গ্রামের ছবি আঁকতে বসলে খেতে-খামার লাগে, কিংবা কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি ৷ সবচেয়ে বড় কথা, গ্রাম মানে সবুজ প্রকৃতি যেমন, তেমনই গরিবির ছাপ ৷ এই গ্রাম সেই পথ ছেড়েছে বহুকাল ৷ এখানে অত্যাধুনিক লাইফস্টাইল, এমন সুযোগসুবিধা আছে, যা অনেক শহরেও থাকে না ৷ সাধে কী আর কোটিপতিদের গ্রাম !
চিনের জিয়াংজু প্রদেশের হুয়াক্সি ৷ এটিই না-কি বিশ্বের ধনীতম গ্রাম ৷ ডাকনামও খাসা, ডাকনাম হল "সুপার ভিলেজ" ৷ 1967 সালে গড়ে ওঠে হুয়াক্সি ৷ সেই সময় আর পাঁচটা গ্রামের মতো দিগন্ত বিস্তৃত খেত, কাঁচা বাড়ি, মাটির রাস্তা ছিল এগ্রামেও ৷ জানা যায়, গ্রামের চেহারা বদলায় চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন নেতা উ রেনবাওয়ারে চেষ্টায় ৷ দাবি করা হয়, একসময় যাঁরা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাঁরাই আজ কোটিপতি ৷ বাস্তবিক ৷ গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কম করে রয়েছে 10 লাখ ইউনান, অর্থাৎ কিনা 1 কোটি 20 লাখ টাকা ৷
হুয়াক্সির বাসিন্দার সংখ্য মোটামুটি দুই হাজার ৷ বিশেষ কারণে গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাদের বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়িসহ জীবন যাপনের সবরকম সুবিধা দেয় সরকার ৷ এমনকী সেইসব সুবিধা পেতে গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় না স্থানীয়দের ৷ তবে, এইসব সুবিধা ভোগ করতে পারেন কেবল হুয়াক্সির আসল বাসিন্দারাই ৷ কিন্তু এতকিছু দেওয়ার কারণ কী ? এমনি এমনি !
এমনি নয় মোটেই ৷ জিয়াংজু প্রদেশের হুয়াক্সিকে সমৃদ্ধ গ্রামে পরিণত করতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন এখানকার বাসিন্দারা ৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ৷ জেনে রাখা ভালো, এখানে সপ্তাহের সাতদিনই কাজের দিন ৷ ছুটি বলে কিছু নেই ৷ এছাড়াও এগ্রামে জুয়া, মদ নিষিদ্ধ ৷ তবেই না 72তলা ভবন গড়ে ওঠে গ্রামে ! শপিংমল থেক থিম পার্ক... কী নেই ! রয়েছে বড় শিল্প কারখানা ৷ অধিকাংশ বাণিজ্য সংস্থার শেয়ার হোল্ডার গ্রামবাসীরাই ৷ তবে, গ্রাম ছাড়লেই কিন্তু ফক্কা ! বাজেয়াপ্ত হবে সব সম্পত্তি ৷