ETV Bharat / bharat

20 বছর ধরে নমুনা আগলে চিকিৎসক, চেয়ে দেখেনি সরকার

1984 সালের 2-3 ডিসেম্বর । ইউনিয়ন কার্বাইড প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক হয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল । আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় 5 লাখ মানুষ । চিকিৎসক ডি কে সতপথি তখন ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন । উঠে এল সেদিনের কথা ।

Bhopal gas tragedy
ছবি
author img

By

Published : Dec 3, 2019, 10:01 PM IST

Updated : Dec 3, 2019, 10:21 PM IST

ভোপাল, 3 ডিসেম্বর : 1984 সাল । সেদিনও রবিবার ছিল । ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল ভোপালে । আলো ঝলমলে সন্ধ্যায় হঠাৎই অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন মানুষজন । কয়েকজন হাঁপাতে শুরু করেন । কয়েকজন বমিও করছিলেন । তারপর শুরু হয় মৃত্যুলীলা । মিথাইল আয়সোসয়ানাইটের বিষবাষ্পে ঢেকে গেছিল শহর । বাকিটা মধ্যপ্রদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় । ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি । সেই দুঃস্বপ্নের রাতের 35 বছর আজ । তৎকালীন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডি কে সতপথির কথায় উঠে এল সেদিনের অজানা কথা । যা আজও সরকার-প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায় । চিকিৎসক সতপথির বক্তব্য, 20 বছর ধরে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির নমুনা আগলে রেখেছিলেন তিনি । ভেবেছিলেন এগুলি পরীক্ষা করে ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া যাবে । মোকাবিলা করা যাবে ভবিষ্যতের কোনও পরিস্থিতির । কিন্তু একবারও পরীক্ষা করে দেখেনি সরকার ।

1984 সালের 2-3 ডিসেম্বর । ইউনিয়ন কার্বাইড প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক হয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল । আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় 5 লাখ মানুষ । চিকিৎসক সতপথি তখন ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন । 3 ডিসেম্বর সকালে ফোন আসে । হঠাৎই খবর পান, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষে ভরে গেছে হাসপাতাল । অটোপসির জন্য ক্রমেই তাঁদের ডিপার্টমেন্টের উপর চাপ বাড়ছিল । সতপথি বলেন, "কয়েকজন হাঁফাচ্ছিল,কয়েকজন বমি করছিল এবং বেশিরভাগই কাঁদছিল । বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল । ওই দিনই মোট 876 টি অটোপসি হয়েছিল । অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় 36টি অটোপসি করা হয়েছিল ।"

image
ইউনিয়ন কার্বাইড প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক হয়

এরপর কেটে গেছে অনেক বছর । কিন্তু ভবিষ্যতের ভয়ঙ্কর পরিণামের কথা মাথায় রেখে গবেষণা চালিয়ে যান সতপথি । কুড়ি বছর ধরে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির শিকার হওয়া মানুষের নমুনা আগলে রাখেন । আশায় বুক বেঁধেছিলেন । ভেবেছিলেন তাঁর এই পরিশ্রম সার্থকরূপ পাবে একদিন । অটোপসির ওই নমুনাগুলি যেন সরকার খতিয়ে দেখে, পরীক্ষা করে সেজন্য একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন তিনি । বহু সরকারি সংস্থাকে চিঠিও লিখেছেন । আশায় ছিলেন, হয়ত সরকার নমুনাগুলি খতিয়ে দেখবে । এই পরীক্ষা থেকে সতর্ক হবে । ভবিষ্যতে যাতে এইরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় তার জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে পারবে । কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি । সদিচ্ছা দেখিয়ে জানতেও চায়নি কী ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভোপালবাসীরা ।

চিকিৎসক সতপথি বলেন, "20 বছর ধরে অপেক্ষা করেছি । -20 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় নমুনাগুলিকে সংরক্ষণ করাছিল । তখন আমাদের কাছে কোনও ধারণাই ছিল না যে, কী ভাবে মিথাইল আইসো সায়ানাইট শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে । আমরা প্রত্যেকটি রক্ত, এমন কী কলারও নমুনা নিয়েছিলাম । আমি জানতাম ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্তে এই নমুনাগুলি অপরিহার্য ছিল । বুঝতে পেরেছিলাম যারা বেঁচে আছে তাদের চিকিৎসায় এই পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু 2006 সালে একবার সারাদিন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হামিদিয়া হাসপাতাল । নষ্ট হয়ে যায় সমস্ত নমুনা । অনেক চেষ্টা করেছি । চিঠি দিয়েছি সরকারি সংস্থাগুলিকে । কিন্তু কেউ আসেনি ।"

image
আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় 5 লাখ মানুষ

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ত সব চাপা পড়ে গেছে । নমুনাগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আর সেভাবে কেউ গুরুত্বও দেয়নি । কিন্তু একটা ক্ষোভ, ব্যর্থতা যেন আজও তাড়া করে বেড়ায় চিকিৎসক সতপথিকে । কে জানে ? এই নমুনাগুলি হয়ত অনেক তথ্য দিতে পারত । যা ভবিষ্যতের কোনও ঘটনায় সাহায্য করত প্রশাসনকে ।

ভোপাল, 3 ডিসেম্বর : 1984 সাল । সেদিনও রবিবার ছিল । ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল ভোপালে । আলো ঝলমলে সন্ধ্যায় হঠাৎই অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন মানুষজন । কয়েকজন হাঁপাতে শুরু করেন । কয়েকজন বমিও করছিলেন । তারপর শুরু হয় মৃত্যুলীলা । মিথাইল আয়সোসয়ানাইটের বিষবাষ্পে ঢেকে গেছিল শহর । বাকিটা মধ্যপ্রদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় । ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি । সেই দুঃস্বপ্নের রাতের 35 বছর আজ । তৎকালীন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডি কে সতপথির কথায় উঠে এল সেদিনের অজানা কথা । যা আজও সরকার-প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায় । চিকিৎসক সতপথির বক্তব্য, 20 বছর ধরে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির নমুনা আগলে রেখেছিলেন তিনি । ভেবেছিলেন এগুলি পরীক্ষা করে ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া যাবে । মোকাবিলা করা যাবে ভবিষ্যতের কোনও পরিস্থিতির । কিন্তু একবারও পরীক্ষা করে দেখেনি সরকার ।

1984 সালের 2-3 ডিসেম্বর । ইউনিয়ন কার্বাইড প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক হয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল । আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় 5 লাখ মানুষ । চিকিৎসক সতপথি তখন ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন । 3 ডিসেম্বর সকালে ফোন আসে । হঠাৎই খবর পান, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষে ভরে গেছে হাসপাতাল । অটোপসির জন্য ক্রমেই তাঁদের ডিপার্টমেন্টের উপর চাপ বাড়ছিল । সতপথি বলেন, "কয়েকজন হাঁফাচ্ছিল,কয়েকজন বমি করছিল এবং বেশিরভাগই কাঁদছিল । বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল । ওই দিনই মোট 876 টি অটোপসি হয়েছিল । অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় 36টি অটোপসি করা হয়েছিল ।"

image
ইউনিয়ন কার্বাইড প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক হয়

এরপর কেটে গেছে অনেক বছর । কিন্তু ভবিষ্যতের ভয়ঙ্কর পরিণামের কথা মাথায় রেখে গবেষণা চালিয়ে যান সতপথি । কুড়ি বছর ধরে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির শিকার হওয়া মানুষের নমুনা আগলে রাখেন । আশায় বুক বেঁধেছিলেন । ভেবেছিলেন তাঁর এই পরিশ্রম সার্থকরূপ পাবে একদিন । অটোপসির ওই নমুনাগুলি যেন সরকার খতিয়ে দেখে, পরীক্ষা করে সেজন্য একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন তিনি । বহু সরকারি সংস্থাকে চিঠিও লিখেছেন । আশায় ছিলেন, হয়ত সরকার নমুনাগুলি খতিয়ে দেখবে । এই পরীক্ষা থেকে সতর্ক হবে । ভবিষ্যতে যাতে এইরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় তার জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে পারবে । কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি । সদিচ্ছা দেখিয়ে জানতেও চায়নি কী ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভোপালবাসীরা ।

চিকিৎসক সতপথি বলেন, "20 বছর ধরে অপেক্ষা করেছি । -20 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় নমুনাগুলিকে সংরক্ষণ করাছিল । তখন আমাদের কাছে কোনও ধারণাই ছিল না যে, কী ভাবে মিথাইল আইসো সায়ানাইট শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে । আমরা প্রত্যেকটি রক্ত, এমন কী কলারও নমুনা নিয়েছিলাম । আমি জানতাম ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্তে এই নমুনাগুলি অপরিহার্য ছিল । বুঝতে পেরেছিলাম যারা বেঁচে আছে তাদের চিকিৎসায় এই পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু 2006 সালে একবার সারাদিন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হামিদিয়া হাসপাতাল । নষ্ট হয়ে যায় সমস্ত নমুনা । অনেক চেষ্টা করেছি । চিঠি দিয়েছি সরকারি সংস্থাগুলিকে । কিন্তু কেউ আসেনি ।"

image
আক্রান্ত হয়েছিল প্রায় 5 লাখ মানুষ

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ত সব চাপা পড়ে গেছে । নমুনাগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আর সেভাবে কেউ গুরুত্বও দেয়নি । কিন্তু একটা ক্ষোভ, ব্যর্থতা যেন আজও তাড়া করে বেড়ায় চিকিৎসক সতপথিকে । কে জানে ? এই নমুনাগুলি হয়ত অনেক তথ্য দিতে পারত । যা ভবিষ্যতের কোনও ঘটনায় সাহায্য করত প্রশাসনকে ।

New Delhi, Dec 02 (ANI): Ace wrestler Sushil Kumar on December 2 expressed his disapproval on a particular scene in the movie 'Commando 3' in which schoolgirls get molested near 'akhada' by wrestlers. Condemning portrayal of wrestlers in movie, he said that the wrestlers are decent and disciplined. "The filmmakers haven't done research on how wrestlers conduct themselves," said Sushil Kumar.

Last Updated : Dec 3, 2019, 10:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.