হংকং , 1 জুলাই : হংকংয়ের জন্য বিতর্কিত জাতীয় সুরক্ষা আইনকে চিন গতকাল অনুমোদন দিল ৷ চিন কর্তৃক আরোপিত এই আইনে বলা হয়েছে , নতুন নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করলে হংকংবাসীদের যাবজীবন কারদণ্ড হতে পারে । সম্পূর্ণ আইনটি হংকংবাসীকে জানানো হয় গতকাল রাত 11 টা নাগাদ ৷ আর আজ থেকে পুরেপুরিভাবে লাগু হচ্ছে আইনটি ৷
প্রসঙ্গত, আজকের দিনটিকে এই আইন লাগু করার দিন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে কারণ 23 বছর আগে আজকের দিনটিতেই হংকং ব্রিটিশ আধিপত্য থেকে চিনের দখলে যায় ৷ মঙ্গলবার জাতীয় জনগণের কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির অনুমোদনের পরে এই আইনটি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্বাক্ষর করেন ৷ সরকারি সিনহুয়া নিউজ় এজেন্সি জানিয়েছে, আইনটিকে হংকংয়ের সংবিধানের বেসিক আইনে সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ।
এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করবে তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে গণ্য করা হবে ৷ শাস্তি হিসাবে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে । আইনটিতে আরও বলা হয়েছে যে হংকং সরকারকে জাতীয় সুরক্ষা সম্পর্কিত অন্য বিষয়গুলি সর্বসাধারণের জন্য প্রচার করতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি সঠিক তথ্য যাতে প্রচারিত হয় সেই দিকটাও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ৷
-
Today, the United States is ending exports of @StateDeptPM controlled U.S. origin defense equipment and sensitive @CommerceGov controlled dual-use technologies to Hong Kong. If Beijing now treats Hong Kong as “One Country, One System,” so must we.
— Secretary Pompeo (@SecPompeo) June 29, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Today, the United States is ending exports of @StateDeptPM controlled U.S. origin defense equipment and sensitive @CommerceGov controlled dual-use technologies to Hong Kong. If Beijing now treats Hong Kong as “One Country, One System,” so must we.
— Secretary Pompeo (@SecPompeo) June 29, 2020Today, the United States is ending exports of @StateDeptPM controlled U.S. origin defense equipment and sensitive @CommerceGov controlled dual-use technologies to Hong Kong. If Beijing now treats Hong Kong as “One Country, One System,” so must we.
— Secretary Pompeo (@SecPompeo) June 29, 2020
আইন পাশের ঘটনার সূত্রপাত গত বছর ৷ এই আইনটিতে বলা হয়েছে , হংকংয়ে কোনওপ্রকার রাষ্ট্রদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ মেনে নেওয়া হবে না । এছাড়া প্রয়োজন পড়লে চিনের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি হংকংয়ে বিনা বাধায় কাজ করতে পারবে যাতে জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকবে । অর্থাৎ হংকংয়ের নিজস্ব সংস্থার পাশাপাশি চিন সেখানে তার নিজস্ব সংস্থাও রাখতে পারবে । তারপর থেকেই সমালোচনা মুখে পড়তে হয় চিনকে ৷ সমালোচকদের মতে , এই আইনের দ্বারা চিন হংকংয়ের উপর নিজেদের কর্তৃত্বকে আরও মজবুত করতে চায় । আইনটি অনুমোদন না করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে হংকং শহর ৷ হংকংবাসীরা আক্রমণাত্মক হয়ে বহু সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলে ৷ তা সত্ত্বেও আজ লাগু হচ্ছে আইনটি ৷
একটি ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে হংকয়ের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা কমিটির মুখ্য কার্যনিবাহী ক্যারি লেম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনকে আইন সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে জানান ৷ হংকয়ের এই জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা কমিটির পরিচালনার ভার লেমকে দেওয়া হলেও তত্ত্বাধানের রাশ থাকছে চিনের হাতেই ৷
আইনের বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী স্ট্যান্ডিং কমিটির একক প্রতিনিধি ট্যাম ইইউ-চুং বলেন, " আশা করি আইন জনগণকে ঝামেলা এড়ানোর প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে । দেশকে বিভক্ত করার সরঞ্জাম হিসাবে হংকংকে ব্যবহার করতে দেবেন না । "
যদিও গতকাল আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকেই আবার প্রতিবাদে নামে হংকংবাসীরা৷ সেই কারণে গতকাল হংকয়ের তামার পার্ক এবং একটি বহুতল মলের সামনে চলে বিভোক্ষ ৷ ওঠে স্লোগান ৷ যাতে বলা হয় ," হংকয়ের স্বাধীনতা চাই , চলুক বিপ্লব ৷ "