লখনউ, 30 মে : পরিযায়ী শ্রমিকদের অসহায়তা-চরম পরিণতির যেন শেষ নেই। মহারাষ্ট্র থেকে বিহার কেবল মৃত্যু ও যন্ত্রণার হাহাকার। আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এবার উত্তরপ্রদেশে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল এক শ্রমিকের মৃতদেহ৷ চিকিৎসকদের অনুমান, উদ্ধার হওয়ার চারদিন আগে 38 বছরের ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে থাকা আধার কার্ড থেকে জানা গিয়েছে তাঁর পরিচয়।
উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার বাসিন্দা ছিলেন মোহনলাল শর্মা৷ মুম্বইয়ে একটি কারখানায় কাজ করতেন। এক্ষেত্রেও ছবিটা সেই একইরকম৷ লকডাউন। কাজ বন্ধ। বন্ধ রোজগার। বারবার বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেও ফিরতে পারেননি। এদিকে সঞ্চয় প্রায় শেষ। অবশেষে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন মোহনলাল। ঝাঁসি - গোরক্ষপুর ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি৷ তাঁর পকেট থেকে পরিচয়পত্র, টাকা ও 23মে -র টিকিট পাওয়া গিয়েছে। ওইদিন ঝাঁসি থেকে গোরক্ষপুরের উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি। পরের দিন গোরক্ষপুরে পৌঁছায়। এরপর ট্রেনটিকে ঝাঁসিতে ফেরত পাঠানো হয়। 27 মে ট্রেনের কামরা ও শৌচালয় স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছিল বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা৷
নর্থ-সেন্ট্রাল রেলের মুখপাত্র অজিতকুমার সিং জানিয়েছেন, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের শৌচাগার পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন রেলকর্মীরা। তখনই শ্রমিকের মৃতদেহ পান তাঁরা। 27 মে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন ট্রেন স্যানিটাইজ়েশনের কাজ হচ্ছিল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ট্রেনের কারও থেকে মেডিকেল হেল্পের জন্য কোনও ফোন আসেনি।
মোহনলালের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে GRP। স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে তাঁর সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। COVID-19 পরীক্ষা করা হবে। সম্প্রতি বিহারের এক স্টেশনে এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যে ট্রেনে পরিমাণমতো জল ও খাবার না থাকার অভিযোগ উঠেছে রেলের বিরুদ্ধে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক। চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন চলছে এবং পরিযায়ীর মৃত্যু অব্যাহত।