দিল্লি, 20 সেপ্টেম্বর : উদ্ভূত কোরোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির বকেয়া GST মেটানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র । তবে এর জন্য রাজ্য়গুলি যে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বে, তা মেটানোর জন্য দু'টি বিকল্পের কথা বাতলেছিলেন নির্মলা সীতারমণ । রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিশেষ উইন্ডোর মাধ্যমে রাজ্য়গুলির ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল । বলা হয়েছিল, রাজ্যগুলিকে সঙ্গত হারে 5 বছরের জন্য 97 হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে অথবা ওই বিশেষ উইন্ডোর মাধ্যমে মোট 2.35 লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগ মিলবে । রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেছিল কেন্দ্র ।
GST কাউন্সিলের এই সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে আজ 21 টি রাজ্য নিজেদের মত জানিয়েছে । 21 টি রাজ্যই প্রথম বিকল্পটি বেছে নিয়েছে । অর্থাৎ, সঙ্গত হারে 5 বছরের জন্য 97 হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে । কিন্তু পুদুচেরি ছাড়া আর কোনও কংগ্রেস শাসিত রাজ্য আজকের তালিকায় ছিল না । বাকি কংগ্রেস ও বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি এখনও তাদের সিদ্ধান্ত জানায়নি বলে সূত্রের খবর ।
GST কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকের দিন ধার্য হয়েছে 5 অক্টোবর । ওই দিনের মধ্যে যদি বাকি রাজ্যগুলি নিজেদের সিদ্ধান্ত না জানায়, তবে তাদের 2022 সালের জুন মাস পর্যন্ত বকেয়া GST পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।
প্রসঙ্গত, বকেয়া GST আদায়ের জন্য চলতি সপ্তাহে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির সাংসদরা । বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তৃণমূল ছাড়াও আম আদমি পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি, NCP ও DMK-র সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন : "কেন্দ্রের উপর আস্থা হারাচ্ছি", GST নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন হবে তিন লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে GST ব্যবস্থায় আদায় করা শুল্ক থেকে 65000 কোটি টাকা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে । সুতরাং, মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে 2.35 লাখ কোটি টাকা ।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, RBI-এর পরামর্শে রাজ্যগুলিকে 97,000 কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পক্ষে যুক্তিসঙ্গত সুদের হারে একটি স্পেশাল উইন্ডো সরবরাহ করা যেতে পারে । 2022-এ (GST বাস্তবায়নের পাঁচ বছর) পরে এই ঋণ পরিশোধ করা যাবে । আর, রাজ্যগুলিকে দেওয়া দ্বিতীয় বিকল্পটি হ'ল, বিশেষ উইন্ডোর মাধ্যমে মোট 2.35 লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগ মিলবে । অর্থসচিব জানিয়েছিলেন, "রাজ্যগুলিকে এই প্রস্তাবটি নিয়ে ভাবতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে ।" এই বিকল্পগুলি কেবলমাত্র চলতি বছরেই উপলব্ধ হবে, পরিস্থিতিটি পরের বছর পর্যালোচনা করা হবে ।