ETV Bharat / bharat

পূর্ব লাদাখে পিছু হটল ভারত ও চিনের সেনা

পূর্ব লাদাখ থেকে পিছু হটল ভারত ও চিনের সেনা । এই সপ্তাহে সেনা পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার কথাও রয়েছে । মে মাসের শুরুর দিক লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্য়ে ঝামেলা শুরু হয়েছিল ।

পূর্ব লাদাখ
পূর্ব লাদাখ
author img

By

Published : Jun 9, 2020, 7:34 PM IST

Updated : Jun 9, 2020, 8:30 PM IST

দিল্লি, 9 জুন : লাদাখ ইশুতে এবার বড় তথ্য় সামনে উঠে এল । সূত্রে খবর, গালওয়ান এলাকা থেকে প্রায় 2.5 কিমি পিছু হটল চিনের পিপল লিবারেশন আর্মির সেনা দল । ভারতও তাদের সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে । জানা গেছে, পেট্রোলিং পয়েন্ট 14 (গালওয়ান ক্ষেত্র), পেট্রোলিং পয়েন্ট 15, হট স্প্রিং এলাকা সহ আরও কয়েকটি জায়গা নিয়ে দুই দেশের সেনার তরফে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে ।

6 জুন পূর্ব লাদাখের কাছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে আলোচনা হয় । সেই সূত্র ধরেই এই পদক্ষেপ বলে, মনে করা হচ্ছে । ভারত-চিন সীমান্তের চুশুল-মোলদোতে সেদিনের পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, সীমান্ত ইশু সমাধানে দুই দেশই সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে পারস্পরিক যোগাযোগ সাধন করেছে । যাতে আলোচনার মাধ্য়মে সমস্যাগুলির সমাধান করা যায় । এখনও আলোচনা চলছে । ভারতের হয়ে বৈঠকে 14 কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ৷ অন্যদিকে, চিনের হয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডার ৷

সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। চিন নিজেদের LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল । এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশনকে দিয়ে LAC-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে । কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা । রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা । এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা । এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । পরে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নর্দার্ন কম্যান্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন । এর কয়েকদিন পরই সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । স্থল সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি । আলাদা করে তিন সেনার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী । সেদিনই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল । এর মাঝে ট্রাম্পের টুইট ঘিরেও বিস্তর জল্পনা শুরু হয় । ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ।

এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে খানিকটা হলেও শান্তির ভাবনা প্রতিফলিত হয় । দিনকয়েক আগে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "সীমান্ত ইশুতে বেজিং ও দিল্লি তৎপর । আমাদের সেনাবাহিনীর অত্যন্ত দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে । সমস্ত নিয়ম, প্রোটোকল ও উভয় দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে ।"

একইরকম সুর শোনা যায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের গলায় । তিনি বলেন, "সীমান্তে ভারতের সঙ্গে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা স্থিতিশীল । তা সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । সীমান্ত ইশুতে চিনের অবস্থান স্পষ্ট । আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে বিষয়গুলির সমাধান করার জন্য উভয় দেশেরই যথাযথ পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে ।"

দিল্লি, 9 জুন : লাদাখ ইশুতে এবার বড় তথ্য় সামনে উঠে এল । সূত্রে খবর, গালওয়ান এলাকা থেকে প্রায় 2.5 কিমি পিছু হটল চিনের পিপল লিবারেশন আর্মির সেনা দল । ভারতও তাদের সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে । জানা গেছে, পেট্রোলিং পয়েন্ট 14 (গালওয়ান ক্ষেত্র), পেট্রোলিং পয়েন্ট 15, হট স্প্রিং এলাকা সহ আরও কয়েকটি জায়গা নিয়ে দুই দেশের সেনার তরফে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে ।

6 জুন পূর্ব লাদাখের কাছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে আলোচনা হয় । সেই সূত্র ধরেই এই পদক্ষেপ বলে, মনে করা হচ্ছে । ভারত-চিন সীমান্তের চুশুল-মোলদোতে সেদিনের পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, সীমান্ত ইশু সমাধানে দুই দেশই সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে পারস্পরিক যোগাযোগ সাধন করেছে । যাতে আলোচনার মাধ্য়মে সমস্যাগুলির সমাধান করা যায় । এখনও আলোচনা চলছে । ভারতের হয়ে বৈঠকে 14 কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ৷ অন্যদিকে, চিনের হয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডার ৷

সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। চিন নিজেদের LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল । এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশনকে দিয়ে LAC-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে । কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা । রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা । এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা । এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । পরে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নর্দার্ন কম্যান্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন । এর কয়েকদিন পরই সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং । স্থল সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি । আলাদা করে তিন সেনার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী । সেদিনই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল । এর মাঝে ট্রাম্পের টুইট ঘিরেও বিস্তর জল্পনা শুরু হয় । ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ।

এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে খানিকটা হলেও শান্তির ভাবনা প্রতিফলিত হয় । দিনকয়েক আগে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "সীমান্ত ইশুতে বেজিং ও দিল্লি তৎপর । আমাদের সেনাবাহিনীর অত্যন্ত দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে । সমস্ত নিয়ম, প্রোটোকল ও উভয় দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে ।"

একইরকম সুর শোনা যায় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের গলায় । তিনি বলেন, "সীমান্তে ভারতের সঙ্গে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা স্থিতিশীল । তা সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । সীমান্ত ইশুতে চিনের অবস্থান স্পষ্ট । আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে বিষয়গুলির সমাধান করার জন্য উভয় দেশেরই যথাযথ পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে ।"

Last Updated : Jun 9, 2020, 8:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.