ETV Bharat / bharat

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে মহিলাদের উপর Covid-19-এর প্রভাব

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে Covid-19-এর কারণে মহিলারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ।

Image
ছবি
author img

By

Published : Jul 23, 2020, 2:47 AM IST

Updated : Jul 24, 2020, 2:46 PM IST

আগে যত প্যানডেমিক পরিস্থিতি এসেছে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মহিলাদের উপর । যেখানে পুরুষ খুব সহজেই আর্থ-সামাজিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে , তবে মহিলারা তা পারেন না । ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে Covid-19-এর কারণে মহিলারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন । যদিও পরিসংখ্যান অনুযায়ী , মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুর হার(1.7 শতাংশ) পুরুষদের তুলনায় কম (2.8 শতাংশ) ।

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রগুলিতে মহিলাদের উপর কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব কম গুরুত্ব পাচ্ছে । UN সেক্রেটরি অ্যান্টনিও গুটেরেসও বলেন যে , " কোরোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টার কেন্দ্রগুলিতে মহিলা ও মেয়েদের রাখুন । "

যেহেতু গত তিন-চার মাসে বেকারদের সংখ্যা 30.3 মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে , সেক্ষেত্রে প্রাথমিক তথ্য এটাই বলছে যে , Covid-19 প্যানডেমিক সম্পর্কিত বেকারত্ব পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের উপর বেশি প্রভাব ফেলছে । বিশ্বে 60 শতাংশের কাছাকাছি কর্মরত মহিলারা কম আয় করেন , কম সঞ্চয় করেন , ফলে তাঁদের দরিদ্রতার মধ্যে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে । ইনস্টিটিউট অফ ওমেনস পলিসি রিসার্চ (IWPR) -এর রিপোর্টে , 2020-র ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতনের তথ্য অনুযায়ী , প্রায় 60 শতাংশ মহিলা চাকরি হারিয়েছিলেন , যা অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রগুলিতে পুরুষদের তুলনায় এই সংখ্যা বেশি ।

IWPR-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে , মহিলারা সবথেকে বেশি চাকরি হারিয়েছেন লেজ়র ও হসপিটালিটি ক্ষেত্রে , পাশাপাশি খুচরো , পেশাদার , ব্যবসায় । এমনকী , কয়েকটি ক্ষেত্রে পুরুষদের কর্মসংস্থান বাড়তে থাকায় মহিলারাও কাজ হারিয়েছেন । এই ধরনের ঘটনা মূলত শিক্ষা , স্বাস্থ্য পরিষেবা , অর্থনৈতিক পরিষেবা , নির্মাণ ক্ষেত্রগুলিতে ঘটেছে ।

দা সেন্টার অফ মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-র রিপোর্ট অনুযায়ী , কেবলমাত্র এপ্রিল মাসে মহিলাদের চাকরির ক্ষেত্রে 39 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে , তুলনায় তা পুরুষদের ক্ষেত্রে 29 শতাংশ । এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ভারতে প্রতি দশ জন কর্মরত ​​মহিলার মধ্যে চার জন লকডাউনের সময় চাকরি হারিয়েছেন । তথ্যে দেখা যায় যে , গ্রামীণ মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ।

সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মেয়েদের পড়াশোনার উপর : UNESCO এর আগে জানিয়েছিল যে Covid-19 সংক্রমণের মধ্যে সারা বিশ্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় 154 কোটির বেশি শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যার কারণে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার হার বৃদ্ধি পাবে । তাদের অনুমান যে , Covid -19 এর কারণে বর্তমানে 89 শতাংশের বেশি মেয়েরা স্কুল ছেড়েছে । এটি প্রায় 74 কোটি মেয়ে-সহ স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হওয়া 154 কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে । এর মধ্যে ১১ কোটিরও বেশি মেয়ে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে বাস করছে যেখানে পড়াশোনা করা ইতিমধ্যে একটি সংগ্রাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

রিপোর্ট অনুযায়ী , শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী মেয়েরা বা যারা অভ্যন্তরীণ কারণে বাড়িছাড়া হয়েছে , তাদের জন্য স্কুলগুলি বন্ধ করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর হবে কারণ তারা ইতিমধ্যে অসুবিধায় রয়েছে ।

পরিচারকের কাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের উপর কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব : ভারতে মহিলারা অনিবার্যভাবে একধরনের উত্পাদনশীল বা পুনর্উৎপাদনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের কাজ দেখা যায় না এবং তারা বেশিরভাগই কম দক্ষ বা স্বল্প বেতনের অসরকারি কাজে নিযুক্ত যেখানে কোনও সামাজিক সুরক্ষা নেই ।

2017-18-র পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তির সার্ভে (PLFS) অনুযায়ী , মোট মহিলাদের কর্মসংস্থানের প্রায় 88 শতাংশ ইনফর্মাল এবং 73 শতাংশ কর্মরত মহিলারা এই ইনফর্মাল ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করে জীবনযাপন করেন । 2017-18 সালে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলা কর্মীদের এক তৃতীয়াংশ দুটি পেশায় নিযুক্ত - গৃহস্থালির কাজ এবং গৃহ-ভিত্তিক কাজ - এবং কয়েকজন (2 শতাংশের এর চেয়ে কম) ফুটপাতের বিক্রেতা ছিলেন । এই ধরনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে, যেমন নির্মাণ এবং বর্জ্য কাজ অর্থাৎ মেথরের কাজে পুরুষরাই মূল খেলোয়াড় , আর মহিলারা সহায়ক কর্মী হিসাবে কাজ করে । লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে (এপ্রিল 15-মে 3, 2020) তথ্য মূলত টেলিফোনিক পরিমাণগত সার্ভে এবং টেলেফোনিক গুণগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল । সার্ভে ফলাফল এই শ্রমিকদের উপার্জনের উপর লকডাউনের বড় প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করেছে এবং সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় 83 শতাংশ কর্মরত মহিলার আয়ের পরিমাণ কমেছে ।

অর্গানাইজ়েশন অফ ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (OECD) অনুযায়ী , একজন ভারতীয় মহিলা অবৈতনিক কাজে প্রত্যেকদিন 6 ঘণ্টা সময় দেয় যেখানে পুরুষ সেই কাজ করতে সময় দেয় মাত্র 51.8 মিনিট ।

COVID-19
ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ সিড টেকনোলজি (ISST)-র সমীক্ষা অনুযায়ী পরিচারিকাদের উপর কোরোনা প্রভাব

গার্হস্থ্য নির্যাতন এবং হিংসা : বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন জারি করার পর থেকেই গার্হস্থ্য হিংসা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে । 25 মার্চ থেকে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দেশব্যাপী লকডাউনে দেখা গেছে , জাতীয় মহিলা কমিশন গার্হস্থ্য হিংসার থেকে সুরক্ষা চেয়ে মহিলাদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছে ।

এপ্রিল এবং মে মাসে NCW দ্বারা অপরাধের 22 টি বিভাগে প্রাপ্ত 3027 টি অভিযোগের মধ্যে 1428 (47.2%)টি অভিযোগই ছিল গার্হস্থ্য হিংসা ।

অন্যদিকে , জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী , এই সময়ের মধ্যে মোট 4233 টি অভিযোগ করা হয়েছে , যার মধ্যে প্রায় 20.6 শতাংশ (514) ছিল গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ । এপ্রিল মাসে NCW-তে 999 টি অভিযোগের মধ্যে 51.45% (514) গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ছিল । সেক্ষেত্রে মে মাসে মোট 2028 টি অভিযোগের মধ্যে 45.07 (914) শতাংশ ছিল গার্হস্থ্য হিংসার ।

লকডাউনের আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে জানুয়ারিতে 1462 টি অভিযোগের মধ্যে 18.54 শতাংশ গার্হস্থ্য হিংসার । ফেব্রুয়ারিতে সেই অভিযোগ ছিল 21.21 শতাংশ(1424 টি অভিযোগের মধ্যে 302টি) এবং মার্চে ছিল 22.21 শতাংশ ( 1347টি অভিযোগের মধ্যে 298টি) ।

আগে যত প্যানডেমিক পরিস্থিতি এসেছে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মহিলাদের উপর । যেখানে পুরুষ খুব সহজেই আর্থ-সামাজিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে , তবে মহিলারা তা পারেন না । ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে Covid-19-এর কারণে মহিলারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন । যদিও পরিসংখ্যান অনুযায়ী , মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুর হার(1.7 শতাংশ) পুরুষদের তুলনায় কম (2.8 শতাংশ) ।

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রগুলিতে মহিলাদের উপর কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব কম গুরুত্ব পাচ্ছে । UN সেক্রেটরি অ্যান্টনিও গুটেরেসও বলেন যে , " কোরোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টার কেন্দ্রগুলিতে মহিলা ও মেয়েদের রাখুন । "

যেহেতু গত তিন-চার মাসে বেকারদের সংখ্যা 30.3 মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে , সেক্ষেত্রে প্রাথমিক তথ্য এটাই বলছে যে , Covid-19 প্যানডেমিক সম্পর্কিত বেকারত্ব পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের উপর বেশি প্রভাব ফেলছে । বিশ্বে 60 শতাংশের কাছাকাছি কর্মরত মহিলারা কম আয় করেন , কম সঞ্চয় করেন , ফলে তাঁদের দরিদ্রতার মধ্যে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে । ইনস্টিটিউট অফ ওমেনস পলিসি রিসার্চ (IWPR) -এর রিপোর্টে , 2020-র ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতনের তথ্য অনুযায়ী , প্রায় 60 শতাংশ মহিলা চাকরি হারিয়েছিলেন , যা অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রগুলিতে পুরুষদের তুলনায় এই সংখ্যা বেশি ।

IWPR-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে , মহিলারা সবথেকে বেশি চাকরি হারিয়েছেন লেজ়র ও হসপিটালিটি ক্ষেত্রে , পাশাপাশি খুচরো , পেশাদার , ব্যবসায় । এমনকী , কয়েকটি ক্ষেত্রে পুরুষদের কর্মসংস্থান বাড়তে থাকায় মহিলারাও কাজ হারিয়েছেন । এই ধরনের ঘটনা মূলত শিক্ষা , স্বাস্থ্য পরিষেবা , অর্থনৈতিক পরিষেবা , নির্মাণ ক্ষেত্রগুলিতে ঘটেছে ।

দা সেন্টার অফ মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-র রিপোর্ট অনুযায়ী , কেবলমাত্র এপ্রিল মাসে মহিলাদের চাকরির ক্ষেত্রে 39 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে , তুলনায় তা পুরুষদের ক্ষেত্রে 29 শতাংশ । এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ভারতে প্রতি দশ জন কর্মরত ​​মহিলার মধ্যে চার জন লকডাউনের সময় চাকরি হারিয়েছেন । তথ্যে দেখা যায় যে , গ্রামীণ মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ।

সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মেয়েদের পড়াশোনার উপর : UNESCO এর আগে জানিয়েছিল যে Covid-19 সংক্রমণের মধ্যে সারা বিশ্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় 154 কোটির বেশি শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যার কারণে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার হার বৃদ্ধি পাবে । তাদের অনুমান যে , Covid -19 এর কারণে বর্তমানে 89 শতাংশের বেশি মেয়েরা স্কুল ছেড়েছে । এটি প্রায় 74 কোটি মেয়ে-সহ স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হওয়া 154 কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে । এর মধ্যে ১১ কোটিরও বেশি মেয়ে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে বাস করছে যেখানে পড়াশোনা করা ইতিমধ্যে একটি সংগ্রাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

রিপোর্ট অনুযায়ী , শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী মেয়েরা বা যারা অভ্যন্তরীণ কারণে বাড়িছাড়া হয়েছে , তাদের জন্য স্কুলগুলি বন্ধ করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর হবে কারণ তারা ইতিমধ্যে অসুবিধায় রয়েছে ।

পরিচারকের কাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের উপর কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব : ভারতে মহিলারা অনিবার্যভাবে একধরনের উত্পাদনশীল বা পুনর্উৎপাদনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের কাজ দেখা যায় না এবং তারা বেশিরভাগই কম দক্ষ বা স্বল্প বেতনের অসরকারি কাজে নিযুক্ত যেখানে কোনও সামাজিক সুরক্ষা নেই ।

2017-18-র পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তির সার্ভে (PLFS) অনুযায়ী , মোট মহিলাদের কর্মসংস্থানের প্রায় 88 শতাংশ ইনফর্মাল এবং 73 শতাংশ কর্মরত মহিলারা এই ইনফর্মাল ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করে জীবনযাপন করেন । 2017-18 সালে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলা কর্মীদের এক তৃতীয়াংশ দুটি পেশায় নিযুক্ত - গৃহস্থালির কাজ এবং গৃহ-ভিত্তিক কাজ - এবং কয়েকজন (2 শতাংশের এর চেয়ে কম) ফুটপাতের বিক্রেতা ছিলেন । এই ধরনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে, যেমন নির্মাণ এবং বর্জ্য কাজ অর্থাৎ মেথরের কাজে পুরুষরাই মূল খেলোয়াড় , আর মহিলারা সহায়ক কর্মী হিসাবে কাজ করে । লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে (এপ্রিল 15-মে 3, 2020) তথ্য মূলত টেলিফোনিক পরিমাণগত সার্ভে এবং টেলেফোনিক গুণগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল । সার্ভে ফলাফল এই শ্রমিকদের উপার্জনের উপর লকডাউনের বড় প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করেছে এবং সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় 83 শতাংশ কর্মরত মহিলার আয়ের পরিমাণ কমেছে ।

অর্গানাইজ়েশন অফ ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (OECD) অনুযায়ী , একজন ভারতীয় মহিলা অবৈতনিক কাজে প্রত্যেকদিন 6 ঘণ্টা সময় দেয় যেখানে পুরুষ সেই কাজ করতে সময় দেয় মাত্র 51.8 মিনিট ।

COVID-19
ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ সিড টেকনোলজি (ISST)-র সমীক্ষা অনুযায়ী পরিচারিকাদের উপর কোরোনা প্রভাব

গার্হস্থ্য নির্যাতন এবং হিংসা : বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন জারি করার পর থেকেই গার্হস্থ্য হিংসা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে । 25 মার্চ থেকে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দেশব্যাপী লকডাউনে দেখা গেছে , জাতীয় মহিলা কমিশন গার্হস্থ্য হিংসার থেকে সুরক্ষা চেয়ে মহিলাদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছে ।

এপ্রিল এবং মে মাসে NCW দ্বারা অপরাধের 22 টি বিভাগে প্রাপ্ত 3027 টি অভিযোগের মধ্যে 1428 (47.2%)টি অভিযোগই ছিল গার্হস্থ্য হিংসা ।

অন্যদিকে , জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী , এই সময়ের মধ্যে মোট 4233 টি অভিযোগ করা হয়েছে , যার মধ্যে প্রায় 20.6 শতাংশ (514) ছিল গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ । এপ্রিল মাসে NCW-তে 999 টি অভিযোগের মধ্যে 51.45% (514) গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ছিল । সেক্ষেত্রে মে মাসে মোট 2028 টি অভিযোগের মধ্যে 45.07 (914) শতাংশ ছিল গার্হস্থ্য হিংসার ।

লকডাউনের আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে জানুয়ারিতে 1462 টি অভিযোগের মধ্যে 18.54 শতাংশ গার্হস্থ্য হিংসার । ফেব্রুয়ারিতে সেই অভিযোগ ছিল 21.21 শতাংশ(1424 টি অভিযোগের মধ্যে 302টি) এবং মার্চে ছিল 22.21 শতাংশ ( 1347টি অভিযোগের মধ্যে 298টি) ।

Last Updated : Jul 24, 2020, 2:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.