দিল্লি, 26 এপ্রিল : রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(RBI)-কে বার্ষিক প্রতিবেদন ও ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এর আগে নির্দেশ সত্ত্বেও ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করেনি RBI। তাই এবার শেষ সুযোগ দেওয়া হল বলে আজ জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুভাষচন্দ্র আগরওয়াল ও গিরীশ মিত্তলের করা RTI মামলার শুনানি হয় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এটাই শেষ সুযোগ। এরপর নির্দেশের লঙ্ঘনকে গুরুতরভাবে দেখা হবে।
এই সংক্রান্ত ১০ টি উল্লেখযোগ্য বিষয়-
- ব্যাঙ্কগুলির বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় তথ্য জানার অধিকার আইনে চলতি বছরের জানুয়ারিতে RBI-কে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।
- আবেদনকারীদের দাবি ছিল, প্রাক্তন গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের সময় RBI ইচ্ছাকৃতভাবে শীর্ষ আদালতের রায়কে অমান্য করেছিল। এই রায়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিকে তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল।
- বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে তার তথ্য প্রকাশের নীতি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেয়।
- এছাড়াও তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে RBI-কে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনার করার জন্য সতর্ক করে।
- সুপ্রিম কোর্ট বলে, RBI-র এই তথ্য প্রকাশ না করার নীতি 2015 সালে তাদের রায়কে লঙ্ঘন করেছিল।
- 2015 সালের ডিসেম্বরে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদনকারীরা কয়েকটি বিষয়ে তথ্য চান। তাঁরা 2011-র এপ্রিল থেকে এপর্যন্ত ICICI, AXIX, HDFC এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বার্ষিক প্রতিবেদনের কপিগুলি দেখতে চান।
- 2016 সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বিষয়টিকে অস্বীকার করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানায়, এটি RTI ও RBI অ্যাক্টের আওতার মধ্যে পড়ে না।
- এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, RBI কোনও তথ্যসন্ধানকারীকে তথ্য দিতে অস্বীকার করতে পারে না। ওই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না বলে আইন থাকলেই তা ছাড় পাবে।
- RBI তার অবস্থানকে সমর্থন করে জানায়, যেহেতু ব্যাঙ্কের বার্ষিক প্রতিবেদনের মধ্যে অনেক বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে তাই এটা প্রকাশ করা যায় না।
- তথ্য প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার জন্য আজ শীর্ষ আদালত শেষ সুযোগ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এরপর কোনও নির্দেশের লঙ্ঘনকে গুরুতরভাবে দেখা হবে।