দিল্লি, 20 মে : 1 মে থেকে 1,813টি 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেন চালিয়েছে ভারতীয় রেল । দেশজুড়ে 22 লাখ পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরানো হয়েছে বলে জানানো হয় আজ ।
1,813টি ট্রেনের মধ্যে 301টি ট্রেনে যাত্রাপথে রয়েছে । বাকি 1,512টি ট্রেন গন্তব্যস্থানে পৌঁছে গিয়েছে বলে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয় । এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেন গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে । সেখানে পৌঁছেছে 912টি ট্রেন । এরপর বিহারে 398টি । প্রায় 583টি ট্রেন গুজরাত থেকে ও 320টি ট্রেন মহারাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ।
গতকাল একদিনে 204টি 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেন চলেছে বলে টুইট করে জানান রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল । তিনি আজ টুইট করেন, "গতকাল 200টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে কথা দিয়েছিল ভারতীয় রেল । যাত্রী পরিষেবায় গতকাল রেকর্ড 204টি ট্রেন চালানো হয়েছে ।" গতকাল ভারতীয় রেলের তরফে বলা হয়, এই ট্রেনগুলি চলাচলের জন্য গন্তব্য রাজ্যগুলির সম্মতির প্রয়োজন নেই ।
-
प्रवासी कामगारों के लिये और बड़ी राहतः श्रमिक स्पेशल ट्रेनों की संख्या की जायेगी दोगुनी, अभी तक चली कुल 1,800+ श्रमिक स्पेशल ट्रेन।
— Piyush Goyal Office (@PiyushGoyalOffc) May 20, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
कल चलाई गयी 204 ट्रेन, और अगले दो दिनों में ये संख्या बढकर होंगी 400 ट्रेन प्रतिदिन। pic.twitter.com/Ol4oGpzKrt
">प्रवासी कामगारों के लिये और बड़ी राहतः श्रमिक स्पेशल ट्रेनों की संख्या की जायेगी दोगुनी, अभी तक चली कुल 1,800+ श्रमिक स्पेशल ट्रेन।
— Piyush Goyal Office (@PiyushGoyalOffc) May 20, 2020
कल चलाई गयी 204 ट्रेन, और अगले दो दिनों में ये संख्या बढकर होंगी 400 ट्रेन प्रतिदिन। pic.twitter.com/Ol4oGpzKrtप्रवासी कामगारों के लिये और बड़ी राहतः श्रमिक स्पेशल ट्रेनों की संख्या की जायेगी दोगुनी, अभी तक चली कुल 1,800+ श्रमिक स्पेशल ट्रेन।
— Piyush Goyal Office (@PiyushGoyalOffc) May 20, 2020
कल चलाई गयी 204 ट्रेन, और अगले दो दिनों में ये संख्या बढकर होंगी 400 ट्रेन प्रतिदिन। pic.twitter.com/Ol4oGpzKrt
কেন্দ্রীয় সরকার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি জারি করেছে । সেখানে বলা হয়েছে, এই জাতীয় ট্রেন চালানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরামর্শ নিয়ে রেলমন্ত্রক অনুমতি দেবে । গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্র অভিযোগ করে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের মতো কয়েকটি রাজ্যের বহু মানুষ বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে । কিন্তু, তারা বিশেষ ট্রেনের অনুমতি না দেওয়ায় লাখ লাখ পরিযায়ী মানুষ হেঁটে বাড়ি ফেরার রাস্তা বেছে নিয়েছে । যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই রাজ্যগুলি ।
কেন্দ্রের নেওয়া এই নতুন নিয়ম পরিযায়ীদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়াকে সহজ করবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা । শুধুমাত্র যেখান থেকে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেই রাজ্যের অনুমোদন থাকলেই হবে ।
ভারতীয় রেলের তরফে আরও জানানো হয়, 1 জুন থেকে প্রতিদিন 200টি শীতাতপহীন দ্বিতীয় শ্রেণির স্লিপার ক্লাস ট্রেন চালু করা হবে । এটি পরিযায়ীদের নিজ নিজ বাড়ি পৌছাঁতে সহায়তা করতে পারে । বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় কেন্দ্র । বলা হয়, তারা সকলেই শীঘ্রই নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেতে পারবে । বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এতে বলা হয়, "এমন প্রচেষ্টা করা হবে যে, তাদের থাকার জায়গা থেকে কাছাকাছি মেইনলাইনের রেল স্টেশন থেকে যেন তারা ট্রেন ধরতে পারে ।"
আধিকারিকদের মতে, যদিও ভারতীয় রেল প্রতিদিন 300টি ট্রেন চালানোর ক্ষমতা রাখে । কিন্তু গন্তব্য রাজ্যগুলি পর্যাপ্ত সংখ্যক অনুমোদন না পাওয়ায় কম ট্রেন চালাতে বাধ্য হচ্ছে । এই ট্রেনগুলিতে আগে 1,200 যাত্রী নিয়ে যাওয়া হলেও বেশি সংখ্যক শ্রমিককে বাড়ি পৌঁছাতে বাড়ানো হয়েছে যাত্রী সংখ্যা । এখন এক একটি ট্রেনে 1,700জন করে যাত্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এই পরিষেবা চালুর সময় একটিই গন্তব্য স্টেশন ছিল । তবে এখন গন্তব্য রাজ্যে তিনটি স্টেশনে ট্রেনগুলি দাঁড়াবে বলে অনুমতি দেয় ভারতীয় রেল ।