দিল্লি, 20জুন : লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে যুদ্ধবিমান নিয়ে টহল শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা। এছাড়া তিব্বতে চিনের আকাশপথে গতিবিধির উপরও নজর রাখছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
বায়ু সেনার প্রধান মার্শাল আর কে এস ভাদুরিয়া জানান, বিগত কয়েক মাসে চিনের কোনও যুদ্ধবিমান ভারতীয় সীমান্ত রেখা লঙ্ঘন করেনি। তিনি বলেন, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আমরা প্রয়োজন মতো যেকোনও বিমান ওড়াতে পারি। এরমধ্যে প্রয়োজনে যুদ্ধবিমান নিয়ে টহলদারিও পড়ে।
তিব্বতের মালভূমিতে অধিক উচ্চতায়, যেখানে চিনের বায়ু সেনার ঘাঁটি রয়েছে, সেখানে চিনের আকাশপথে কোনও গতিবিধি দেখলেই ভারতীয় সশস্ত্র যুদ্ধ বিমানগুলি একত্র হবে বলে জানা গিয়েছে।
বায়ুসেনার প্রধান আজ হায়দারাবাদের কাছে দুন্দিগালে বায়ুসেনার অ্যাকাডেমি থেকে জানান, "যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত এবং উপযুক্ত বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ জওয়ানদের আত্মত্যাগকে আমরা বিফল হতে দেব না। "
গতকালই লাদাখের লেহ অঞ্চলের আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার অ্যাপাচি হেলিকপ্টার এবং উন্নত মিগ -29 এস -এর দেখা মেলে। বায়ুসেনার সদ্য কেনা অ্যাপাচি হেলিকপ্টারটিকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও উন্নত মানের আক্রমণকারী হেলিকপ্টার হিসেবে গণ্য় করা হয়। এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক অবধি ধ্বংস করা যায়। LAC তে চিন সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক মোতায়েন করার খবর পাওয়ার পরই অ্যাপাচি হেলিকপ্টার নিয়ে টহল শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
অন্যদিকে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ -29 এস-এ নতুন র্যাডার এবং অ্যাভিওনিক্স যোগ করে তাকে আরো উন্নত মানের করা হয়েছে। লাদাখে ভারতীয় বায়ুসেনা তরফ থেকে চিনুক পরিবহন হেলিকপ্টারটিও পাঠানো হয়েছে। চিনুক হেলিকপ্টারটি এম-777 আর্টিলারি বন্দুক বহনে সক্ষম, যা সহজেই লাদাখের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অস্ত্র পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
প্যাংগং হ্রদের কাছে তিব্বতের নাগরী ঘাঁটি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে চিন ক্রমাগত তাদের বায়ুসেনার ঘাঁটি ও বিমান অবতরণের জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসের স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে রানওয়ের জন্য সমান্তরাল ট্রাক নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছে।