অযোধ্যা, 28 জুলাই : মাত্র কয়েকদিন পরেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে চলেছে বিতর্কিত রাম মন্দিরের। এরই মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও "গঙ্গা-যমুনি তেহজিব"কে বাঁচিয়ে রাখতে 501 টি প্রদীপ জ্বালাবে অযোধ্যার একটি মুসলিম পরিবার।
জাতপাতের বিভেদ ভুলে অযোধ্যার বাসিন্দা বাবলু খান ও তার পরিবার রাম মন্দির তৈরির কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ও তাঁর পরিবার আগামী 5 অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যায় আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রাচীন গঙ্গা- যমুনি তেহজিবকে ধরে রাখতে সেই দিন 501 টি প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই পরিবার। বর্তমানে তারা প্রদীপ সংগ্রহে ব্যস্ত।
এই গঙ্গা- যমুনি তেহজিব কী ? - এটি মুসলিম ধর্মীয় আচার-আচরণের সঙ্গে হিন্দু সংস্কৃতির সহাবস্থানের একটি প্রথা। বাবলু খান জানান, " বর্তমানে কোরোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমরা এই বছর বাড়িতেই এই রীতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই দিন আমরা সকলে মিলে প্রদীপ জ্বালাব। 5 অগাস্ট দিনটি হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির ও উন্নয়নের দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে। "
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যার সকল মন্দিরকে রাম মন্দির সূচনার অনুষ্ঠান পালন করতে মন্দির বিশেষভাবে পরিষ্কার ও 4 এবং 5 অগাস্ট মন্দিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর হাতে গোনা কয়েকটি দিন বাকি থাকায়, আশেপাশের মসজিদ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
70 একরের রাম জন্মভূমির আশেপাশে মোট আটটি মসজিদ ও দুটি সমাধি ক্ষেত্র রয়েছে। মসজিদ থেকে প্রতিদিন আজান দেওয়া নিয়েও স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাদের কোনও অভিযোগ নেই।
দীর্ঘ সময় ধরে আইনি লড়াইয়ের পর গত বছর 9 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয় নতুন করে মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার জন্য।