ETV Bharat / bharat

ভোপালে ফুটপাতে কোরোনা রোগীর মৃতদেহ ফেলে পালাল অ্যাম্বুলেন্স ! - কোরোনাভাইরাস খবর

জানা গেছে, ওই মৃত ব্যক্তি ভোপালের বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী ৷ কিডনির অসুখ নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে ভোপালের একটি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ৷ রবিবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৷ সোমবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷

Corona
ছবিটির প্রতীকী
author img

By

Published : Jul 7, 2020, 4:54 PM IST

Updated : Jul 7, 2020, 5:02 PM IST

ভোপাল , 7 জুলাই : দেশজুড়ে কোরোনা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে ৷ তার মধ্যে ভোপালের একটি হাসপাতালের ঘটনা CCTV ফুটেজে সামনে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ CCTV ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে এক ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে করে নামাচ্ছেন PPE পরা দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী । তারপর তাঁকে হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সটি ।

ভোপালের বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী কিডনির অসুখ নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে ভোপালের একটি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ৷ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়েছিল ৷ রবিবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৷ সোমবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ রিপোর্ট আসার আগে প্রথমে তিনি ভোপালের পিপলস হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৷ কিন্তু রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে তাঁকে চিরায়ু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷

তবে এই প্রসঙ্গে মৃতের ছেলে দাবি জানিয়েছেন , তাঁর বাবাকে যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে সোমবার সকালে চিরায়ু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল , তখন তাঁর বাবা বেঁচে ছিলেন ৷ তাহলে কেন আবার অ্যাম্বুলেন্সটি ফিরে এল ?

এই প্রসঙ্গে পিপলস হাসপাতালের ম্যানেজার উদয় শংকর দীক্ষিত বলেন , "প্রোটোকল ও IDSP (ইন্টিগ্রেটেড ডিজ়িজ় সারভেইলেন্স প্রোগ্রাম ) - র নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সটি চিরায়ু হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিল ৷ কিন্তু তার 40 মিনিট পর আবার ফিরে আসে ৷ ফিরে আসার পর অ্যাম্বুলেন্সের দুই কর্মী স্ট্রেচার চান । কিন্তু তখন হাসপাতালে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছিল । ICU সিল করে দেওয়া হয়েছিল । তাই স্ট্রেচার কেউ এগিয়ে দেয়নি। তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তারা অপেক্ষা না করে রাস্তার ধারের ফুটপাতে দেহ রেখে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চলে যায় ৷"

অন্যদিকে , চিরায়ু হাসপাতালের দাবি, পিপলস হাসপাতাল তাদের জানিয়েছিল, রোগীর কিডনির চিকিৎসার জন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে । তার ডায়ালিসিস চলছে এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

চিরায়ু হাসপাতালের ডিরেক্টর অজয় গোয়েঙ্কা বলেন , "আমরা অক্সিজেনের সুবিধা-সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । সেইমতো তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসার সময় VIP রোডের কাছে পৌঁছালে গাড়ির ড্রাইভার বুঝতে পারেন তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং তিনি গুরুতর । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ট্র্যাফিকের কারণে চিরায়ু হাসপাতালে পৌঁছাতে প্রায় 45 মিনিট সময় লাগবে ৷ তাই পিপলস হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি মাঝ পথে ফিরে যান ৷ 20-25 মিনিটের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স ফিরে আসে ৷ ততক্ষণে ওই ব্যক্তি মারা যান ৷ "

এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসন ৷ সংবাদমাধ্যমকে ভোপালের কালেক্টর অবিনাশ লাভানিয়া বলেছেন , "আপনি কীভাবে কোনও রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল না করে অন্য হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করতে পারেন ? তার উপর তাঁকে যখন 23 তারিখ থেকে ভরতি করা হয়েছিল, তখন তাঁকে কোরোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কোনও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল কি ? এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভরতি থাকার পর হঠাৎ করে কেউ কীভাবে কোরোনা সংক্রমিত হতে পারেন ? তাঁর পরিস্থিতি যদি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তার লক্ষণগুলি আগেই দেখা দিত ৷ "

ভোপাল , 7 জুলাই : দেশজুড়ে কোরোনা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে ৷ তার মধ্যে ভোপালের একটি হাসপাতালের ঘটনা CCTV ফুটেজে সামনে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ CCTV ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে এক ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে করে নামাচ্ছেন PPE পরা দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী । তারপর তাঁকে হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সটি ।

ভোপালের বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী কিডনির অসুখ নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে ভোপালের একটি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৷ বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ৷ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়েছিল ৷ রবিবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৷ সোমবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ রিপোর্ট আসার আগে প্রথমে তিনি ভোপালের পিপলস হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৷ কিন্তু রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরে তাঁকে চিরায়ু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷

তবে এই প্রসঙ্গে মৃতের ছেলে দাবি জানিয়েছেন , তাঁর বাবাকে যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে সোমবার সকালে চিরায়ু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল , তখন তাঁর বাবা বেঁচে ছিলেন ৷ তাহলে কেন আবার অ্যাম্বুলেন্সটি ফিরে এল ?

এই প্রসঙ্গে পিপলস হাসপাতালের ম্যানেজার উদয় শংকর দীক্ষিত বলেন , "প্রোটোকল ও IDSP (ইন্টিগ্রেটেড ডিজ়িজ় সারভেইলেন্স প্রোগ্রাম ) - র নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সটি চিরায়ু হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিল ৷ কিন্তু তার 40 মিনিট পর আবার ফিরে আসে ৷ ফিরে আসার পর অ্যাম্বুলেন্সের দুই কর্মী স্ট্রেচার চান । কিন্তু তখন হাসপাতালে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছিল । ICU সিল করে দেওয়া হয়েছিল । তাই স্ট্রেচার কেউ এগিয়ে দেয়নি। তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তারা অপেক্ষা না করে রাস্তার ধারের ফুটপাতে দেহ রেখে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চলে যায় ৷"

অন্যদিকে , চিরায়ু হাসপাতালের দাবি, পিপলস হাসপাতাল তাদের জানিয়েছিল, রোগীর কিডনির চিকিৎসার জন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে । তার ডায়ালিসিস চলছে এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল।

চিরায়ু হাসপাতালের ডিরেক্টর অজয় গোয়েঙ্কা বলেন , "আমরা অক্সিজেনের সুবিধা-সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । সেইমতো তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসার সময় VIP রোডের কাছে পৌঁছালে গাড়ির ড্রাইভার বুঝতে পারেন তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং তিনি গুরুতর । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ট্র্যাফিকের কারণে চিরায়ু হাসপাতালে পৌঁছাতে প্রায় 45 মিনিট সময় লাগবে ৷ তাই পিপলস হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি মাঝ পথে ফিরে যান ৷ 20-25 মিনিটের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স ফিরে আসে ৷ ততক্ষণে ওই ব্যক্তি মারা যান ৷ "

এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসন ৷ সংবাদমাধ্যমকে ভোপালের কালেক্টর অবিনাশ লাভানিয়া বলেছেন , "আপনি কীভাবে কোনও রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল না করে অন্য হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করতে পারেন ? তার উপর তাঁকে যখন 23 তারিখ থেকে ভরতি করা হয়েছিল, তখন তাঁকে কোরোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কোনও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল কি ? এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভরতি থাকার পর হঠাৎ করে কেউ কীভাবে কোরোনা সংক্রমিত হতে পারেন ? তাঁর পরিস্থিতি যদি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তার লক্ষণগুলি আগেই দেখা দিত ৷ "

Last Updated : Jul 7, 2020, 5:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.