ETV Bharat / bharat

কোরোনা মোকাবিলায় সরকারের কাছে সুরক্ষা চেয়ে চিকিৎসকের ঠিকানা "মানসিক হাসপাতাল" ! - অন্ধ্রপ্রদেশের চিকিৎসক সুধাকর

চিকিৎসকরা কোরোনায় আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে একনিষ্ঠভাবে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন । নাওয়া-খাওয়া ভুলে হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দিনের পর দিন থাকছেন । কাজের প্রতি এই একনিষ্ঠতার উপহার হিসেবেই কি তাঁদের মিলছে মানসিক হাসপাতালের রোগীর স্ট্যাম্প ? অন্তত অন্ধ্রপ্রদেশের এক চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে ।

Doctor Sudhakar
চিকিৎসক সুধাকর
author img

By

Published : May 21, 2020, 11:23 AM IST

বিশাখাপটনম, 21 মে : কোরোনায় যখন দেশ জর্জরিত তখন সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা । কোরোনায় আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে একনিষ্ঠভাবে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন । নাওয়া-খাওয়া ভুলে হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন । আর কাজের প্রতি এই একনিষ্ঠতার উপহার কি মানসিক হাসপাতালে রোগীর স্ট্যাম্প ? অন্তত অন্ধ্রপ্রদেশের এক চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে ।

বিশাখাপটনমের নারসিপটনম আঞ্চলিক হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন সুধাকর । আর পাঁচজন চিকিৎসকের মতো তিনিও সামনের সারিতে দাঁড়িয়েই কোরোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা করছিলেন । তবে, এই সবকিছুর মাঝে তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন । আর একটু ভালো করে বললে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে অবহেলা করায় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন । বলেছিলেন, চিকিৎসকদের জন্য N-95 মাস্ক দিতে । একই দাবি তিনি কোরোনায় আক্রান্তদের জন্যও করেছিলেন । শুধু N-95 মাস্কের জন্য নয়, অনভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে বলেও তিনি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন ।

তাঁর এই সমালোচনা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায় । তারই পরিণাম হিসেবে 8 এপ্রিল তাঁর নামে একটি চিঠি আসে । সেই চিঠিতে উল্লেখ ছিল তাঁর সাসপেনসনের কথা । নিজের সুরক্ষা চাওয়ার পরিণাম হিসেবে চাকরি খুইয়ে প্রথমদিকে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন সুধাকর । পরে নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে ঠিক করেন নিজের অধিকারের জন্য লড়বেন । তাঁর প্রতি হওয়া অন্যায়ের জবাব চেয়ে 16 মে বিশাখাপটনমের পোর্ট হাসপাতালের সামনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন সুধাকর । তাঁর এই আচরণের উদ্দেশ্য ও কারণ থেকে অজ্ঞাত স্থানীয়রা তাঁকে নেহাতই পাগল মনে করেন । সেইমতো তাঁরা পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, অর্ধনগ্ন ওই ব্যক্তি অকারণে অশান্তি করছেন । স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পোর্ট হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছায় পুলিশ । সুধাকরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে দড়ি দিয়ে বাঁধে। তারপর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কিং জর্জ হাসপাতালে ।

সুধাকরের শারীরিক পরীক্ষা করার পর কিং জর্জ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মানসিক অবস্থা ভালো নয় । চিকিৎসকদের কাছ থেকে এই খবর শোনা মাত্রই এক সেকেন্ডও দেরি করেনি পুলিশ । সুধাকরকে নিয়ে সোজা চলে যাওয়া হয় সরকারি মানসিক হাসপাতালে । পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে 353 ও 427 ধারায় মামলা দায়ের করা হয় । এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল । হয়ত মানুষের কাছে অজানাই থেকে যেতেন চিকিৎসক সুধাকর । তাঁর চিকিৎসক থেকে মানসিক হাসপাতালের রোগী হওয়ার গল্প । কিন্তু বাধ সাধে সোশাল মিডিয়া । সোশাল মিডিয়ায় ঠিক যেভাবে তাঁর সমালোচনামূলক বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় চাকরি খুইয়েছিলেন সুধাকর, সেভাবেই আর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় । সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, সুধাকরকে পোর্ট হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করার সময় এক কন্সটেবল ক্রমাগত তাঁকে মেরে চলেছেন । এই ভিডিয়োই সকলের সামনে তুলে ধরে সুধাকরকে । তাঁর লড়াইকে । পুলিশকর্মীর এই আচরণের কৈফিয়ত হিসেবে বিশাখাপটনমের পুলিশ কমিশনার আর কে মিনা জানান, সুধাকর মদ খেয়ে পোর্ট হাসপাতালের সামনে অশান্তি করছিলেন । একইসঙ্গে তিনি জানান, ওই কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

ছেলের এই অবস্থা দেখে দিশেহারা সুধাকরের মা পুলিশ কমিশনার মিনার সঙ্গে দেখা করেন । তিনি পুলিশ কমিশনারকে জানান, সুধাকরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে । কাঁদতে কাঁদতে তিনি পুলিশ কমিশনারকে বলেন, "আমার ছেলের সঙ্গে যে কোনও সময় যে কোনও কিছু হতে পারে ।"

সুধাকরের বিষয়টিকে সরকারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে আসরে নামে বিরোধী দলগুলি । তারা এই ঘটনার সম্পূর্ণ ও যথাযথ তদন্তের দাবি জানায় । কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দলের তরফে বলা হয়, সুধাকর TDP দলের সমর্থক । তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নামে দোষারোপ করেছেন ।

সুধাকরের গ্রেপ্তারি নিয়ে 18 মে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় । বলা হয়, অর্ধনগ্ন অবস্থায় সুধাকরকে গ্রেপ্তার করায় চিকিৎসকের অধিকার হানি করা হয়েছে । অন্যদিকে TDP-র এক নেত্রী হাইকোর্টে এই ঘটনাটি নিয়ে একটি চিঠি দেন । তার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো সংযুক্ত ছিল । ওই ভিডিয়োটি পরীক্ষা করে হাইকোর্ট এবং সুধাকরের ঘটনাটিকে সুয়োমোটো মামলা হিসেবে গ্রহণ করে । আদালতের তরফে কোর্টে হাজির করতে বলা হয় সুধাকরকে । 20 মে অর্থাৎ গতকাল মামলার শুনানি হয় । সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে এই ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে তাদের পক্ষের যুক্তি পেশ করতে বলা হয় । পাশাপাশি আজ সন্ধের মধ্যে সুধাকরকে তাঁর মতামত বা জবাব আদালতে জমা দিতে বলা হয় । একইসঙ্গে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয় ।

19 মে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিকে চিঠিও লেখা হয়েছিল । চিঠিতে লেখা হয়, সুধাকরের প্রতি অমানবিক ব্যবহার করেছে পুলিশ । মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাঁর মন্তব্যের বিষয়টি সঠিক নয় । তাই পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক । এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের চিকিৎসকদের অ্যাসোসিয়েশনও দুঃখ প্রকাশ করে । তাদের তরফে বলা হয়, যদি চিকিৎসক সুধাকরের প্রতি ন্যায় না করা হয় তাহলে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ।

বর্তমানে মনোরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাঃ সুধাকর । সরকারের কাছে নিজের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে N-95 মাস্ক চাওয়ার পরিণাম । এককথায় সরকারের কাজের সমালোচনা করায় চিকিৎসক থেকে মানসিক রোগী হওয়ার গল্প ডাঃ সুধাকরের ।

বিশাখাপটনম, 21 মে : কোরোনায় যখন দেশ জর্জরিত তখন সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা । কোরোনায় আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে একনিষ্ঠভাবে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন । নাওয়া-খাওয়া ভুলে হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন । আর কাজের প্রতি এই একনিষ্ঠতার উপহার কি মানসিক হাসপাতালে রোগীর স্ট্যাম্প ? অন্তত অন্ধ্রপ্রদেশের এক চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে ।

বিশাখাপটনমের নারসিপটনম আঞ্চলিক হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন সুধাকর । আর পাঁচজন চিকিৎসকের মতো তিনিও সামনের সারিতে দাঁড়িয়েই কোরোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা করছিলেন । তবে, এই সবকিছুর মাঝে তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন । আর একটু ভালো করে বললে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে অবহেলা করায় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন । বলেছিলেন, চিকিৎসকদের জন্য N-95 মাস্ক দিতে । একই দাবি তিনি কোরোনায় আক্রান্তদের জন্যও করেছিলেন । শুধু N-95 মাস্কের জন্য নয়, অনভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে বলেও তিনি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন ।

তাঁর এই সমালোচনা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায় । তারই পরিণাম হিসেবে 8 এপ্রিল তাঁর নামে একটি চিঠি আসে । সেই চিঠিতে উল্লেখ ছিল তাঁর সাসপেনসনের কথা । নিজের সুরক্ষা চাওয়ার পরিণাম হিসেবে চাকরি খুইয়ে প্রথমদিকে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন সুধাকর । পরে নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে ঠিক করেন নিজের অধিকারের জন্য লড়বেন । তাঁর প্রতি হওয়া অন্যায়ের জবাব চেয়ে 16 মে বিশাখাপটনমের পোর্ট হাসপাতালের সামনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন সুধাকর । তাঁর এই আচরণের উদ্দেশ্য ও কারণ থেকে অজ্ঞাত স্থানীয়রা তাঁকে নেহাতই পাগল মনে করেন । সেইমতো তাঁরা পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, অর্ধনগ্ন ওই ব্যক্তি অকারণে অশান্তি করছেন । স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পোর্ট হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছায় পুলিশ । সুধাকরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে দড়ি দিয়ে বাঁধে। তারপর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কিং জর্জ হাসপাতালে ।

সুধাকরের শারীরিক পরীক্ষা করার পর কিং জর্জ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মানসিক অবস্থা ভালো নয় । চিকিৎসকদের কাছ থেকে এই খবর শোনা মাত্রই এক সেকেন্ডও দেরি করেনি পুলিশ । সুধাকরকে নিয়ে সোজা চলে যাওয়া হয় সরকারি মানসিক হাসপাতালে । পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে 353 ও 427 ধারায় মামলা দায়ের করা হয় । এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল । হয়ত মানুষের কাছে অজানাই থেকে যেতেন চিকিৎসক সুধাকর । তাঁর চিকিৎসক থেকে মানসিক হাসপাতালের রোগী হওয়ার গল্প । কিন্তু বাধ সাধে সোশাল মিডিয়া । সোশাল মিডিয়ায় ঠিক যেভাবে তাঁর সমালোচনামূলক বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় চাকরি খুইয়েছিলেন সুধাকর, সেভাবেই আর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় । সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, সুধাকরকে পোর্ট হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করার সময় এক কন্সটেবল ক্রমাগত তাঁকে মেরে চলেছেন । এই ভিডিয়োই সকলের সামনে তুলে ধরে সুধাকরকে । তাঁর লড়াইকে । পুলিশকর্মীর এই আচরণের কৈফিয়ত হিসেবে বিশাখাপটনমের পুলিশ কমিশনার আর কে মিনা জানান, সুধাকর মদ খেয়ে পোর্ট হাসপাতালের সামনে অশান্তি করছিলেন । একইসঙ্গে তিনি জানান, ওই কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

ছেলের এই অবস্থা দেখে দিশেহারা সুধাকরের মা পুলিশ কমিশনার মিনার সঙ্গে দেখা করেন । তিনি পুলিশ কমিশনারকে জানান, সুধাকরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে । কাঁদতে কাঁদতে তিনি পুলিশ কমিশনারকে বলেন, "আমার ছেলের সঙ্গে যে কোনও সময় যে কোনও কিছু হতে পারে ।"

সুধাকরের বিষয়টিকে সরকারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে আসরে নামে বিরোধী দলগুলি । তারা এই ঘটনার সম্পূর্ণ ও যথাযথ তদন্তের দাবি জানায় । কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দলের তরফে বলা হয়, সুধাকর TDP দলের সমর্থক । তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নামে দোষারোপ করেছেন ।

সুধাকরের গ্রেপ্তারি নিয়ে 18 মে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় । বলা হয়, অর্ধনগ্ন অবস্থায় সুধাকরকে গ্রেপ্তার করায় চিকিৎসকের অধিকার হানি করা হয়েছে । অন্যদিকে TDP-র এক নেত্রী হাইকোর্টে এই ঘটনাটি নিয়ে একটি চিঠি দেন । তার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো সংযুক্ত ছিল । ওই ভিডিয়োটি পরীক্ষা করে হাইকোর্ট এবং সুধাকরের ঘটনাটিকে সুয়োমোটো মামলা হিসেবে গ্রহণ করে । আদালতের তরফে কোর্টে হাজির করতে বলা হয় সুধাকরকে । 20 মে অর্থাৎ গতকাল মামলার শুনানি হয় । সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে এই ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে তাদের পক্ষের যুক্তি পেশ করতে বলা হয় । পাশাপাশি আজ সন্ধের মধ্যে সুধাকরকে তাঁর মতামত বা জবাব আদালতে জমা দিতে বলা হয় । একইসঙ্গে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয় ।

19 মে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিকে চিঠিও লেখা হয়েছিল । চিঠিতে লেখা হয়, সুধাকরের প্রতি অমানবিক ব্যবহার করেছে পুলিশ । মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাঁর মন্তব্যের বিষয়টি সঠিক নয় । তাই পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক । এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের চিকিৎসকদের অ্যাসোসিয়েশনও দুঃখ প্রকাশ করে । তাদের তরফে বলা হয়, যদি চিকিৎসক সুধাকরের প্রতি ন্যায় না করা হয় তাহলে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ।

বর্তমানে মনোরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাঃ সুধাকর । সরকারের কাছে নিজের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে N-95 মাস্ক চাওয়ার পরিণাম । এককথায় সরকারের কাজের সমালোচনা করায় চিকিৎসক থেকে মানসিক রোগী হওয়ার গল্প ডাঃ সুধাকরের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.