পিনাকা একটি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার ৷ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজ়েশন ভারতীয় সেনার জন্য এই লঞ্চার তৈরি করে ৷ পিনাকা মার্ক-1 40 কিলোমিটার দূর থেকে ও পিনাকা মার্ক-2 75 কিলোমিটার দূর থেকে আক্রমণ করতে সক্ষম ৷ 44 সেকেন্ডে 12টি রকেট নিক্ষেপ করতে সক্ষম পিনাকা ৷ এই সিস্টেমটি টাট্রা ট্রাকে বহন করা হয় ৷ কার্গিল যুদ্ধের সময়ও পরিষেবা দিয়েছিল পিনাকা ৷ পাহাড়ের মতো উঁচু জায়গায় শত্রুপক্ষের ঘাঁটিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছিল ৷ ভারতীয় সেনায় বিশাল পরিমাণে রয়েছে পিনাকা ৷
2014 সালের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয় ৷ বৃহত্তর রেঞ্জ ও নিখুঁত উচ্চমানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চলছে ৷ 2019 সালের হিসাব অনুযায়ী, এই সিস্টেমের নতুন উচ্চমানের গাইডেড মিজ়াইল ভার্সনকে উৎক্ষেপণ পরীক্ষা করা হয় ৷ যার রেঞ্জ ছিল 90 কিলোমিটারেরও বেশি ৷
রকেট লঞ্চারের উন্নয়ন
ভারতীয় সেনা রাশিয়ায় তৈরি BM-21 'গ্র্যাড' লঞ্চার ব্যবহার করে ৷ 1981 সালে বেশি দূরত্ব পর্যন্ত আক্রমণের জন্য আর্টিলারি সিস্টেমের প্রয়োজন বোধ করে ভারতীয় সেনা ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দু'টি কনফিডেন্স বিল্ডিং প্রোজেক্টের উপর অনুমোদন দেয় ৷
1986 সালে এই উন্নয়নের কাজ শুরু হয় ৷ এর বাজেট ছিল 26.47 কোটি টাকা ৷ এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল 1992 সালের ডিসেম্বরে ৷ এই সিস্টেমকে উন্নতমান করার কাজটিতে মূল দায়িত্ব ছিল DRDO-র পুনের ল্যাবরেটরি আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট ৷
মোড অফ অপারেশন
অটোনমাস মোড, স্ট্যান্ড অ্যালোন মোড, রিমোট মোড ও ম্যানুয়াল মোডে কাজ করে পিনাকা ৷
শুধুমাত্র ভারতীয় সেনা এই পিনাকা রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে ৷
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
আরও উন্নত মানে তৈরির জন্য পিনাকা নিয়ে এখনও কাজ চলছে ৷ ইজ়রায়েল মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি DRDO-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে পিনাকার ট্র্যাজেক্টরি কারেকশন সিস্টেম তৈরির কাজ করছে ৷