দিল্লি, 7 জুন : দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলিতে ও কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও শুধুমাত্র দিল্লিবাসীর চিকিৎসা হবে ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় হাসপাতালগুলি প্রত্যেকের পরিষেবার জন্য । হাসপাতালে বেডের সহজলভ্যতা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সমালোচনা চলছে ৷ তারই মধ্যে আজ একথা জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷
পাশাপাশি তিনি বলেন, দিল্লির সীমান্তগুলি আগামীকাল থেকে খুলে দেওয়া হবে ৷ এই সীমান্তগুলি লকডাউনের শুরু থেকেই সিল করে রাখা হয়েছিল ৷ এরপর সীমান্তগুলি খুলে গেলেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষ দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসতে থাকবে ৷ তাই রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলিতে ও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালগুলি শুধুমাত্র দিল্লিবাসীর চিকিৎসার জন্য রাখা থাকবে বলে জানান কেজরিওয়াল ৷
গত সপ্তাহের পর থেকে দিল্লিতে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন হাজারের বেশি করে বাড়ছে ৷ দিল্লিতে বর্তমানে মোট কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 27 হাজার পেরিয়েছে ৷ অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "আপাতত আমরা ঠিক করেছি, দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলিতে 10 হাজার বেড দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য রাখা থাকবে ৷ তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালগুলি সবার জন্য খোলা থাকবে ৷ বিশেষ চিকিৎসা হয় এমন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও সকলেরই চিকিৎসা করা হবে ৷"
কেজরিওয়াল জানান, পাঁচজন চিকিৎসক নিয়ে তৈরি কমিটির পরামর্শের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এই কমিটির তরফে জানানো হয়, জুনের শেষে দিল্লির 15 হাজার বেডের প্রয়োজন পড়বে ৷
আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল আরও বলেন, "তাঁরা মনে করছেন, আমরা যদি ভিনরাজ্যের মানুষকেও সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভরতির অনুমতি দিই, তাহলে আমাদের কাছে বর্তমানে যে 9 হাজার বেড রয়েছে তা-ও চলে যাবে ৷" হাসপাতালগুলিতে খালি বেড না থাকার বিষয়ে বহু মানুষের দেওয়া পরামর্শকেও বিবেচানা করে দেখেছেন তিনি ৷
এর আগে ল্যাবরেটরিগুলিতে সংক্রমিত রোগীদের পরীক্ষার করার জন্য হাসপাতালগুলিতে তাঁদের ভরতির বিষয়ে অভিযোগ করেছিল দিল্লি সরকার ৷ হাসপাতালের বেড নিয়ে কালোবাজারি চলছে বলেও বারবার জানিয়েছেন কেজরিওয়াল ৷