ভোপাল, 12 জুলাই : ছুটি মেলেনি, তাই লুকিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৷ রাজ্যের বাইরে যাওয়ার তথ্য়ও বেমালুম লুকিয়ে যান তিনি, 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকার নিয়ম না মেনেই ফের কাজে যোগ দেন ৷ কিন্তু বাধ সাধল কোরোনা ৷ কিছুদিন পরেই স্ত্রীর শরীরে কোরোনার উপসর্গ দেখা দিতেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে ওই চিকিৎসকের ৷ নমুনা পরীক্ষা করাতে পাঠালেই তার মিথ্যা সামনে চলে আসবে , কিন্তু স্ত্রীর চিকিৎসারও প্রয়োজন ৷ উপায়ও খুঁজে বের করলেন নিজেই ৷ স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালেন, তবে পরিচারিকার নামে ! কোরোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসতেই পরিচারিকার বাড়িতে হাজির হয় স্বাস্থ্যকর্মীরা, পর্দাফাঁস হয় চিকিৎসকের কান্ডের ! ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরাউলি জেলার খুতার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অভয়রঞ্জন সিং বিয়েবাড়িতে যোগ দেওয়ার জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই ছুটি মঞ্জুর হয়নি ৷ 23 জুন বিনা অনুমতিতেই উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান ওই চিকিৎসক ও তার পরিবার ৷ 1 জুলাই তারা বাড়ি ফেরেন ৷ তবে 14 দিন কোয়ারানটিনে না থেকেই তিনি ফের কাজে যোগ দেন ৷
সম্প্রতি তার স্ত্রীর শরীরে কোরোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান ৷ কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার তথ্য লুকাতে স্ত্রীর বদলে বাড়ির পরিচারিকার নামে নমুনাটি পরীক্ষার জন্য পাঠান ৷ রিপোর্ট পজ়িটিভ আসতেই ওই পরিচারিকার বাড়িতে হাজির হন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা ৷ তখনই সম্পূর্ণ ঘটনার পর্দা ফাঁস হয়ে যায় ৷
কিছুদিন পরেই ওই চিকিৎসক ও তার পরিবারের দুই সদস্যের কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজ়িটিভ আসে ৷
বৈধান পুলিশ স্টেশনে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ওই থানার ইনচার্জ অরুণ পান্ডে বলেন, ‘‘মহামারি আইন ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে ৷ তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷’’ তিনি জানান, ‘‘ওই চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীর নমুনা অন্য একজন মহিলার নামে পাঠিয়েছিলেন ৷ রিপোর্ট পজ়িটিব আসায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে নমুনাটি ওই মহিলার নয় ৷ ’’
কোয়ারানটিনে না থেকে কাজে যোগ দেওয়ায় ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসায় সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সহ 33 জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৷