ভুবনেশ্বর, 4 জানুয়ারি : বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় বিপাকে বিজেডি। ওড়িশার বিজেডি সরকারের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা খুনের অভিযোগ দায়ের হল। ওই মন্ত্রীর নাম প্রতাপ জেনা। নিহত বিজেপি নেতা কুলমণি বরালের ছেলে রমাকান্ত বরাল প্রতাপ-সহ 12 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কুরমণি ছিলেন বিজেপির শিলাপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আর মাহাঙ্গা ব্লকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে খুন করা হয়। একই সঙ্গে মারা হয় তাঁর সহযোগী দিব্যাংশ বরালকেও। রমাকান্তের দাবি, তাঁর বাবা চারদিন আগে তাঁকে জানিয়েছিলেন যে ওড়িশার আইনমন্ত্রী তাঁর বাবা ও দিব্যাংশকে খুন করার হুমকি দিচ্ছিলেন।
ওড়িসায় নবীন পট্টনায়ক সরকারের আইন ছাড়াও পঞ্চায়েতি রাজ ও পানীয় জল, আবাসন ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন প্রতাপ জেনা। তিনি মাহাঙ্গার বিধায়ক। ফলে, এই ঘটনায় চাপে পড়েছেন নবীন পটনায়কের সরকার। বিজেপিও সুযোগ বুঝে নবীন পটনায়কের উপর চাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির জাতীয়স্তরের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি টুইটারে লেখেন, “ওড়িশা সরকারের মন্ত্রী প্রতাপ জেনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই মাহাঙ্গার অভিজ্ঞ বিজেপি নেতা কুরমণি বরালকে খুন করা হল।” পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে যে ওই মন্ত্রীর নাম রয়েছে সেই কথাও তিনি টুইটারে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি এর সঙ্গে তিনি বাংলার যোগও টেনেছেন। টুইটারে সম্বিত লিখেছেন, “ওড়িশা বাংলার পথে এগিয়ে চলেছে।”
আরও পড়ুন: মালদায় বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জোড়ার খুনের ঘটনা ঘটে শনিবার সন্ধ্যা 7টা 15 মিনিট নাগাদ। তখন শুকানাই রাস্তা দিয়ে বাইকে ফিরছিলেন কুলমণি ও দিব্যাংশ। সেই সময় তাঁদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে 10 জন দুষ্কৃতী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান রমাকান্ত। তিনিও তাঁর বাবা ও দিব্যাংশকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।