ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে । প্রতিবাদের জেরে শুক্রবার পঞ্জাবে প্রায় বনধের পরিস্থিতি তৈরি হয় । হরিয়াণাতেও বেশ কিছু সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা । "রেল রোকো" কর্মসূচির জেরে গতকাল পঞ্জাবের সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়ে গেছিল ।

আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ কৃষি বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ।

আরও পড়ুন : "অন্নদাতারা যেন অভুক্ত না থাকেন", বিল ফেরাতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ সুখবীরের

প্রসঙ্গত, বিলগুলি রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর, এগুলিতে সম্মতি না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল । বিলগুলি যাতে পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্যসভায় পাঠানো হয়, সেই আবেদন করেন তিনি । এই বিলগুলি পাশ হওয়া গণতন্ত্রের জন্য ও গোটা দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত নিরাশাজনক একটি দিন বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন অকালি দলের সুপ্রিমো ।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে কৃষক, কৃষিমজুর, আড়তদার, মান্ডিতে কর্মরত শ্রমিক ও দলিতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি । বলেছিলেন, “অন্নদাতারা (কৃষকরা) যেন অভুক্ত না থাকেন, রাস্তায় না ঘুমান । দয়া করে তাঁদের হয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুন । নাহলে তাঁরা আমাদের ক্ষমা করবেন না ।"

দিল্লি, 27 সেপ্টেম্বর : পঞ্জাব-সহ দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা । বিল প্রত্যাহারে দাবি উঠেছে । অনুমোদন না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলিও । এইসবের মধ্যেই আজ কৃষি সংক্রান্ত তিনটি বিলে সবুজ সংকেত দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । তৈরি হল আইন । ইতিমধ্যেই নতুন আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র ।

কৃষি ক্ষেত্রে “ঐতিহাসিক” এই সংস্কারে দেশের কৃষকরা ফসলের আরও ভালো দাম পাবেন বলে দাবি করছে কেন্দ্র ।

সংসদের বাদল অধিবেশনে কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি নিয়ে চূড়ান্ত নাটকীয়তা চলেছিল । লোকসভায় যেদিন বিলগুলি পাশ হয় সেদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন হরসিমরত কউর বাদল । শিরোমণি অকালি দলের হয়ে মন্ত্রিসভায় তিনিই ছিলেন একমাত্র প্রতিনিধি । এরপর গতকাল BJP-র নেতৃত্বাধীন NDA জোট থেকে বেরিয়ে আসে শিরোমণি অকালি দল ।

কৃষকদের একাংশ মনে করছে এই বিলগুলি আইনে পরিণত হলে, তাঁরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির দয়ায় তাঁদের বেঁচে থাকতে হবে । কৃষকদের প্রতিবাদ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে । প্রতিবাদের জেরে শুক্রবার পঞ্জাবে প্রায় বনধের পরিস্থিতি তৈরি হয় । হরিয়াণাতেও বেশ কিছু সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা । "রেল রোকো" কর্মসূচির জেরে গতকাল পঞ্জাবের সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়ে গেছিল ।

আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ কৃষি বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ।

আরও পড়ুন : "অন্নদাতারা যেন অভুক্ত না থাকেন", বিল ফেরাতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ সুখবীরের

প্রসঙ্গত, বিলগুলি রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর, এগুলিতে সম্মতি না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল । বিলগুলি যাতে পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্যসভায় পাঠানো হয়, সেই আবেদন করেন তিনি । এই বিলগুলি পাশ হওয়া গণতন্ত্রের জন্য ও গোটা দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত নিরাশাজনক একটি দিন বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন অকালি দলের সুপ্রিমো ।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে কৃষক, কৃষিমজুর, আড়তদার, মান্ডিতে কর্মরত শ্রমিক ও দলিতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি । বলেছিলেন, “অন্নদাতারা (কৃষকরা) যেন অভুক্ত না থাকেন, রাস্তায় না ঘুমান । দয়া করে তাঁদের হয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুন । নাহলে তাঁরা আমাদের ক্ষমা করবেন না ।"

Last Updated : Sep 27, 2020, 9:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.