দিল্লি, 1 ফেব্রুয়ারি: অতিমারীর পর দেশের অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করাটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের৷ এবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের লক্ষ্যও ছিল সেটাই৷ সংসদে বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন নির্মলা স্বয়ং৷ জানান, অতিমারী সামলাতে নানা খাতে বাড়াতে হয়েছে খরচের বহর৷ এবারের বাজেটেও তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়েছেন তিনি৷
এই নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন নির্মলা৷ তবে এবার আর ছাপানো কাগজ নয়, ট্যাবলেটের স্ক্রিন থেকে বাজেট বক্তৃতা পড়েন তিনি৷ যা এখনও পর্যন্ত বাজেট পেশের সময় তাঁর সবথেকে ছোট ভাষণ৷ যার সারমর্ম ছিল, খরচবৃদ্ধি৷ হ্যাঁ৷ স্বাস্থ্য থেকে পরিকাঠামো, সব খাতেই খরচ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ বাড়ানো হয়েছে সামগ্রিক মূলধনী খরচও৷
এই প্রসঙ্গে নির্মলা বলেন, ‘‘2020 সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের রাজস্ব ঘাটতি শুরু হয়েছিল 3.5 শতাংশ থেকে৷ যা বেড়ে হয়েছে জিডিপির 9.5 শতাংশ৷ যার অর্থ হল, আমরা খরচ করেছি, আমরা খরচ করেছি, আমরা খরচ করেছি৷ একইসঙ্গে, ঘাটতি মেটাতেও প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলিতে একাধিক উন্নয়নমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷’’
পেট্রল-ডিজেল-সহ বিভিন্ন পণ্য়ের উপর কৃষি সেস আরোপিত হলেও তাতে যে ক্রেতাদের খরচ বাড়বে না, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাও স্পষ্ট করে দেন নির্মলা৷ বলেন, ‘‘কৃষি সেসের জন্য সাধারণ ক্রেতাদেরই কাউকেই বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে না৷’’
এবারের বাজেটে ন্য়াশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জন্য 50 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী৷ আগামী পাঁচ বছরে গবেষণার জন্য এই টাকা দেওয়া হবে৷ নির্মলা বলেন, ‘‘এর ফলে দেশজুড়ে গবেষণার কাজে গতি আসবে৷’’
আরও পড়ুন: বাঙালি আবেগ ছুঁতে সংসদে লাল পাড়-সাদা শাড়িতে নির্মলা
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে পরিকাঠামোগত উন্নতি করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এমএসএমই-র সংজ্ঞাই আমরা বদলে দিয়েছি৷ ক্ষুদ্র ব্য়বসায়ীদের উপর থেকে আর্থিক বোঝা কমাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷’’ এর ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতি হয়েছে৷ উপকৃত হয়েছেন ছোট ব্য়বসায়ীরা৷