কুরুক্ষেত্র, 21 জুলাই : এক 14 বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে প্রথমে ধর্ষণ, ও পরে তাকে নিষিদ্ধ পল্লীতে পাচার করার অভিযোগ উঠল মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ।
ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । তারপরেও কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কোনরকম সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা । অবশেষে হরিয়ানার রাজ্য কমিশন ফর উইমেনকে বিষয়টি জানায় । হরিয়ানার রাজ্য কমিশন ফর উইমেনের সদস্যা নম্রতা গউর কিশোরীর পরিবারের সাথে কথা বলে, পুলিশের কর্মকাণ্ডে ধিক্কার জানায় । পুলিশি তদন্তকে অত্যন্ত ধীর এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন । আরও জানান, তদন্তে অবহেলা করছেন যেসব কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নম্রতা গউর বলেন, "চলতি বছরের 20 জানুয়ারি কিশোরীকে কুরুক্ষেত্রের গ্রাম থেকে অপহরণ করা হয় । পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল, যদিও তাদের অপহরণের সন্দেহ হয় । তবুও তাতে কোনও সুরাহা মেলেনি । দুর্ভাগ্যবশত মানবপাচারকারীদের ফাঁদে পা দিয়েছিল কিশোরী ।"
গউর আরও বলেন, ওই কিশোরীকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে পরে তাকে জোর করে নিষিদ্ধ পল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয় । নির্যাতিতার বক্তব্যে প্রকাশ পায় তিনি 100 বারেরও বেশি ধর্ষিত হয়েছেন এমনকি প্রতিদিন তিন থেকে চারজন তাকে ধর্ষণ করে তাকে উত্তরপ্রদেশে এবং লুধিয়ানায় নিয়ে গিয়েছিল এক মহিলা যিনি এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ।
নির্যাতিতার মা বলেন, “গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় । তারপর তাকে হোটেলে রেখে তার ওপর অত্যাচার চালায়, গণধর্ষণ করে । অবশেষে তাকে নিষিদ্ধ পল্লীর ওই মহিলার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় । সেখান থেকে আমার মেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে জোর করে এক মুসলিমের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । শেষ পর্যন্ত কিছু জনের সাহায্যে থানায় এসে পৌঁছায় ।”