দিল্লি, 8 জানুয়ারি : হোমের 35 জন মেয়েকে খুন করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করছিল পুলিশ । কিন্তু এবার মুজফ্ফরপুর হোমের ঘটনায় নতুন মোড় । CBI আজ শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, মেয়েদের খুন করা হয়নি তারা এখনও বেঁচে রয়েছে ।
গতবছর হোমে হাড়গোড় উদ্ধার হয় । খুনের অভিযোগ উঠেছিল হোমের মালিক ব্রজেশ ঠাকুরের বিরুদ্ধে । ঘটনায় CBI সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা হোমের মালিক ব্রজেশ ঠাকুর ও তার সঙ্গীরা 11 জন মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে । কিন্তু আজ CBI জানায়, তদন্তের সময় একটি পুরুষ ও একটি নারীর কঙ্কাল উদ্ধার হয় । কিন্তু কোনও অল্পবয়সি মেয়ের খুনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি ।
অ্যাটর্নি জেনেরাল কে কে বেণুগোপাল CBI-র পক্ষে সওয়াল করেন । আজ তিনি বলেন, প্রথমে মনে করা হচ্ছিল মেয়েগুলিকে খুন করা হয়েছে । পরে তদন্ত নেমে দেখা যায় তারা বেঁচে আছে । বিহারের মোট 17 টি হোমের তদন্ত করে CBI । এর মধ্যে 13 টি হোমের ঘটনায় চার্জশিট তৈরি হয় । এর মধ্যে কোনও প্রমাণ না মেলায় প্রথমেই চারটি হোমের তদন্ত বন্ধ হয়ে যায় । আজ প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে CBI-র পুরো রিপোর্টটি গৃহীত হয় ।
বছর দুয়েক আগের ঘটনা । বিহাররে হোমগুলিতে অশ্লীল গানে নাচতে বাধ্য করা হত মেয়েদের । তাদের উত্ত্যক্ত করা হত । এমনকি ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানা যায় । ঘটনায় রাজনৈতিক নেতা-আমলাদের নাম জড়ায় । চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের বিরুদ্ধে নানা গুরুত তথ্য উঠে আসে । এমনকী যখন শুনানির সময় ব্রজেশকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ক্যামেরার সামনে হাসতে দেখা যায় তাকে । এরপর পুরো বিষয়টি আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ।
রাজ্যের হোমের ঘটনায় জড়িতেদের বিরুদ্ধে বিহারের সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে CBI । 25 IAS সহ 70 জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে ।