মেহবুবা গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "আগুন নিয়ে খেলবেন না। সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না। যদি করেন, তবে ১৯৪৭-র পর থেকে যা হয়নি তা দেখতে হবে। যদি ৩৫এ ধারায় দেওয়া বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়, তবে এই রাজ্যে ভারতের পতাকা হাতে নেওয়ার লোক পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে তাঁদের অন্য কোনও পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হবে কি না তা জানি না।"
মেহবুবা আরও বলেছেন, "ভারতের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক যোগের প্রধান মাধ্যম সংবিধানের ৩৫এ ধারা। দি ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন (দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন ভারতে অন্তর্ভূক্তিকরণ) সংবিধানের ৩৭০ ধারার সঙ্গে যুক্ত। আর সেই ধারা আবার অঙ্গাগিভাবে জড়িত ৩৫এ ধারার সঙ্গে। তাই এই ধারাটি জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।"
সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের তাদের রাজ্যে জমির অধিকার, সরকারি চাকরি পাওয়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। ১৯৫৪ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে ৩৫এ ধারাকে সংবিধানে যুক্ত করা হয়।
কিন্তু এই ধারাটি অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংবিধানে কোনও নতুন ধারা সংযোজন বা বিয়োজন করতে হলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিদের সম্মতি নিয়ে তা করতে হয়। কিন্তু ১৯৫৪ সালে ৩৫এ ধারাটি যুক্ত করার ক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সংবিধানে ধারাটি যুক্ত করা হয়েছিল। তাই ধারাটি অসাংবিধানিক দাবি করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।