ETV Bharat / bharat

প্রতি আটজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু বায়ু দূষণে, সচেতন হব কবে ? - ভারতে বায়ু দূষণের কারণে মৃত্যু

ভৌগোলিক বিষয়ের থেকে এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ভূমিকা । দীপাবলির বাজি এবং ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘটনায় দিল্লির AQI-এর মান 500 ছাড়িয়ে গেছে । উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করতে মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদকে নষ্ট করতে শুরু করে । গ্রিন হাউস গ্যাসের অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন বায়ু, জল এবং খাদ্যকে দূষিত করছে ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Nov 21, 2019, 6:19 PM IST

বায়ু দূষণ এবং বায়ুর মানগত অবনতি মানুষের জীবনযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । দিল্লির বর্তমান অবস্থা একথাই প্রমাণ করে । মানুষের দ্বারা প্রাকৃতিক সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা 153টি দেশের মধ্যে তুলনা করার পর 11,258 জন বিজ্ঞানী পরিবেশ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন । অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, সুনামি, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহের দ্রুত গলন, সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধির মতো ঘটনা পরিবেশের উপর একটা মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, একটা প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে । শিল্পায়ন, শহরায়ন, উন্নয়ন প্রাকৃতিক ভারসাম্যের বণ্টনকে নষ্ট করছে । মানব সভ্যতার আদি যুগে মানুষ শিকারি হিসেবে জীবন ধারণ করত । উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করতে মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদকে নষ্ট করতে শুরু করে । গ্রিন হাউস গ্যাসের অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন বায়ু, জল এবং খাদ্যকে দূষিত করছে ।

দিল্লি এবং তার চারপাশে এলাকার বায়ু সূচকের (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) মান মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । ভৌগোলিক বিষয়টার থেকে এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ভূমিকা । দীপাবলির বাজি এবং ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘটনায় দিল্লির AQI-এর মান 500 ছাড়িয়ে গেছে । মোটের উপর এই মান 400-500 মধ্যে থাকলে, বলতে হবে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ । দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে AQI-এর মান 500-এর বেশি হওয়ার অর্থ অত্যন্ত বিপজ্জনক । বায়ুর গুণগতমান প্রতিদিন যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তা দিল্লির দৈনিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কুপ্রভাব ফেলছে । মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাতে পাচ্ছেন না মানুষজন, যা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে তুলে ধরছে । শুধুমাত্র দিল্লি নয়, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, ফরিদাবাদও বায়ু দূষণের যন্ত্রণা ভোগ করছে । মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং তেলঙ্গানার বেশ কিছু রাজ্যে টক্সিন নির্গমনের ছবিটা ধরা পড়েছে । জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যেই এই বিপদকে আরও গতিদান করছে । শীতের কুয়াশা, গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস শ্বাসকার্য চালানোর ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে । দিল্লির প্রতিবেশি দুই রাজ্য পঞ্জাব এবং হরিয়ানা কৃষির দিক থেকে অত্যন্ত এগিয়ে । এই দুই রাজ্যে কৃষির উৎপাদনও বেশ ভালো, সেখানেই হচ্ছে চাষের জমিতে থাকা ফসলের গোড়া পোড়ানোর মতো বিষয়টি । এক টন ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে 60 কিলোগ্রাম কার্বন এবং 1400 কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় । 3 কিলোগ্রাম সুক্ষ্ম কণা, ছাই এবং সালফার ডাই অক্সাইড অতিরিক্তভাবে পরিবেশে সংযুক্ত হয় । হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ প্রতি বছর পাঁচ কোটি টন ফসল পোড়ায় । এর প্রভাব পড়ে দিল্লিতে ৷ শীতকালে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে ।

ফসল পোড়ানোর ঘটনা জমির উর্বরতা নষ্ট করে । অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফসল পোড়ানোর ফলে উপকৃত ব্যাকটেরিয়া মারা যায় । জমির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও তা সমস্যা তৈরি করে । ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল (NGT) চাষের জমিতে থাকা ফসলের গোড়া পোড়ানো চার বছর আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । যদিও এখনও পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা মানা হয় না । আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্য বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বাড়ছে । বাড়ছে বায়ু দূষণ । দেশব্যাপী 23 শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ । মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব বলছে, প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু ঘটছে বায়ু দূষণের জন্য । AIIMS সতর্ক করে বলেছে, দিল্লিতে হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ু দূষণের জেরে । 180 টি দেশের মধ্যে AQI হিসেবে ভারতের স্থান খুবই নিচের দিকে । ভারতের দুই তৃতীয়াংশ শহর কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে ।

পড়ে থাকা ফসল পোড়ানোর বদলে বিকল্প কী করা যায়, তা অতি দ্রুত বের করতে হবে । ফসল পোড়ানো থেকে শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব কি না, সে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে । যেখানে বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি, সেখানকার কৃষকদের ধান-গম চাষের বদলে বাজরা চাষের জন্য উৎসাহিত করতে হবে । গাড়ির ধোঁয়া কমানোর বিষয়ে জোড়-বিজোড় নীতি বিশেষভাবে কার্যকর । গণপরিবহনকে আরও জোরদার করতে হবে । যে সব কলকারখানা থেকে টক্সিন নির্গত হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ করতে হবে । দূষণের কুপ্রভাবের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে অবগত করতে হবে । অস্ট্রেলিয়া, বার্বাডোস, কানাডায় AQI-এর মান খুব ভালো । এই সকল দেশকে অনুসরণ করে ভারতকে প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে হবে ।

বায়ু দূষণ এবং বায়ুর মানগত অবনতি মানুষের জীবনযাত্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । দিল্লির বর্তমান অবস্থা একথাই প্রমাণ করে । মানুষের দ্বারা প্রাকৃতিক সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা 153টি দেশের মধ্যে তুলনা করার পর 11,258 জন বিজ্ঞানী পরিবেশ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছেন । অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, সুনামি, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহের দ্রুত গলন, সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধির মতো ঘটনা পরিবেশের উপর একটা মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, একটা প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে । শিল্পায়ন, শহরায়ন, উন্নয়ন প্রাকৃতিক ভারসাম্যের বণ্টনকে নষ্ট করছে । মানব সভ্যতার আদি যুগে মানুষ শিকারি হিসেবে জীবন ধারণ করত । উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করতে মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদকে নষ্ট করতে শুরু করে । গ্রিন হাউস গ্যাসের অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন বায়ু, জল এবং খাদ্যকে দূষিত করছে ।

দিল্লি এবং তার চারপাশে এলাকার বায়ু সূচকের (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) মান মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । ভৌগোলিক বিষয়টার থেকে এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ভূমিকা । দীপাবলির বাজি এবং ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘটনায় দিল্লির AQI-এর মান 500 ছাড়িয়ে গেছে । মোটের উপর এই মান 400-500 মধ্যে থাকলে, বলতে হবে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ । দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে AQI-এর মান 500-এর বেশি হওয়ার অর্থ অত্যন্ত বিপজ্জনক । বায়ুর গুণগতমান প্রতিদিন যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তা দিল্লির দৈনিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কুপ্রভাব ফেলছে । মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাতে পাচ্ছেন না মানুষজন, যা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে তুলে ধরছে । শুধুমাত্র দিল্লি নয়, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, ফরিদাবাদও বায়ু দূষণের যন্ত্রণা ভোগ করছে । মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং তেলঙ্গানার বেশ কিছু রাজ্যে টক্সিন নির্গমনের ছবিটা ধরা পড়েছে । জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যেই এই বিপদকে আরও গতিদান করছে । শীতের কুয়াশা, গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস শ্বাসকার্য চালানোর ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে । দিল্লির প্রতিবেশি দুই রাজ্য পঞ্জাব এবং হরিয়ানা কৃষির দিক থেকে অত্যন্ত এগিয়ে । এই দুই রাজ্যে কৃষির উৎপাদনও বেশ ভালো, সেখানেই হচ্ছে চাষের জমিতে থাকা ফসলের গোড়া পোড়ানোর মতো বিষয়টি । এক টন ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে 60 কিলোগ্রাম কার্বন এবং 1400 কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় । 3 কিলোগ্রাম সুক্ষ্ম কণা, ছাই এবং সালফার ডাই অক্সাইড অতিরিক্তভাবে পরিবেশে সংযুক্ত হয় । হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ প্রতি বছর পাঁচ কোটি টন ফসল পোড়ায় । এর প্রভাব পড়ে দিল্লিতে ৷ শীতকালে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে ।

ফসল পোড়ানোর ঘটনা জমির উর্বরতা নষ্ট করে । অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফসল পোড়ানোর ফলে উপকৃত ব্যাকটেরিয়া মারা যায় । জমির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও তা সমস্যা তৈরি করে । ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল (NGT) চাষের জমিতে থাকা ফসলের গোড়া পোড়ানো চার বছর আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । যদিও এখনও পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা মানা হয় না । আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্য বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বাড়ছে । বাড়ছে বায়ু দূষণ । দেশব্যাপী 23 শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ । মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব বলছে, প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু ঘটছে বায়ু দূষণের জন্য । AIIMS সতর্ক করে বলেছে, দিল্লিতে হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ু দূষণের জেরে । 180 টি দেশের মধ্যে AQI হিসেবে ভারতের স্থান খুবই নিচের দিকে । ভারতের দুই তৃতীয়াংশ শহর কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে ।

পড়ে থাকা ফসল পোড়ানোর বদলে বিকল্প কী করা যায়, তা অতি দ্রুত বের করতে হবে । ফসল পোড়ানো থেকে শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব কি না, সে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে । যেখানে বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি, সেখানকার কৃষকদের ধান-গম চাষের বদলে বাজরা চাষের জন্য উৎসাহিত করতে হবে । গাড়ির ধোঁয়া কমানোর বিষয়ে জোড়-বিজোড় নীতি বিশেষভাবে কার্যকর । গণপরিবহনকে আরও জোরদার করতে হবে । যে সব কলকারখানা থেকে টক্সিন নির্গত হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ করতে হবে । দূষণের কুপ্রভাবের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে অবগত করতে হবে । অস্ট্রেলিয়া, বার্বাডোস, কানাডায় AQI-এর মান খুব ভালো । এই সকল দেশকে অনুসরণ করে ভারতকে প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে হবে ।

Kolkata, Nov 21 (ANI): Skipper of Indian cricket team Virat Kohli addressed the media ahead of 2nd test match. The second Test match between India and Bangladesh will start from November 22 in Kolkata. It will be first ever Day/Night Test of teams and will be played by pink ball. India won handsomely 1st Test by an innings.

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.