শ্রীনগর, 5 অগাস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরের 370 ধারা প্রত্যাহারকে 'গণতন্ত্রের কালো দিন' বললেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ৷ আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় 370 ধারা প্রত্যাহারের রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান ৷ পাশাপাশি পেশ করেন জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল । পুনর্গঠন বিলে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হয় । যার ফলে বিশেষ মর্যাদা হারাতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর ৷
টুইট করে তিনি লেখেন, "370 ধারা বিলোপ অসাংবিধানিক ও বেআইনি ৷ রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করতে চায় কেন্দ্র ৷ নতুন ভারতে ধর্মের নাম গণহত্যা চলছে ৷ মানুষের কথা বলতে গিয়ে আমাকে যদি বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হয়, তাহলে গর্বের সঙ্গে সেই তকমা আমি গ্রহণ করব ৷"
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ৷ বলেন, "সংবিধানের জন্য এই সিদ্ধান্ত ভীষণ বিপজ্জনক ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ যার পরিণাম ভয়ংকর হতে পারে ৷ "
অন্যদিকে, এই নিয়ে টুইট করেন অরুণ জেটলিও ৷ তিনি লেখেন, "370 ধারা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে স্মরণীয় ৷ এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে ৷ ওখানে আরও বিনিয়োগ, শিল্প, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে ৷ আরও বেশি করে কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে ৷ মানুষের উপার্জন বাড়বে । পৃথক মর্যাদা একটি রাজ্যকে বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকে পরিচালিত করে । কোনও গতিশীল জাতি এই পরিস্থিতি অব্যাহত রাখতে দেয় না ।"
বিরোধীদের কটাক্ষ করে জেটলি বলেন , "এতদিন ধরে কাশ্মীরের মানুষের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছিল কাশ্মীরের স্থানীয় নেতারা ৷ আর তা হবে না ৷"