দিল্লি , 3 নভেম্বর : প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভঢরার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টও না কি হ্যাক করা হয়েছে ! শুধু প্রিয়াঙ্কা নন, আরও তিন কংগ্রেস নেতা-নেত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টও না কি হ্যাক করা হয়েছে ৷ আর এই ঘটনার পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । কংগ্রেসের তরফে আজ এই অভিযোগ করা হয়েছে ৷ গতকাল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ আনেন ৷
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, "যাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ কম্পানির তরফে মেসেজ পাঠানো হয়েছে ৷ এইরকম একটি মেসেজ পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কাও ৷ " যদিও প্রিয়াঙ্কার তরফে জানানো হয়েছে, তিনি মেসেজটিকে গুরুত্ব দেননি, তাই সেটি ডিলিট করে দিয়েছেন ৷
গত সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক ইজ়রায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা NSO-র বিরুদ্ধে মামলা করে । অভিযোগ, NSO-এর স্পাইওয়্যার পেগাসাস-এর মাধ্যমে 20টি দেশের 1400 জন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল । তাঁদের মধ্যে ভারতের 121 জন সাংবাদিক, আইনজীবী, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক নেতা ও আমলা রয়েছেন ৷
NSO-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল পেগাসাস স্পাইওয়্যারটির লাইসেন্স শুধুমাত্র বৈধ কিছু সরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ৷ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পাশাপাশি ফোনের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালাতে সক্ষম পেগাসাস ৷ NSO-র স্পাইওয়্যারটি সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ দমনের কাজে ব্যবহার হওয়ার কথা ৷ অন্য কোনও নজরদারির কাজে এই স্পাইওয়্যারটির ব্যবহার নিষিদ্ধ ৷ NSO-র তরফে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, এই স্পাইওয়্যার মানবাধিকার লঙ্ঘন করার জন্য তৈরি হয়নি ৷ অন্যদিকে যাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল, তাদের তালিকা হোয়াটসঅ্যাপের তরফে প্রকাশ করা হয়নি ৷ তবে তাঁদের প্রত্যেককে আলাদা মেসেজ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের ৷