ETV Bharat / bharat

দলত্যাগ আইনকে পাশ কাটিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শিবরাজ

আস্থা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ শিবরাজ সিংহ চৌহানের ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Mar 28, 2020, 9:43 AM IST


মধ্যপ্রদেশ, 28 মার্চ : দিনটা ছিল 23 মার্চের রাত । একদিকে বাকি দেশ যখন কোরোনা সঙ্কটে মনঃসংযোগ করেছে, তখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবরাজ সিংহ চৌহান । রাজভবনে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন । পরের দিন, আস্থা ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন, যে আস্থাভোট বয়কট করেন কংগ্রেস বিধায়করা । 15 মাসের ব্যবধানে, রেকর্ড গড়ে চতুর্থবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরলেন চৌহান । এরই সঙ্গে এমন একটা রাজ্যের ক্ষমতা তাঁরা দখল করলেন, যেখানে বিধানসভা ভোটে তাঁরা হেরে গিয়েছিলেন ।

মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু যখন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গত 10 মার্চ দলত্যাগ করেছিলেন । এরপরেই, সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কংগ্রেসের 6 মন্ত্রী সহ 22 জন বিধায়ক ইস্তফা দেন । অধ্যক্ষ, 6 জন মন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করলেও, বিধায়কদের ইস্তফা তখনই গ্রহণ করা হয়নি । বেশিরভাগ কংগ্রেস বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে, কংগ্রেসের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁদের BJP-র চাপে 'বন্দি' থাকতে হয় । খুব তাড়াতাড়িই মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে 16 মার্চ ফ্লোর টেস্টের আয়োজন করতে বলেন । অধ্যক্ষ N P প্রজাপতি আস্থা ভোটে বিলম্ব করায়, BJP সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, যাতে অধ্যক্ষকে দ্রুত ফ্লোর টেস্টের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয় ।


19 মার্চ, বিচারপতি D Y চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ, দু'দিনের শুনানির পর নির্দেশ দেয়, যে পরের দিন অধ্যক্ষকে বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোট করাতে হবে । ফ্লোর টেস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ । 22 জন বিধায়কের পদত্যাগের ফলে, গরিষ্ঠ সংখ্যাটা কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের দিকে ছিল না । মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা 230 (দু'জনে মৃত্যুর ফলে খালি হওয়া দুটি আসন সহ), যেখানে কংগ্রেসের ছিল 114 জন বিধায়ক (সপা, বসপা ও নির্দল মিলিতে 7 বিধায়কের অতিরিক্ত সমর্থন সহ ), আর BJP-র ছিল 107 জন বিধায়ক । যখন 22 জন বিধায়কের পদত্যাগের ফলে বিধানসভার শক্তি কমে 208 হয়ে গেল, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাপকাঠি হল 104, যা BJP-কে সরকার গঠনের দাবি পেশের সুযোগ করে দেয় ।


মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক অসত্যতা দলত্যাগ বিরোধী আইনকে পাশ কাটানোর একটি নতুন পদ্ধতি তুলে ধরে । সংবিধানের দশম তফশিল (যা দলত্যাগ বিরোধী আইন বলেই পরিচিত) আনা হয় 1985 সালে, সংবিধানের 52 তম সংশোধনের মধ্যে দিয়ে । তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গাঁধী । এর উদ্দেশ্য ছিল সেই সময়কার " আয়া রাম গয়া রাম " রাজনীতির মোকাবিলা করা, যেখানে বিধায়করা এক দলের অন্য দলের দিকে নির্বিচারে ঝাঁপ দিতেন (হরিয়ানার বিধায়ক গয়া রামের নামে এই নামকরণ । তিনি একদিনে তিনবার তাঁর দল বদলে ছিলেন!)। দশম তফশিলে এমন সংস্থানও রয়েছে, যেখানে একজন জনপ্রতিনিধি অযোগ্য বলেও চিহ্নিত হতে পারেন । যেখানে বহু বছর ধরে রাজনৈতিক দলবদলকে রুখতে দলত্যাগ-বিরোধী আইনের উপযোগিতা প্রমাণ হয়েছে, সেখানে সম্প্রতি এই আইনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কৌশলও ব্যবহার করা হচ্ছে ।যেখানে একদল বিধায়ককে পদত্যাগ করিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমিয়ে, তারপর সরকার ফেলে দেওয়া হচ্ছে।


আর এই অভ্যাসের জন্য নির্দিষ্টভাবে BJP দায়ি । 2008 সালে কর্নাটকে ' অপারেশন কমলা ' নামে এই পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা হয়েছিল, এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে । এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট শাসক দলের নির্দিষ্ট একদল বিধায়ককে পদত্যাগ করিয়ে চার্টার্ড প্লেনে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে পাঁচতারা রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়, যেখানে তাঁদের পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না । বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ার পর, BJP রাজ্যপালের সাহায্য নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানায় । পরের উপনির্বাচনে, পদত্যাগ বা ডিসকোয়ালিফিকেশনের ফলে খালি হওয়া আসনগুলি জিততে, ওই একই বিদ্রোহী বিধায়কদের BJP প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয় । গত বছর কর্নাটকে একই কায়দায় কংগ্রেস-JDS সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়, যেখানে পদত্যাগী সমস্ত বিধায়কই BJP-র টিকিট পেয়েছিলেন । দল বদলানো বেশিরভাগ বিধায়কই উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন, আর তাঁদের অনেকে এখন B S ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন BJP সরকারের মন্ত্রীও ।

সম্ভবত, মধ্যপ্রদেশেও বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের উপনির্বাচনে BJP-র টিকিটে দাঁড় করানোর এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি হবে।
এটা ক্ষমতা দখল এবং নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে ফেলে দেওয়ার একটা উদ্বেগজনক পন্থা । এ ধরণের কাজ যেমন দলত্যাগ বিরোধী আইনকে সুচতুরভাবে পাশ কাটিয়ে যায়, তেমনই এর মাধ্যমে, একটা সাধারণ নির্বাচনে উঠে আসা জনমতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয় । এই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি ভারতের গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে । সাফাই হিসেবে কেউ বলতেই পারেন, যে উপনির্বাচনে এই প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন । কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, যে BJP সরকার গঠনের পরেই উপনির্বাচনগুলো হচ্ছে, যেজন্য শাসক দলের বিধায়ক হিসেবে তাঁরা বাড়তি সুবিধে পাচ্ছেন । ক্ষমতা দখলের এই পদ্ধতি দলত্যাগ-বিরোধী আইনকে প্রভাবশূন্য করে তুলেছে ।


যদি দলত্যাগ-বিরোধিতার প্রকৃত উদ্দেশ্যে পৌঁছতে হয়, তাহলে এমন নতুন সংস্কার আনতে হবে, এধরণের চাপিয়ে দেওয়া গণ দলত্যাগকে আটকাতে পারে । এটা করা যেতে পারে বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীদের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে দেওয়া । আবার এটাও নিশ্চিত করা যেতে পারে, যে উপনির্বাচনের আগে কোনও সরকার গঠন হবে না । অতএব, এটাই সময়, যখন সাংসদের উচিত দলত্যাগ-বিরোধী আইনের সংস্থানগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করা এবং এর অপব্যবহার বন্ধ করা ।


মধ্যপ্রদেশ, 28 মার্চ : দিনটা ছিল 23 মার্চের রাত । একদিকে বাকি দেশ যখন কোরোনা সঙ্কটে মনঃসংযোগ করেছে, তখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবরাজ সিংহ চৌহান । রাজভবনে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন । পরের দিন, আস্থা ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন, যে আস্থাভোট বয়কট করেন কংগ্রেস বিধায়করা । 15 মাসের ব্যবধানে, রেকর্ড গড়ে চতুর্থবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরলেন চৌহান । এরই সঙ্গে এমন একটা রাজ্যের ক্ষমতা তাঁরা দখল করলেন, যেখানে বিধানসভা ভোটে তাঁরা হেরে গিয়েছিলেন ।

মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু যখন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গত 10 মার্চ দলত্যাগ করেছিলেন । এরপরেই, সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কংগ্রেসের 6 মন্ত্রী সহ 22 জন বিধায়ক ইস্তফা দেন । অধ্যক্ষ, 6 জন মন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করলেও, বিধায়কদের ইস্তফা তখনই গ্রহণ করা হয়নি । বেশিরভাগ কংগ্রেস বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে, কংগ্রেসের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁদের BJP-র চাপে 'বন্দি' থাকতে হয় । খুব তাড়াতাড়িই মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে 16 মার্চ ফ্লোর টেস্টের আয়োজন করতে বলেন । অধ্যক্ষ N P প্রজাপতি আস্থা ভোটে বিলম্ব করায়, BJP সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, যাতে অধ্যক্ষকে দ্রুত ফ্লোর টেস্টের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয় ।


19 মার্চ, বিচারপতি D Y চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ, দু'দিনের শুনানির পর নির্দেশ দেয়, যে পরের দিন অধ্যক্ষকে বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোট করাতে হবে । ফ্লোর টেস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ । 22 জন বিধায়কের পদত্যাগের ফলে, গরিষ্ঠ সংখ্যাটা কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের দিকে ছিল না । মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা 230 (দু'জনে মৃত্যুর ফলে খালি হওয়া দুটি আসন সহ), যেখানে কংগ্রেসের ছিল 114 জন বিধায়ক (সপা, বসপা ও নির্দল মিলিতে 7 বিধায়কের অতিরিক্ত সমর্থন সহ ), আর BJP-র ছিল 107 জন বিধায়ক । যখন 22 জন বিধায়কের পদত্যাগের ফলে বিধানসভার শক্তি কমে 208 হয়ে গেল, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাপকাঠি হল 104, যা BJP-কে সরকার গঠনের দাবি পেশের সুযোগ করে দেয় ।


মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক অসত্যতা দলত্যাগ বিরোধী আইনকে পাশ কাটানোর একটি নতুন পদ্ধতি তুলে ধরে । সংবিধানের দশম তফশিল (যা দলত্যাগ বিরোধী আইন বলেই পরিচিত) আনা হয় 1985 সালে, সংবিধানের 52 তম সংশোধনের মধ্যে দিয়ে । তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গাঁধী । এর উদ্দেশ্য ছিল সেই সময়কার " আয়া রাম গয়া রাম " রাজনীতির মোকাবিলা করা, যেখানে বিধায়করা এক দলের অন্য দলের দিকে নির্বিচারে ঝাঁপ দিতেন (হরিয়ানার বিধায়ক গয়া রামের নামে এই নামকরণ । তিনি একদিনে তিনবার তাঁর দল বদলে ছিলেন!)। দশম তফশিলে এমন সংস্থানও রয়েছে, যেখানে একজন জনপ্রতিনিধি অযোগ্য বলেও চিহ্নিত হতে পারেন । যেখানে বহু বছর ধরে রাজনৈতিক দলবদলকে রুখতে দলত্যাগ-বিরোধী আইনের উপযোগিতা প্রমাণ হয়েছে, সেখানে সম্প্রতি এই আইনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কৌশলও ব্যবহার করা হচ্ছে ।যেখানে একদল বিধায়ককে পদত্যাগ করিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমিয়ে, তারপর সরকার ফেলে দেওয়া হচ্ছে।


আর এই অভ্যাসের জন্য নির্দিষ্টভাবে BJP দায়ি । 2008 সালে কর্নাটকে ' অপারেশন কমলা ' নামে এই পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা হয়েছিল, এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে । এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট শাসক দলের নির্দিষ্ট একদল বিধায়ককে পদত্যাগ করিয়ে চার্টার্ড প্লেনে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে পাঁচতারা রিসর্টে রেখে দেওয়া হয়, যেখানে তাঁদের পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না । বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ার পর, BJP রাজ্যপালের সাহায্য নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানায় । পরের উপনির্বাচনে, পদত্যাগ বা ডিসকোয়ালিফিকেশনের ফলে খালি হওয়া আসনগুলি জিততে, ওই একই বিদ্রোহী বিধায়কদের BJP প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয় । গত বছর কর্নাটকে একই কায়দায় কংগ্রেস-JDS সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়, যেখানে পদত্যাগী সমস্ত বিধায়কই BJP-র টিকিট পেয়েছিলেন । দল বদলানো বেশিরভাগ বিধায়কই উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন, আর তাঁদের অনেকে এখন B S ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন BJP সরকারের মন্ত্রীও ।

সম্ভবত, মধ্যপ্রদেশেও বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের উপনির্বাচনে BJP-র টিকিটে দাঁড় করানোর এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি হবে।
এটা ক্ষমতা দখল এবং নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে ফেলে দেওয়ার একটা উদ্বেগজনক পন্থা । এ ধরণের কাজ যেমন দলত্যাগ বিরোধী আইনকে সুচতুরভাবে পাশ কাটিয়ে যায়, তেমনই এর মাধ্যমে, একটা সাধারণ নির্বাচনে উঠে আসা জনমতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয় । এই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি ভারতের গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে । সাফাই হিসেবে কেউ বলতেই পারেন, যে উপনির্বাচনে এই প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন । কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, যে BJP সরকার গঠনের পরেই উপনির্বাচনগুলো হচ্ছে, যেজন্য শাসক দলের বিধায়ক হিসেবে তাঁরা বাড়তি সুবিধে পাচ্ছেন । ক্ষমতা দখলের এই পদ্ধতি দলত্যাগ-বিরোধী আইনকে প্রভাবশূন্য করে তুলেছে ।


যদি দলত্যাগ-বিরোধিতার প্রকৃত উদ্দেশ্যে পৌঁছতে হয়, তাহলে এমন নতুন সংস্কার আনতে হবে, এধরণের চাপিয়ে দেওয়া গণ দলত্যাগকে আটকাতে পারে । এটা করা যেতে পারে বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীদের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে দেওয়া । আবার এটাও নিশ্চিত করা যেতে পারে, যে উপনির্বাচনের আগে কোনও সরকার গঠন হবে না । অতএব, এটাই সময়, যখন সাংসদের উচিত দলত্যাগ-বিরোধী আইনের সংস্থানগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করা এবং এর অপব্যবহার বন্ধ করা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.