দিল্লি, 6 জুন : সীমান্তে চক্কর মারছে বিমান । চলছে দু দেশের সেনাদের শক্তি প্রদর্শন । এই পরিস্থিতিতে আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করতে চলেছে ভারত ও চিন ৷ পূর্ব লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনার মধ্যেই এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ ভারতের তরফেই এই বৈঠকের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল ৷ ভারত-চিন সীমান্তের কাছে চুশুল-মোলদোতে আজ এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ৷
ভারতের হয়ে 14 কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং প্রতিনিধিত্ব করবেন ৷ অন্যদিকে, চিনের হয়ে তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডার এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন ৷ এখনও পর্যন্ত রিজিওনাল মিলিটারি কমান্ডারদের স্থানীয় স্তরে বহুবার বৈঠক হলেও তা কোনও ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করেনি ৷
ভারতের তরফে জানানো হয়, লাদাখ ও সিকিমের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনা সেনাবাহিনী ভারতের সাধারণ প্যাট্রলিংয়েও বাধা দিয়েছে ৷ পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে ৷
সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে । চিন নিজেদের LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল । এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশনকে দিয়ে LAC-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে । কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা । রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা । এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা ।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । পরে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নর্দার্ন কম্যান্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন । এর কয়েকদিন পরই সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিন সেনার প্রধানদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । স্থল সেনাপ্রধান মনোজমুকুল নারাভানের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি । আলাদা করে তিন সেনার প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী । সেদিনই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল । এর মাঝে ট্রাম্পের টুইট ঘিরেও বিস্তর জল্পনা শুরু হয় । ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ।
আজ শান্তিপূর্ণভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করা হবে ৷ এ নিয়ে আগেই কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ তবে এক আলোচনাতেই সমস্যা মিটবে না বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক ।