দিল্লি, 30 জুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজএকটি বৈঠকে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন। বৈঠকেতিনি জানান, কোরোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দাম যেন সকলের সামর্থের মধ্যে থাকে।
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনপ্রস্তুতি নিয়ে আজ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেনতিনি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দেওয়া যথেষ্টগুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় যেমন, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার, ওষুধের সাপ্লাই চেইন, এই কাজের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থারমধ্যে সমন্বয়, বেসরকারিক্ষেত্র ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা সম্পর্কেও নজর রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর থেকে বলা হয়, দেশজুড়েএই প্রচেষ্টাকে সফল করতে প্রধানমন্ত্রী চারটি নীতিমালার কথা উল্লেখ করেছেন।প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিতবলে জানান। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বলতে তিনি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথম সারির কোরোনাযোদ্ধা এবং জনসাধারণের মধ্যে যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের নির্দেশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীরআরেকটি নীতি হল, যেকোনোমানুষকে যেকোনো স্থানে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আবাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধআরোপ করা চলবে না। প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় নীতি হল ভ্যাকসিনটি অবশ্যই যেন সকলেরসাধ্যের মধ্যে থাকে এবং কেউ যেন বাদ না পড়েন।
চতুর্থনীতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, উৎপাদন থেকে টিকাকরণের সমগ্র প্রক্রিয়াটির উপর প্রযুক্তিরসাহায্যে পর্যবেক্ষণ ও সমর্থন করা উচিত।
সময়োপযোগীটিকাকরণের এই জাতীয় প্রচেষ্টায় সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদেরবিস্তৃত পদ্ধতিতে উপলভ্য প্রযুক্তির বিকল্পগুলির মূল্যায়ন করার জন্য নির্দেশদিয়েছেন। বিশাল আকারে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য অবিলম্বে বিশদ পরিকল্পনা করারনির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।