লখনউ,23 মে : মদের দোকান খুললে মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে কেন ? লকডাউন চললেও অনেক রাজ্যে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের দোকান খোলা হয়েছে । এমনকি অনেক রাজ্যে খোলা হয়েছে মদের দোকানও । রাজ্য সরকার রাজস্ব আদায়ের জন্য মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। অথচ বন্ধ রাখা হয়েছে মন্দির, গির্জা, মসজিদ, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানগুলি । সামাজিক দূরত্ব মেনে খুলে দেওয়া হোক মন্দির-মসজিদও । এমনই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কংগ্রেস সভাপতি মুকেশ সিং চৌহান ।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীকে এজন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুকেশ । তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে যদি বিভিন্ন দোকানের সঙ্গে মদের দোকানও খোলা হতে পারে তাহলে মন্দির মসজিদ বা অন্যন্য ধর্মীয় স্থানগুলি বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন ? এইসব ধর্মীয় স্থানও একইভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলার অনুমতি দিতে তিনি যোগী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ।
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কংগ্রেস সভাপতি মুকেশ সিং চৌহানের যুক্তি, ভারত নানা ধর্মের দেশ । এখানে মানুষ বিশ্বাস করেন, ঈশ্বরের উপাসনার মাধ্যমে নিজেদের কষ্ট দূর হতে পারে । কিন্তু মন্দির সহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনা স্থান বন্ধ থাকার কারণে মানুষ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারছেননা । সেজন্য লকডাউনের নিয়ম মেনে মন্দির মসজিদের দরজাও খুলে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন চৌহান । তিনি রাজ্যের প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলিকে খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ।
চৌহান বলেন, স্যানিটাইজার মেশিন সরকারি দপ্তরে যেমন রাখা হয়, তেমনভাবে প্রধান উপাসনালয়গুলিতে প্রবেশ পথে রাখতে হবে । তিনি আরও বলেছিলেন, যদি মদের দোকানগুলি চালু করা যায় তবে একইভাবে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জাও সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলির পুরোপুরি মেনে খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত।
মুকেশ সিং চৌহানের মতো একই দাবি করেছেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের মহন্ত নরেন্দ্র গিরি । যোগী সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, গত দুমাস ধরে মন্দির বন্ধ থাকার কারণে পুরোহিত এবং মন্দিরের অন্যান্য কর্মীদের জীবিকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে । সরকার যদি রাজস্ব আদায়ের জন্য মদের দোকান খোলার অনুমতি দিতে পারে তাহলে একই কারণে মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে কেন? সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরের পুরোহিতও যেমন থাকবেন সেরকম ভাবে ভক্তরাও সেই নিয়ম মানবে ।