দিল্লি, 11 সেপ্টেম্বর : যখন পড়ুয়াদের জীবনের সঙ্গে শিক্ষা সঠিকভাবে জড়িত হয়, তখন তাঁদের জীবনের উপর তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে । জাতীয় শিক্ষানীতি, 2020 ও একুশ শতকের স্কুল শিক্ষব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সম্মেলনে এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । পাশাপাশি, নতুন যুগের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য পাঁচটি নীতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি । কীভাবে জাতীয় শিক্ষা নীতি, 2020-র সঠিক প্রয়োগ করা যায়, সেই বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি ।
আজ থেকে শুরু হল জাতীয় শিক্ষানীতি, 2020 ও একুশ শতকের স্কুল শিক্ষব্যবস্থা সংক্রান্ত এই সম্মেলন । চলবে আগামী কাল পর্যন্ত । সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, শিক্ষাবিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় ধোতরে ও বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা ।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যখন চারিদিকে শিক্ষার আলো বিরাজ করে, তখন পড়ুয়াদের মধ্যে তা একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে । শুধু পড়ুয়াদের মধ্য়েই নয়, সমাজের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে । নতুন যুগের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সহজ করা ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করার দিকে আমাদের জোর দিতে হবে ।" এর জন্য পাঁচটি মূলমন্ত্রও বলেন তিনি , "সংযুক্তিকরণ, অন্বেষণ, অভিজ্ঞতা, প্রকাশ করা ও উৎকর্ষতা অর্জন করা ।"
আরও পড়ুন : শিক্ষানীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলেও তা হবে সামান্য : প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন , "দেশের প্রতিটি এলাকার কিছু বিশেষত্ব রয়েছে । কিছু প্রচলিত শিল্প রয়েছে । এর জন্য় দরকার দক্ষতা ও নৈপুণ্য । পড়ুয়ারা নিজেদের এলাকার ওই শিল্পগুলিকে দেখবে ও শিখবে, তাতে তাদের ওই শিল্পের সঙ্গে আত্মিক টান তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে তারা ওই শিল্পে যোগ দিতে আগ্রহী হবে ।"
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, জাতীয় শিক্ষানীতিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে পাঠক্রম কমিয়ে এই ধরনের মৌলিক বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া যায় । জাতীয় শিক্ষানীতি, 2020-র মধ্যে দিয়ে একটি দীর্ঘ সময়ের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং এটির ফল আগামী দিনগুলিতে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি ।
আরও পড়ুন : "নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি স্পষ্ট নয়, পুরো দেশে প্রযোজ্য হতে পারে না"