তিরুবনন্তপুরম, 12 জুলাই : 25 মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে 60টিরও বেশি শিশুর আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে কেরালায় । যা ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে । স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না করতে পাঠায় এক অদ্ভুত প্রবণতা তৈরি হচ্ছে, এই গৃহবন্দী পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে মানসিচ চাপের মুখে পড়ছে ছোটরা ।
এ'বিষয়ে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ নিয়ে অভিভাবকদের বকাঝকা সহ বিভিন্ন কারণে রাজ্যের শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে । শিশু মনে এই হতাশা দূর করতে এবং অভিভাবকদের সতর্ক করতে একটি টেলিযোগাযোগ ফেসিলিটি চালু করতে চলেছে কেরালা সরকার । মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, “শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতার ক্রমবর্ধমান উদাহরণ দেখা গিয়েছে যা পরবর্তীতে অত্যন্ত গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে । লকডাউনের শুরু থেকে এ'পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে 18 বছরের কম বয়সী 66 টি শিশু নিজেদের জীবন শেষ করে দিয়েছে । লকডাউনের কারণে বিদ্যালয়গুলি এখনও চালু হয়নি, তাই শিশুরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বা নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারছে না ।” অভিভাবকেরা বাচ্চাদের ভালোর জন্যই বকাঝকা করলেও, তা যাতে কোনওভাবেই তরুণ মনে ক্ষতি না করে তা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
শিশুদের মানসিক চাপ সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে, 12 থেকে 18 বছর বয়সীদের জন্য সরকারি ORC (আওয়ার রিসপন্সিবিলিটি টু চিলড্রেন প্রোগ্রাম)-এর আওতায় “চিরি'আটেলি-কাউন্সেলিং” উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে । কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, মনো-সামাজিক সহায়তায় এখনও পর্যন্ত 68,814টি শিশুর কাছে পৌঁছানো গিয়েছে এবং 10,890টি শিশুকে কাউন্সেলিং করা হয়েছে ।বাচ্চাদের আচরণে কিছু অসংগতি দেখলেই জেলা মনো-সামাজিক সহায়তা ডেস্কে সে'বিষয়ে জানানোর জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন তিনি ।
শিশুদের যে কোনও প্রয়োজনে সহায়তা করতে 14 টি জেলার প্রত্যেকটিতে স্টুডেন্ট পুলিশ ক্যাডেটদের 15 সদস্যের একটি করে দল গঠন করা হবে । মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, শিক্ষাকে কোনও প্রতিযোগিতা নয়, বরং জ্ঞান অর্জনের একটি উপায় হতে হবে । এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে, রাজ্যে শিশু আত্মহত্যার বিষয়ে গবেষণা চালানোর জন্য রাজ্য সরকার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসেস ডিজিপি আর শ্রীলেখার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে ।