হায়দরাবাদ, 24 জানুয়ারি : 1 ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট ৷ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ কী কী থাকতে পারে এই বাজেটে ? কোন জিনিসের দাম বাড়তে পারে, বা কোন জিনিসের দাম কমতে পারে সেদিকে নজর থাকবে আম জনতার ৷
11 বছরে খুবই ধীরগতিতে এগোচ্ছে ভারতের অর্থনীতি ৷ বিগত চার দশকে বেড়েছে বেকারত্বের মাত্রাও ৷ আকাশ ছুঁয়েছে সবজির দামও ৷ বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্রে, কৃষিতে বা গ্রামের উন্নয়নের জন্য স্বল্প প্রশিক্ষিত শ্রমিকের পরিমাণ তিন শতাংশেরও কম পরিমাণে অগ্রগতি হয়েছে ৷
সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, গ্লোবাল সোশাল মোবিলিটি ইন্ডেক্স ও বিশ্ব অর্থনীতি মঞ্চের অক্সফাম রিপোর্ট পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দিয়েছে, ভারতের সম্পদ তৈরির হার ক্রমশ কমছে ৷ এছাড়া ধনী-দরিদ্রদের মধ্যে বিভাজন কমানোর জন্যও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ৷
এর থেকে বেরোনোর রাস্তা কী ?
বেশি সরকারি ব্যয় এটির একটি সমাধান হতে পারে ৷ এমনকী, যখন বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মিললেও মানুষের অপর্যাপ্ত কেনার ক্ষমতার কারণেও অর্থনীতিতে ধীরগতি এসেছে ৷ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের আস্থা কমেছে, কারখানাগুলিতে উৎপাদন কমেছে ৷ যার এক কথায় অর্থ, বাজারে চাহিদা কমেছে ৷ অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় উত্তরণেই এর সমাধান সম্ভব ৷
2019 সালে আর্থিক মন্দা কাটাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নিজে থেকেই পদক্ষেপ করে ৷ তারা রেপো রেট 135 পয়েন্ট কমিয়ে দেয় ৷ যাতে বাড়ি, গাড়ির ঝণে সুদের হার কমার সম্ভাবনা বাড়ে ৷
আর্থিক মন্দা
সোজা কথায়, একটি আর্থিক বছরে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ এই আর্থিক মন্দাকেই ইঙ্গিত করে ৷ এটি আয় ও ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য ৷ আরও বেশি সরকারি ব্যয় এই আর্থিক মন্দাকে বাড়িয়ে দিতে পারে ৷ এর ফলে মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে ৷ অর্থনীতিতে আরও বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷
নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যয় প্রয়োজন
আমাদের ব্যয় করা উচিত কি না সে বিষয়ে ধারণা থাকা উচিত ৷ তারপরই প্রশ্ন আসে কোথায় ব্যয় করতে হবে ৷ কৃষি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সরকার আরও বিনিয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে ৷ 2012-2018 সালের মধ্যে কৃষি ক্ষেত্র থেকে হওয়া আয়ের GDP-র শতকরা 3.1 শতাংশে নেমে গেছিল যা 2002-2011 সালের মধ্যে 4.4 শতাংশ ছিল ৷ কৃষি ক্ষেত্রে আয়ে এই ধরনের হ্রাস গ্রহণযোগ্যতাকে কমিয়ে দেয় ৷ আয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করাই প্রধান কাজ ৷
গ্রামীণ কাঠামো ও সাপ্লাই চেইনে বিনিয়োগের মাধ্যমে মান বৃদ্ধি হতে পারে ৷ এর ফলে শুধুমাত্র কাঠামোতেই উন্নতি হবে তা নয়, দেশের গ্রামীণ দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাবে, যা অর্থনীতিতে সাহায্য করবে ৷ এটিই উপযুক্ত সময় ব্যয় করার ও সঠিক ব্যয় করার ৷
ডঃ মহেন্দ্র বাবু কুরুবা, সহ অধ্যাপক, এইচ এন বি গারওয়াল সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরাখণ্ড