দিল্লি, 9 অগাস্ট : কেরালার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে ৷ সে রাজ্যে আগামী 48 ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন ৷ গতকাল ওয়েনাদে চা শ্রমিকদের বসতি ভেসে যায় । কমপক্ষে 200 জন আহত হন । দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় । 14 টি জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ । বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে । কোচি এয়ারপোর্ট রবিবার থেকে বন্ধ । কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন । কেরলের বিভিন্ন জেলা থেকে 22 হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে । 315 টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে রাজ্যজুড়ে । কেরালার বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন রাহুল গান্ধি ৷
উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কর্নাটকেও । ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা হেলিকপ্টারে বন্যা কবলিত জেলাগুলি পরিদর্শন করেছেন । আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া কর্নাটকের বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখবেন । পরস্থিতি আরও জটিল হয়েছে গতকাল ৷ মহারাষ্ট্রের কৃষ্ণা নদী থেকে 4 লাখ কিউসেক জয় ছাড়া হয়েছে ৷ যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গেছে ৷ আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে বায়ুসেনা ৷ রাজ্যের একাধিক নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে ৷ একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা ৷ এদিকে আগামী 24 ঘন্টায় কর্নাটকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন ৷
মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে বন্যাপরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে ৷ পঞ্চগঙ্গা নদীর জল পুরো শহর ভাসিয়ে দিয়েছে ৷ বিভিন্ন শহরের অধিকাংশ এলাকা প্রায় 10 ফুট জলের তলায় ৷ গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হেলিকপ্টারে সাঙ্গলি ও কোলাপুর পরিদর্শন করেন ৷ আধিকারিকদের মতে কোলাপুর ও সাঙ্গলির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে 2-3 দিন লাগতে পারে ৷ এদিকে আগামী 24 ঘন্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ কোলাপুরের 38 হাজার মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৷