কোচি, 23 জুলাই : কেরালায় সোনা পাচারকাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের বদলি ঘিরে নয়া বিতর্ক । সম্প্রতি 6 সুপারিনটেনডেন্ট ও 2 ইন্সপেক্টরের বদলির নির্দেশ জারি হয় । তাঁদের পোস্টিং ছিল কোচিতে । উল্লেখ্য শুল্ক দপ্তরের এই কোচিন ইউনিটই প্রথম সোনা পাচারকাণ্ডের পরদা ফাঁস করেছিল ।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত মোট 42 জন অধিকারিকের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এরমধ্যে সোনা পাচার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত মূল তদন্তকারী অধিকারিকরাও রয়েছেন । হঠাৎ তদন্তকারী আধিকারিকদের বদলির বিষয়টি দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছেছে । আদেশ বাতিল না হলেও, আপাতত তা আটকানো হয়েছে ।
5 জুলাই তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় 30 কেজি সোনা ৷ দুবাই থেকে তিরুবনন্তপুরমে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় UAE দূতাবাসে প্রাক্তন কর্মী পি এস সারিথকে । সোনা পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়তে শুরু করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তরের ৷ তবে ঘটনার সঙ্গে কেরালা সরকারের কোনও যোগ নেই বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ৷
9 জুলাই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) -র হাতে ৷ NIA এরপর 10 জুলাই FIR নথিভুক্ত করে ৷ FIR নথিভুক্ত হওয়ার ঠিক একদিনের মধ্যে (11 জুলাই) সোনা পাচারের ঘটনায় অন্যতম দুই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও সন্দীপ নায়ারকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷ তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামে ওই ব্যাগ ছিল ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, তিনি কেরালা সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরেও চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ৷ জানা গেছে, ধৃত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে এম শিবশংকর নামে এক IAS আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে ৷ এম শিবশংকর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও IT দপ্তরের প্রধান সচিব ছিলেন ৷ সোনা পাচারের ঘটনায় তাঁর নাম উঠে আসতেই দু'টি পদ থেকেই সরানো হয়েছে তাঁকে ৷
সম্প্রতি শুল্ক দপ্তরের কোচিন ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছিল, সোনা পাচারকাণ্ডে জড়িত এমন কাউকে রেয়াত করা হবে না । অভিযুক্তদের সঙ্গে সামান্য যোগ রয়েছে এমন যে কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তির জবানবন্দীও নেওয়া হবে ।
