দিল্লি, 29 মে : আর মাত্র 24 ঘণ্টা । আগামিকালই দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি । তার আগে মন্ত্রিসভা কেমন হবে, তা নিয়ে দফায় দফায় চলল বৈঠক। এমন কী, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার রূপরেখা ঠিক করতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি ।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য কে কে হবেন, তা নিয়ে BJP-র অন্দরেও কৌতূহল বাড়ছে। দলের নেতারাই জানাচ্ছেন, পুরো বিষয়টি মোদি এবং শাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না । চূড়ান্তভাবে এখনও কিছু জানা না গেলেও, সব থেকে বেশি জল্পনা একজনকে নিয়ে । তিনি অমিত শাহ । এই মুহূর্তে দলের নম্বর টু-কে মোদি মন্ত্রিসভায় আনবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে । অনেকে বলছেন মন্ত্রী হলে অমিতকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ।
অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় গেলে দল কে সামলাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও এখন স্পষ্ট নয়। RSS-এর একাংশ অবশ্য চাইছে, অমিতই সংগঠনের দায়িত্বে থাকুন। কারণ শুধু নিজে নন, অন্যদের নিয়ে কাজ করার মানসিকতাও তাঁর প্রশংসাযোগ্য । শাহের উপস্থিতি দলের অন্যদের চাঙ্গা করতেও সাহায্য করে । রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত বার দিল্লি নতুন ছিল মোদি-শাহের কাছে। অরুণ জেটলিদের পরামর্শ নিতে হয়েছিল মন্ত্রী তালিকা চূড়ান্ত করতে। পাঁচ বছর পরে আর তা প্রয়োজন নেই। তার উপরে জেটলি অসুস্থ। সুষমা স্বরাজও ভোটে লড়েননি। সে ক্ষেত্রে এই দুই নেতা মন্ত্রী না হলে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে আসতে পারেন রাজনাথ সিং । দায়িত্ব বাড়তে পারে মোদির 'অত্যন্ত কাছের' পীযূষ গয়ালের মতো নেতাদের।
আবার সুষমাকে যদি মন্ত্রী করতে হয় তাহলে তাঁকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনতে হবে। কারণ, অমিত শাহ, রবিশংকর প্রসাদ, স্মৃতি ইরানির মতো রাজ্যসভার সাংসদরা এ বারে লোকসভায় জিতে এসেছেন। রাহুল গান্ধিকে আমেথিতে হারানোর পর স্মৃতিকেও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হবে সে কথা বলাই চলে। প্রকাশ জাভড়েকর, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা মন্ত্রিসভায় থাকছেন তা বলাই চলে । আর আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ-সহ রাজ্যগুলিতে বাড়তি জোর তো থাকবেই । BJP বিপুল ভোট পাওয়ায় শরিকদের দর কাষাকষির সুযোগ অনেকটাই কমে গেছে । যদিও দলীয় সূত্রে খবর, শরিকদের চটাতে চান না মোদি-শাহরা ।