জয়পুর, 19 জুন : লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘর্ষের পরই আশঙ্কায় রয়েছেন সীমান্ত লাগোয়া একাধিক এলাকার বাসিন্দারা । দেশের পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া রাজস্থানের একাধিক এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, পরিস্থিতি তৈরি হলে সীমান্ত রক্ষায় তাঁরা তৈরি ।
জয়সলমের
রানাউ এবং গিরদুওয়ালা সীমান্তবর্তী গ্রাম । জয়সালমেরের জেলা সদর থেকে 100 কিমি দূরে অবস্থিত এই দু'টি গ্রাম । সেখান থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত প্রায় 30-40 কিমি দূরে । সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, যদিও এখনও পর্যন্ত পশ্চিম সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক । তবে বর্তমানে যা পরিস্থিতি তার মধ্যেও পাকিস্তান যেকোনও মুহূর্তে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে ।
80 বছরের বৃদ্ধ ভগবান সিং ETV ভারতকে বলেন, যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে গ্রামবাসীরা যতটা সম্ভব সাহায্য করেছিল । তিনি বলেন , "1965 এবং 1971-এর যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল । তখন কোনও যানবাহন ছিল না । পানীয় জল ছিল না । আমি ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে মিলে কুয়ো থেকে জল তুলতাম এবং উটের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কাছে তা পৌঁছে দিতাম । যদি সেরকম কোনও পরিস্থিতি আবার তৈরি হয় তাহলে আমি যে কোনও মূল্যে সেনাবাহিনীকে সাহায়্য করতে প্রস্তুত থাকব । "
বারমেঢ়
বারমেঢ়ের তমলোর হল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন একটি গ্রাম । যেখানে তাপমাত্রা 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস । ওই গ্রামের বাসিন্দা মিশরি সিংয়ের গলায় শোনা গেল প্রতিবাদের সুর । তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি বার্তা দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের মতো চিনকেও এই কাজের জন্য উপযুক্ত জবাব দিতে হবে ।
শ্রী গঙ্গানগর
এখানকার গ্রামবাসীদেরও একই বক্তব্য । তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকবে । তাঁরা সবসময় একসঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত ।
বিকানের
পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম খাজুয়ালা । সেখানকার বাসিন্দা নরেন্দ্র সারেলিয়া বলেন , "এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই । যদি কোনও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে সমস্ত নির্দেশাবলী অবিলম্বে অনুসরণ করা হবে এবং প্রয়োজনে আমরা সীমান্তে যেতে এবং দেশের হয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত । "