ETV Bharat / bharat

আপনার শিশু কি কোরোনায় আক্রান্ত ? কীভাবে বুঝবেন ?

আপনার বাচ্চার মধ্যে কী কী উপসর্গ থাকলে বুঝবেন যে সে কোরোনা আক্রান্ত কি না

How to Recognize COVID 19 symptoms in kids
শিশুদের মধ্যে কোভিড 19 উপসর্গ কীভাবে চিনবেন?
author img

By

Published : Jul 7, 2020, 11:08 AM IST

বাচ্চাদের মধ্যে আগেভাগে কোরোনা উপসর্গ চিহ্নিত করা এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ । এনিয়ে হায়দরাবাদের রেনবো হাসপাতালের নিওনেটাল পেডিয়াট্রিশিয়ান বিজয়ানন্দ জামালপুরীর সঙ্গে কথা বলেছে ETV ভারত সুখীভব ।

বাচ্চাদের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ কতটা সাধারণ ?

আমরা সঠিক তথ্যটা জানি না। কারণ, বিশ্বজুড়ে সমীক্ষাগুলিতে উপসর্গবিহীন শিশুদের পরীক্ষা করা হয়নি । যদিও আমরা জানি, কোরোনা সদ্যোজাত থেকে 18 বছর বয়সি- সবাইকে সংক্রমিত করতে পারে । অর্থাৎ, বিশ্বজুড়ে শিশু চিকিৎসার সম্পূর্ণ ক্ষেত্রটাকেই ।

বড়দের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে ছোটোদের মধ্যে কোরোনা অসুস্থতা কতটা আলাদাভাবে দেখা দেয় ?

ব্রিটেন, অ্য়ামেরিকা এবং চিন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে 2 শতাংশ শিশু, যা রোগের ব্যাপ্তিকে ধরলে খুবই সামান্য অংশ । কোরোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশু 5 শতাংশ এবং সংক্রমণের মাত্রা মৃদু থেকে মাঝামাঝি। তা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোরোনার জেরে একটা “পেডিয়াট্রিক মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম” তৈরি হয়েছে যেখানে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জ্বালা করছে । এক্ষেত্রে আপনার শরীরেই ইমিউনিটি বেড়ে গিয়ে অন্যান্য অঙ্গগুলির উপর প্রভাব ফেলে । কিন্তু, এক্ষেত্রেও আক্রান্ত শিশুর অনুপাত অনেক কম । এই গুরুতর অসুস্থতা সবসময় দেখা যায় না; এক হাজার আক্রান্ত শিশুর মধ্যে একজনের হয় ।

বাচ্চাদের মধ্যে আপনি কী ধরনের উপসর্গ দেখতে পেয়েছেন এবং কখন বাবা-মার ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত ?

জ্বর

সবথেকে বেশি দেখা যায় জ্বর এবং তার সঙ্গে কাশি ও মাথাব্যথা । মাথাব্যথা ততটা বেশিও দেখা যায় না (কোরোনা উপসর্গ নিয়ে আসা চারজন শিশুর মধ্যে একজনের মাথাব্যথা থাকতে পারে) । গলায় জ্বালা বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় না । দ্বিতীয়ত, একদম ছোট্টরা, বিশেষ করে প্রি-স্কুলের বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের গলায় জ্বালা করছে কি না । তারা অনবরত কাঁদতে থাকে অথবা খেতে চায় না, বা খাবার গিলতে কষ্ট হয় এবং লালা ঝরতে থাকে ।

অন্যান্য উপসর্গ হতে পারে- শরীরে যন্ত্রণা । একটু বড় বাচ্চা আপনাকে সেটা বলতে পারবে, কিন্তু একদম ছোটোরা তাদের খেলা বন্ধ করে দেবে বা কাঁদবে । বমি বা ডায়েরিয়াও দেখা যেতে পারে । শ্বাসকষ্ট বেশি হয় না । সক্রিয়তা অনেকটা কমে যাওয়া এবং স্বাভাবিক আচরণের বাইরে কিছু । যেমন- বাচ্চা হয়ত উঠে দাঁড়াতে বা নড়তে চাইছে না । সাধারণভাবে জ্বর হলে বাচ্চাদের সক্রিয়তা কিছুটা কমে যায়, কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা আরও স্পষ্ট । এই উপসর্গগুলি সম্পর্কে বাবা-মা-রা সচেতন হলে এটা নিশ্চিত করা যাবে যে প্রতিটি বাচ্চা সময়ে চিকিৎসা পাবে ।

বাচ্চাদের মধ্যে আগেভাগে কোরোনা উপসর্গ চিহ্নিত করা এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ । এনিয়ে হায়দরাবাদের রেনবো হাসপাতালের নিওনেটাল পেডিয়াট্রিশিয়ান বিজয়ানন্দ জামালপুরীর সঙ্গে কথা বলেছে ETV ভারত সুখীভব ।

বাচ্চাদের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ কতটা সাধারণ ?

আমরা সঠিক তথ্যটা জানি না। কারণ, বিশ্বজুড়ে সমীক্ষাগুলিতে উপসর্গবিহীন শিশুদের পরীক্ষা করা হয়নি । যদিও আমরা জানি, কোরোনা সদ্যোজাত থেকে 18 বছর বয়সি- সবাইকে সংক্রমিত করতে পারে । অর্থাৎ, বিশ্বজুড়ে শিশু চিকিৎসার সম্পূর্ণ ক্ষেত্রটাকেই ।

বড়দের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে ছোটোদের মধ্যে কোরোনা অসুস্থতা কতটা আলাদাভাবে দেখা দেয় ?

ব্রিটেন, অ্য়ামেরিকা এবং চিন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে 2 শতাংশ শিশু, যা রোগের ব্যাপ্তিকে ধরলে খুবই সামান্য অংশ । কোরোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশু 5 শতাংশ এবং সংক্রমণের মাত্রা মৃদু থেকে মাঝামাঝি। তা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোরোনার জেরে একটা “পেডিয়াট্রিক মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম” তৈরি হয়েছে যেখানে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জ্বালা করছে । এক্ষেত্রে আপনার শরীরেই ইমিউনিটি বেড়ে গিয়ে অন্যান্য অঙ্গগুলির উপর প্রভাব ফেলে । কিন্তু, এক্ষেত্রেও আক্রান্ত শিশুর অনুপাত অনেক কম । এই গুরুতর অসুস্থতা সবসময় দেখা যায় না; এক হাজার আক্রান্ত শিশুর মধ্যে একজনের হয় ।

বাচ্চাদের মধ্যে আপনি কী ধরনের উপসর্গ দেখতে পেয়েছেন এবং কখন বাবা-মার ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত ?

জ্বর

সবথেকে বেশি দেখা যায় জ্বর এবং তার সঙ্গে কাশি ও মাথাব্যথা । মাথাব্যথা ততটা বেশিও দেখা যায় না (কোরোনা উপসর্গ নিয়ে আসা চারজন শিশুর মধ্যে একজনের মাথাব্যথা থাকতে পারে) । গলায় জ্বালা বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় না । দ্বিতীয়ত, একদম ছোট্টরা, বিশেষ করে প্রি-স্কুলের বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের গলায় জ্বালা করছে কি না । তারা অনবরত কাঁদতে থাকে অথবা খেতে চায় না, বা খাবার গিলতে কষ্ট হয় এবং লালা ঝরতে থাকে ।

অন্যান্য উপসর্গ হতে পারে- শরীরে যন্ত্রণা । একটু বড় বাচ্চা আপনাকে সেটা বলতে পারবে, কিন্তু একদম ছোটোরা তাদের খেলা বন্ধ করে দেবে বা কাঁদবে । বমি বা ডায়েরিয়াও দেখা যেতে পারে । শ্বাসকষ্ট বেশি হয় না । সক্রিয়তা অনেকটা কমে যাওয়া এবং স্বাভাবিক আচরণের বাইরে কিছু । যেমন- বাচ্চা হয়ত উঠে দাঁড়াতে বা নড়তে চাইছে না । সাধারণভাবে জ্বর হলে বাচ্চাদের সক্রিয়তা কিছুটা কমে যায়, কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা আরও স্পষ্ট । এই উপসর্গগুলি সম্পর্কে বাবা-মা-রা সচেতন হলে এটা নিশ্চিত করা যাবে যে প্রতিটি বাচ্চা সময়ে চিকিৎসা পাবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.