দিল্লি, 13 অগাস্ট : সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহে পাঁচ দিনই অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ ধীরে ধীরে সবার বক্তব্যই শোনা হবে ৷ তাড়াহুড়োর কোনও ব্যাপার নেই ৷ সব পক্ষকেই স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বক্তব্য পেশ করতে হবে ৷ মঙ্গলবার অযোধ্যা মামলার শুনানি চলাকালীন এ কথা জানালেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ৷ প্রধান বিচারপতি আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ‘নিয়মিত’ অর্থাৎ পাঁচ দিনই মামলার শুনানি হবে । সেই মতোই চলছে শুনানি ৷ রামকে ঐতিহাসিক চরিত্র প্রমাণে রামলালার আইনজীবী সিএস বৈদ্যনাথন পৌরাণিক বিশ্বাসের নানা উদাহরণ শুনানিতে তুলে ধরেন আজ ৷
বৈদ্যনাথন বলেন, "দেবতার তিনটি ধারণা হয় ৷ মূর্তি, সম্পত্তি, স্থান মাহাত্ম্য বিশেষে সেটিও দেবত্ব লাভ করে ৷" তিনি বলেন, "অযোধ্যার ওই বিশেষ স্থানটিই তো স্বয়ং দেবতা ৷ তাই যৌথ অধিকারের কোনও ব্যাপারই নেই ৷" এর পরিপ্রেক্ষিতে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "স্থানটিই যে দেবতা, এটি বৈদ্যনাথনের দৃষ্টিতে চিরন্তন সত্য ৷ আবার, দেবতার স্থান বললে সেক্ষেত্রে অধিকারের প্রশ্ন আসে ৷ দু' রকম দৃষ্টিভঙ্গি তো থাকতে পারে না ৷
বৈদ্যনাথন বলেন, "দেবতা তো দেবতাই ৷ একে ভাগ করা যায় না ৷ মানুষের বিশ্বাস বা পবিত্র স্থান নিয়ে বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া যায় না৷" এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী এসএ বোবদের তরফে বলা হয়, "এখানে মন্দির ছিল, সেটা নেই ৷ কিন্তু দেবতা রয়ে গিয়েছেন ?" তখন বৈদ্যনাথনের যুক্তি ছিল, বিশ্বাসী ভক্তরা রয়েছেন ৷ এই প্রসঙ্গে কার্নেগির রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করে 'ইসলাম সম্প্রদায়ের মক্কার সমান হিন্দু অযোধ্যা' বলেও মন্তব্য করেন বৈদ্যনাথন ৷ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান বলেন, "বৈদ্যনাথনের মন্তব্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই ৷" তখন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, "যখন রাজীবকে প্রশ্ন করা হবে, তখন যেন তিনি একথা বলেন, প্রমাণও পেশ করেন যথাযথ ৷"
বৈদ্যনাথনকে প্রধান বিচারপতি বলেন, "কোনও তাড়াহুড়োর ব্যাপার নেই ৷ যা বলার বৈদ্যনাথন ধীরে ধীরে বলতে পারেন ৷"