ETV Bharat / bharat

ভারতে জলসংকট রয়েছে, এতে কোনও ভুল নেই

ভারতে জল সংকট রয়েছে । আমাদের দেশের এক লাখ মানুষ যদি জল সংরক্ষণ করত, তাহলে পানীয় জল পাওয়া অনেক নিরাপদ হত । তাই আজও সকলে মিলে যদি জল সংরক্ষণ করা যায় তাহলে এই সংকট কাটিয়ে উঠে যাওয়া যাবে ।

ছবি
author img

By

Published : Sep 6, 2020, 1:58 PM IST

স্বাধীনতা পরবর্তী সাত দশকে ভারতে অনেক বাঁধ, জলাশয়, ব্যারেজ নির্মাণ হয়েছে । কিন্তু, আজও দেশের 85 শতাংশ মানুষ খাওয়ার জন্য ভূ-গর্ভস্থ জলের উপরই নির্ভর করে । কৃষকরাও সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভর করে । একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হওয়া সত্ত্বেও ভূগর্ভস্থ জল আমাদের দেশে সর্বাধিক দূষিত এবং শোষিত সম্পদ । আমরা বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্র আট শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারি । যার ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর পূরণ হচ্ছে না । যে কারণে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মারাত্মক জল সংকট দেখা দেয় । এবারও দিয়েছে ।

2025 সালে ভারতে মাথাপিছু পাণীয় জল বরাদ্দের হার 25 শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান । 2035 সালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলে আশঙ্কা । জলশক্তি মন্ত্রক পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ণ করেছে এবং পানীয় জল ব্যবহারের একটি রূপরেখা তৈরি করেছে । শহর এবং গ্রামের বিভিন্ন সংস্থা, পৌরসভা, জল বোর্ডকে এই ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত করেছে জলশক্তি মন্ত্রক এবং যারা জল অপচয় করবে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার কথাও বলেছে মন্ত্রক । কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রক ভূগর্ভস্থ জলের সংরক্ষণের জন্য 2017 সালে একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল । 2019 সালের অগাস্টে, জলশক্তি অভিযানের মাধ্যমে দেশের 256 টি জেলায় জল সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ার আগেই কেন্দ্রকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে ।

"ভারতের ওয়াটার ম্যান" নামে পরিচিত পরিবেশবিদ রাজেন্দ্র সিং বলেন, "দেশের ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের 72 শতাংশ মেশিনের মাধ্যমে বাইরে চলে আসে । NASA-র এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যামেরিকায় মানব সৃষ্ট সর্ববৃহৎ জলাধার লেক মিড পূরণ করতে যে পরিমাণ জল লাগে, ভারতে এক বছরে সেই পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল ভূগর্ভের বাইরে এসেছে ।"

মিহির শাহ কমিটি জানিয়েছে, নির্বিচারে বোরওয়েলের ব্যবহার এবং গভীর খননের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । মার্চ মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বেসরকারি পাণীয় জল বিক্রয়কারী সংস্থার কাছ থেকে উপযুক্ত কর নেওয়ার পরামর্শ দেয় । যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বৃষ্টিপাতের প্রতিটি ফোঁটা সংরক্ষণ করছে । কিন্তু, আমরা এখনও আদালতের অপেক্ষায় রয়েছি জলের সংস্থানগুলির গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সজাগ করার জন্য । এখানে শতকরা 90 শতাংশ বৃষ্টির জল সমুদ্রে মেশে । কিন্তু, আমাদের দেশের এক লাখ মানুষ যদি জল সংরক্ষণ করতেন, তাহলে পানীয় জল পাওয়া অনেক নিরাপদ হত । উদাহরণ স্বরূপ, তেলাঙ্গানার কথা বলা যায় । যারা গ্রাম ও শহরের জন্য মিশন ভাগীরথী প্রকল্প কাজে লাগিয়েছে । রাজ্য সরকার সমস্ত বড় জলাশয় এবং জলাধারগুলি পুনরায় পূরণ করার ফলে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে জল সরবরাহ হয় । অন্যান্য রাজ্যেও এই ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে । জল সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে কৃষি উৎপাদনেও কোনও সমস্যা হবে না ।

ধান এবং আখ গাছ প্রচুর পরিমাণে জল শুষে নেয় । কম জলে চাষ হতে পারে এমন ফসল চাষের কথা বলেন কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষি বিদ্যালয়গুলি । জল সংরক্ষণের জন্য নাগরিকদের অবশ্যই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে । সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে জল সম্পর্কে পাঠ চালু করা । আগামী দিনে সংকট এড়াতে জল সংরক্ষণের বিষয়ে জাতীয় কৌশল অলম্বন করতে হবে সরকারকে ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সাত দশকে ভারতে অনেক বাঁধ, জলাশয়, ব্যারেজ নির্মাণ হয়েছে । কিন্তু, আজও দেশের 85 শতাংশ মানুষ খাওয়ার জন্য ভূ-গর্ভস্থ জলের উপরই নির্ভর করে । কৃষকরাও সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভর করে । একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হওয়া সত্ত্বেও ভূগর্ভস্থ জল আমাদের দেশে সর্বাধিক দূষিত এবং শোষিত সম্পদ । আমরা বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্র আট শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারি । যার ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর পূরণ হচ্ছে না । যে কারণে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মারাত্মক জল সংকট দেখা দেয় । এবারও দিয়েছে ।

2025 সালে ভারতে মাথাপিছু পাণীয় জল বরাদ্দের হার 25 শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান । 2035 সালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে বলে আশঙ্কা । জলশক্তি মন্ত্রক পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ণ করেছে এবং পানীয় জল ব্যবহারের একটি রূপরেখা তৈরি করেছে । শহর এবং গ্রামের বিভিন্ন সংস্থা, পৌরসভা, জল বোর্ডকে এই ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত করেছে জলশক্তি মন্ত্রক এবং যারা জল অপচয় করবে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার কথাও বলেছে মন্ত্রক । কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রক ভূগর্ভস্থ জলের সংরক্ষণের জন্য 2017 সালে একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল । 2019 সালের অগাস্টে, জলশক্তি অভিযানের মাধ্যমে দেশের 256 টি জেলায় জল সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ার আগেই কেন্দ্রকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে ।

"ভারতের ওয়াটার ম্যান" নামে পরিচিত পরিবেশবিদ রাজেন্দ্র সিং বলেন, "দেশের ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের 72 শতাংশ মেশিনের মাধ্যমে বাইরে চলে আসে । NASA-র এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যামেরিকায় মানব সৃষ্ট সর্ববৃহৎ জলাধার লেক মিড পূরণ করতে যে পরিমাণ জল লাগে, ভারতে এক বছরে সেই পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল ভূগর্ভের বাইরে এসেছে ।"

মিহির শাহ কমিটি জানিয়েছে, নির্বিচারে বোরওয়েলের ব্যবহার এবং গভীর খননের ফলে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । মার্চ মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্ট বেসরকারি পাণীয় জল বিক্রয়কারী সংস্থার কাছ থেকে উপযুক্ত কর নেওয়ার পরামর্শ দেয় । যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বৃষ্টিপাতের প্রতিটি ফোঁটা সংরক্ষণ করছে । কিন্তু, আমরা এখনও আদালতের অপেক্ষায় রয়েছি জলের সংস্থানগুলির গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সজাগ করার জন্য । এখানে শতকরা 90 শতাংশ বৃষ্টির জল সমুদ্রে মেশে । কিন্তু, আমাদের দেশের এক লাখ মানুষ যদি জল সংরক্ষণ করতেন, তাহলে পানীয় জল পাওয়া অনেক নিরাপদ হত । উদাহরণ স্বরূপ, তেলাঙ্গানার কথা বলা যায় । যারা গ্রাম ও শহরের জন্য মিশন ভাগীরথী প্রকল্প কাজে লাগিয়েছে । রাজ্য সরকার সমস্ত বড় জলাশয় এবং জলাধারগুলি পুনরায় পূরণ করার ফলে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে জল সরবরাহ হয় । অন্যান্য রাজ্যেও এই ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে । জল সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে কৃষি উৎপাদনেও কোনও সমস্যা হবে না ।

ধান এবং আখ গাছ প্রচুর পরিমাণে জল শুষে নেয় । কম জলে চাষ হতে পারে এমন ফসল চাষের কথা বলেন কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষি বিদ্যালয়গুলি । জল সংরক্ষণের জন্য নাগরিকদের অবশ্যই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে । সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে জল সম্পর্কে পাঠ চালু করা । আগামী দিনে সংকট এড়াতে জল সংরক্ষণের বিষয়ে জাতীয় কৌশল অলম্বন করতে হবে সরকারকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.