ওয়ানাপার্থি (তেলাঙ্গানা) , 9 সেপ্টেম্বর : এখন "মুরগির মাংস" খাবারের থালায় থাকা মানেই ভোজনরসিকদের পোয়াবারো ৷ অন্যদিকে ডিম উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাদ্য ৷ আজকাল নিরামিষাশীরাও প্রোটিনের লোভে ডিম খেয়ে হয়েছে "এগিটেরিয়ান" ৷ এছাড়াও আছে মাছ ৷ আজকাল এটিও প্রায় প্রত্যেকেরই প্রিয় ৷
কিন্তু এই সুস্বাদু আমিষ পদগুলিই যেন খাওয়া পাপ তেলাঙ্গানার ওয়ানাপার্থির "হ্যামলেট" জাতির মানুষদের কাছে ৷ প্রায় বহু প্রজন্ম ধরে তারা এই আমিষ খাবারগুলি এড়িয়ে চলেছেন ৷ এমনকি তারা মাছ, মুরগি কিছু পোষেনও না ৷ পার্শ্ববর্তী অন্য গ্রামগুলিতে যখন মুরগির ডাক শুনে মানুষের ভোরবেলা ঘুম ভাঙে, তখন এই গ্রামে মুরগি পোষা নিষিদ্ধ ৷
"হ্যামলেট" - দের গ্রামটি ওয়ানাপার্থি জেলার পেব্বের মনডলের কাঞ্চিরাওপল্লিতে ৷ বর্তমানে এই গ্রামে জনসংখ্যা 500 ৷ তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েতও ৷
তাদের এই মুরগির মাংস , মাছ , ডিম না খাওয়ার কারণ হল তাদের গুরু সোমসাধ ভাওজি ৷ তাঁর নির্দেশেই আমিষ খাওয়া বন্ধ এই গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ শোনা যায়, তিনি একদিন দেখেছিলেন মুরগি তাঁর ফেলা থুতু খাচ্ছে ৷ এরপর থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন কখনও এইরকম প্রাণীদের পুষবেনও না ৷ তারপর থেকেই "রাতলাভৎ" পদবির লোকেরা মুরগির মাংস, মাছ, ডিম কিছুই খান না ৷ তারা মনে করেন এগুলি খেলে তারা অভিশপ্ত হয়ে যাবে ৷
কোনওরকম উৎসব হলে কিংবা বাড়িতে অতিথি বা পরিজনরা এলে পরিবেশন করা হয় পাঁঠার মাংস ৷ এই মুরগির মাংস, ডিম, মাছ না খাওয়ার প্রথা এতটাই কঠিন যে, যে সব মেয়েরা বিয়ে করে এই গ্রামে আসে তাদের বিয়ের একমাস আগে থেকে মুরগির মাংস, মাছ, ডিম খাওয়া ছাড়তে হয় ৷ এমনকি অলৌকিকভাবে বিয়ের পর ওই গ্রামে এসে তাদের ওই মুরগির মাংস, মাছ , ডিম খেতে না কি ইচ্ছে করে না ৷ তবে এই গ্রাম থেকে যে মহিলারা বিয়ে করে গ্রামের বাইরে যান তারা চাইলেই মুরগির মাংস, মাছ, ডিম খেতেই পারেন ৷