তেলাঙ্গানা, 24 জানুয়ারি: তেলাঙ্গানার বেআইনি ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ কেলেঙ্কারির সঙ্গে চিনের যোগ আরও গভীর হল। পাঁচজন আত্মঘাতী হওয়ার পর গত মাসে এই চক্রের পর্দাফাঁস করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় চিনের চার নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পেছনে চিনের আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তার খোঁজে তদন্ত চলছে।
বিনা পরিশ্রমেই 2 মিনিটে মেলে মোটা অঙ্কের টাকার ঋণ। কিন্তু সেই ঋণই গরিব মানুষদের জীবনকে নরকে পরিণত করে ছাড়ে। হেনস্থা ও ব্ল্যাক মেলিং সহ্য করতে না-পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছেন অনেকেই। তারই তদন্তের সূত্র ধরে প্রকাশ্যে আসে কেলেঙ্কারি। গত 22 জানুয়ারি এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সাইবেরাবাদ পুলিশ। গুরুগ্রামের ফ্ল্যাশ ক্ল্যাশ প্রাইভেট লিমিটেডের অধিকর্তা হেমন্ত কুমার ঝাঁ, বেঙ্গালুরুর জাস আইটি টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের এইচআর ম্যানেজার ভি মঞ্জুনাথ ও বেঙ্গালুরুরই টিজিএইচওয়াই ট্রাস্ট রক প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজার আবদুল লাউক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
38 বছরের জি চন্দ্রমোহনের আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই তিনজনকে। 11টি অ্যাপের থেকে 70,000 টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সাইবেরাবাদ পুলিশের বালানগরের ডেপুটি কমিশনার পিভি পদ্মজা জানিয়েছেন, ''ইনস্টলমেন্টে এই অ্যাপগুলিকে তিনি ২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। তবুও তাঁকে ডিফল্টার বলে দাবি করে হেনস্থা করা হচ্ছিল। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হন।'' সুপারমার্কেটে কর্মরত চন্দ্রমোহন গত 2 জানুয়ারি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে অস্ত্র কারখানার হদিশ কালিয়াচকে
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, তিনটি কোম্পানি গুগল প্লে স্টোরে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেয়। এরপর তারা সেই টাকা আদায় করলেও হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেলিং করে। ধৃত হেমন্ত চিনের এক নাগরিক মাইকেলের সাহায্য লোন অ্যাপ তৈরি করে গুরুগ্রামে অফিস চালাচ্ছিল। এই মামলায় ভুটানের এক নাগরিকের যোগও পেয়েছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি ঋণদানকারী অ্যাপের একটি কোম্পানির অধিকর্তা।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত চার চিনা নাগরিক-সহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে হায়দরাবাদ, সাইবেরাবাদ ও রাচাকোন্দা কমিশনারেটের পুলিশ।