দিল্লি, 9 জুলাই : গালওয়ানে ভারতের অবস্থান নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস ৷ কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা আজ এই বিষয়ে টুইট করেন ৷ তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘‘ভারতীয় সীমানার মধ্যে কি বাফার জ়োন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে? গালওয়ান উপত্যকায় কেন্দ্রের দাবি কি প্রত্যাহার করা হয়েছে?’’
কংগ্রেসের মুখপাত্র জানান, গালওয়ানে সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ায় চারটি প্রশ্ন উঠেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী এই চার প্রশ্নের উত্তর দিন ৷ 1) ভারতীয় সীমানায় কি ‘বাফার জ়োন’ তৈরি করা হয়েছে? 2) সেনা ভারতীয় সীমানার মধ্যে কি 2.4 কিলোমিটার পিছু হটেছে? 3) PP-14’তে ভারতীয় সীমানার মধ্যে কি আপোষ করা হচ্ছে? 4) গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে কেন্দ্রের দাবি কি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে? টুইটে এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন জুড়ে দেন সুরজেওয়ালা ৷
15 জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন 20 জন ভারতীয় জওয়ান ৷ অন্যদিকে ভারতের তরফে চিন সেনারও 43 জন জওয়ানের হতাহতের কথা বলা হলেও, চিন তা স্বীকার করেনি। 15 জুনের ঘটনার পর LAC জুড়ে অস্থায়ী শিবির তৈরি করে চিন সেনা ৷ জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফেও উপত্যকায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয় ৷ দুই তরফে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ সীমান্তে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে 3 জুলাই প্রধানমন্ত্রী লে-তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেখা করতে যান ৷ সেখানে সেনা হাসপাতাল পরিদর্শন করে চিনের আগ্রাসী আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, “ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, সম্প্রসারণবাদীরা হয় হেরে গিয়েছে, না হয় পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”
ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দু’দেশ কমপক্ষে দেড় কিলোমিটার জুড়ে বাফার জ়োন তৈরি করবে ৷ সূত্রের খবর, বরফ গলে গালওয়ান নদীর জলস্তর বাড়ছে ৷ চিনা সেনার পিছু হটার এটা একটা কারণ হতে পারে ৷ চিনা সেনার গতিবিধি নজরে রাখতে ভারতীয় সেনা ড্রোন ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে ৷ প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ফোরের দিকে সরে গেছে চিনা সেনা ৷ এই এলাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে ৷ ওই এলাকাতে চিনা সেনা 120টি গাড়ি ও কয়েক ডজন নৌকা নিয়ে এসেছিল ৷