ETV Bharat / bharat

ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে রাজি উভয়ই, বৈঠক শেষে জানাল বিদেশমন্ত্রক

সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা । এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । শেষে গতকাল দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয় ৷ আজ ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দুই দেশই শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে রাজি ৷

ভারত-চিন সীমান্ত
ভারত-চিন সীমান্ত
author img

By

Published : Jun 7, 2020, 12:24 PM IST

দিল্লি, 7 জুন : ভারত ও চিন উভয়ই "বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে" রাজি ৷ আজ এমনই জানানো হল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে ৷গতকালেই পূর্ব লাদাখের কাছে দুই দেশের তরফে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় ৷

ভারতের তরফেই প্রথম বৈঠকের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল ৷ গতকাল পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চিনের দিকে মালদোতে এই বৈঠক হয় ৷ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, "এটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশের মধ্যে হয়েছে ৷ উভয় পক্ষই বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে রাজি এবং ভারত-চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে নেতাদের মধ্যে হওয়া চুক্তির কথা মাথায় রেখে তারা রাজি হয়েছে ৷"

গতকালের এই বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন 14 কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং ৷ চিনের তরফে বৈঠকে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি জেলার কমান্ডার ৷ এর আগে বহুবার রিজিওনাল মিলিটারি কমান্ডাররা স্থানীয় স্তরে বৈঠক করলেও তাতে কোনও ইতিবাচক সমাধান মেলেনি ৷

বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, "উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের 70 বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বছর ৷ উভয়ই তাদের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য সমাধানে রাজি হয়েছে ৷" সরকারের তরফে আরও জানানো হয়, দিল্লি ও বেজিং সীমান্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে ৷ পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে সীমান্ত ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলতে থাকবে ৷

সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। চিন নিজেদের LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল । এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশনকে দিয়ে LAC-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে । কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা । রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা । এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা । এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । পরে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নর্দার্ন কম্যান্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন । এর কয়েকদিন পরই সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ।

স্থল সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি । আলাদা করে তিন সেনার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী । সেদিনই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল । এর মাঝে ট্রাম্পের টুইট ঘিরেও বিস্তর জল্পনা শুরু হয় । ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ।

ভারত-চিন সীমান্তে 3,488 কিলোমিটার বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিস্তার রয়েছে ৷ উভয় দেশের তরফেই সীমান্ত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান মুলতুবি রেখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে রাজি হয়েছে ৷

দিল্লি, 7 জুন : ভারত ও চিন উভয়ই "বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে" রাজি ৷ আজ এমনই জানানো হল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে ৷গতকালেই পূর্ব লাদাখের কাছে দুই দেশের তরফে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় ৷

ভারতের তরফেই প্রথম বৈঠকের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল ৷ গতকাল পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চিনের দিকে মালদোতে এই বৈঠক হয় ৷ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, "এটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশের মধ্যে হয়েছে ৷ উভয় পক্ষই বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে রাজি এবং ভারত-চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে নেতাদের মধ্যে হওয়া চুক্তির কথা মাথায় রেখে তারা রাজি হয়েছে ৷"

গতকালের এই বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন 14 কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং ৷ চিনের তরফে বৈঠকে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি জেলার কমান্ডার ৷ এর আগে বহুবার রিজিওনাল মিলিটারি কমান্ডাররা স্থানীয় স্তরে বৈঠক করলেও তাতে কোনও ইতিবাচক সমাধান মেলেনি ৷

বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, "উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের 70 বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বছর ৷ উভয়ই তাদের সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য সমাধানে রাজি হয়েছে ৷" সরকারের তরফে আরও জানানো হয়, দিল্লি ও বেজিং সীমান্তে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে ৷ পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে সীমান্ত ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলতে থাকবে ৷

সীমান্ত সমস্যার খবর প্রকাশ্যে আসে মে মাসের শুরুর দিকে। চিন নিজেদের LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)-এর পাশে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাস্তার কাজ শুরু করেছিল । এরপর ভারতও বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশনকে দিয়ে LAC-র পাশের নেটওয়ার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করে । কিন্তু তাতে বাধা দেয় চিনের সেনা । রুখে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা । এর জেরে লাদাখের তিন জায়গায় মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা । ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা । এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ গেছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে । পরে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নর্দার্ন কম্যান্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন । এর কয়েকদিন পরই সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ।

স্থল সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন তিনি । আলাদা করে তিন সেনার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী । সেদিনই এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান জেনেরাল বিপিন রাওয়াত ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল । এর মাঝে ট্রাম্পের টুইট ঘিরেও বিস্তর জল্পনা শুরু হয় । ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ।

ভারত-চিন সীমান্তে 3,488 কিলোমিটার বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিস্তার রয়েছে ৷ উভয় দেশের তরফেই সীমান্ত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান মুলতুবি রেখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে রাজি হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.