দিল্লি, 28 জানুয়ারি: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে CAA বিরোধী প্রস্তাব পাশ হওয়া নিয়ে এবার মুখ খুললেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷ 751 সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে 600 জনের মত নিয়ে 6টি প্রস্তাবের খসড়া গঠন হয়েছিল ৷ ওই খসড়াগুলিতে CAA-র জন্য দেশে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিকে সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেশছাড়া হওয়ার সবথেকে বড় আতঙ্ক হিসেবে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই খসড়াগুলির বিষয়ে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠালেন লোকসভার অধ্যক্ষ ৷
ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "একটি আইনসভা কখনওই অন্য একটি আইনসভা সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ করতে পারে না ৷ কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা হচ্ছে ৷" সংসদের উভয় কক্ষের সম্মতিতেই এই আইন পাশ হয়েছে ৷ চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, "ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার, তাদের সহজে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন ৷ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন নয় ৷"
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, "ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচারণ করা হচ্ছে, নিপীড়ন করা হচ্ছে ৷ বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে ৷ মানবাধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি ও সরকারের সমালোচক সাংবাদিকদেরও মুখ বন্ধ করিয়ে রাখা হচ্ছে ৷" এই মর্মে মানবাধিকার রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে ৷ CAA-কে সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেশছাড়া হওয়ার সবথেকে বড় আতঙ্ক হিসেবে দেখলেও, এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও জানিয়ে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট ৷
আরও পড়ুন : সমালোচনা করেও CAA ও কাশ্মীর ইশুতে সাবধানি ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদও ৷ চলতি মাসেই পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের উপর যে নিপীড়ন হয়েছে সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, " আমার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বন্ধুরা কি জানেন পাকিস্তানে শিখ ও হিন্দু মেয়েদের উপর কীভাবে অত্যাচার হয়েছে? "
30 জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের অধিবেশনে ওই প্রস্তাবগুলি পেশ হওয়ার কথা ৷ তার আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠালেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷