দিল্লি, ৬ মার্চ : "কাল রাত ৩ টা ৩০ মিনিট নাগাদ খুব মশা ছিল। আমি হিট দিয়ে মশা মারলাম। এখন ক'টা মশা মারলাম সেটা গুনব না কি আবার ঘুমোতে যাব?" বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান প্রসঙ্গে টুইট বার্তায় আজ বিরোধীদের এভাবেই কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের বালাকোটে জইশের তিনটি ট্রেনিং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। সেই অভিযানে জইশের প্রথম সারির একাধিক জঙ্গি নেতাসহ প্রায় ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু, সরকারি তরফে সেই সংখ্যা নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। এনিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "কতজন জঙ্গি খতম হয়েছে? আসলে বোমা কোথায় পড়েছে? সেটি কি নির্দিষ্ট টার্গেটেই পড়েছিল? আমাদের তা জানার অধিকার রয়েছে।" তখন BJP সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া মন্তব্য করেছিলেন, "অভিযানের পর থেকে সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হচ্ছে ৩০০-র অধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহ কি সংখ্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন?" এরপর অমিত শাহ দাবি করেন, প্রায় ২৫০-বেশি জঙ্গি খতম হয়েছে এই ঘটনায়। তবে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান বি এস ধানোয়া বলেন, "আমরা হিসেব করিনি কতজন মারা গেছে। সেখানে কতজন ছিল তার উপর নির্ভর করছে মৃতের সংখ্যা। কতজন মারা গেছে তা সরকার বলবে। ওখানে কতজন ছিল তা স্পষ্ট করা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাজ নয়।"
এই বিষয়ে গতকাল বিরোধীদের কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, "NTRO (ন্যাশনাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজ়েশন)-র বিশেষ কার্যকরী পদ্ধতির সাহায্যে জানা গেছিল যে ওই দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাক ভূখণ্ডে জইশ ক্যাম্পগুলিতে ৩০০টি মোবাইল ফোন সক্রিয় ছিল। মোবাইল ফোনগুলি কি গাছেরা ব্যবহার করছিল ? আপনারা (বিরোধী দলগুলির নেতৃত্ব) এখন NTRO - কেও বিশ্বাস করেন না ?"
এরপরই আজ টুইট করে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং।