দিল্লি, 27জুন : LAC তে চিনা যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের গতিবিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে উন্নত দ্রুত প্রতিক্রিয়ার বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম পাঠানো হল।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, সীমান্তে চিনা যুদ্ধবিমান বা পিপলস লিবারেশন আর্মির হেলিকপ্টারের অবৈধ প্রবেশ রুখতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনা তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিনা সৈন্যবাহিনী সুখোই-30 এবং বোমারু বিমানের মতো বিভিন্ন শক্তিশালী যুদ্ধবিমান সীমান্তে নিয়ে আসে। ভারতীয় সীমান্ত থেকে 10 কিলোমিটার দূরে এই বিমানগুলির ওড়ার প্রমাণ মিলেছে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভারত একটি বন্ধু দেশের তরফ থেকে দ্রুত শক্তিশালী বায়ু প্রতিরক্ষা সিস্টেম আনতে চলেছে, যা সীমান্তে যেকোনও শত্রুপক্ষকে প্রবেশে বাধা দেবে।
সূত্র অনুযায়ী, চিনা হেলিকপ্টার গুলিকে LAC -র বিভিন্ন অঞ্চলের খুব কাছ দিয়ে উড়তে দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে দৌলত বেগ ওলডি সেক্টর, পেট্রোলিং পয়েন্ট 14-র কাছে গালওয়ান উপত্যকা, পেট্রোলিং পয়েন্ট 15, পেট্রোলিং পয়েন্ট 17 এবং 17 এ উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকার এলাকার পাশাপাশি প্যাংগং ও ফিঙ্গার এলাকায় হেলিকপ্টারগুলিকে উড়তে দেখা গিয়েছে। ফিঙ্গার 3 এলাকায় সীমান্তের আরও কাছ দিয়ে টহল দিচ্ছে চিনের হেলিকপ্টারগুলি।
ভারতের তরফ থেকে আকাশ মিসাইলের মতো দ্রুত প্রতিক্রিয়ার বায়ু প্রতিরক্ষা মিসাইল সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। এই মিসাইলগুলি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ড্রোন ও দ্রুতগতির যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় পৌঁছানোর জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে মিসাইলগুলিতে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলিও সক্রিয়ভাবে ওঠানামা করছে।
আকাশপথে নজরদারিতে খামতিগুলি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে, যাতে শত্রুপক্ষের কোনও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর নজর এড়িয়ে আকাশপথের সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে প্রবেশ না করতে পারে।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন চিন ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করার চেষ্টা করে, তারপরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে সু-30 এম কে আই যুদ্ধবিমানকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে পাঠানো হয়। অন্যদিকে চিনের হেলিকপ্টারগুলিও লাদাখের সীমান্তের আশেপাশে নিয়মিত ঘোরাফেরা করছে, গালওয়ান উপত্যকার একটি নির্মীয়মান এলাকার আশেপাশেও হেলিকপ্টারগুলিকে উড়তে দেখা গিয়েছে।