দিল্লি, 13 জুন: রাজধানী দিল্লিতে দিন-দিন বেড়ে চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লির সরকার যদি কোরোনা পরিস্থিতিকে সামলাতে না পারে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ইস্তফা দেওয়া উচিত। ETV Bharat-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করলেন দিল্লির BJP সভাপতি আদেশ গুপ্তা। তিনি বলেন, “দিল্লির অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দিল্লি সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যদি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তা করতে না পারেন তাহলে তাঁকে এই পদ ছেড়ে দিতে বলব।”
তিনি আরও বলেন, “কোরোনা আক্রান্তদের নিম্নমানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ায় এবং কোরোনায় মৃতদের দেহ অশ্রদ্ধার সঙ্গে সৎকার করায় ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লি সরকারকে। হাসপাতালের অব্যবস্থা এবং নিম্নমানের চিকিৎসা পরিষেবার যে সমস্ত ছবি বাইরে এসেছে, তা খুবই লজ্জাজনক। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী AC ঘরে বসে সরকার চালাচ্ছেন। তাঁকে রাস্তায় নেমে কাজ করতে হয় না। দিল্লিতে রোগীরা হাসপাতালে বেড পাচ্ছেন না। সুপ্রিম কোর্ট নিজে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, যে দিল্লি সরকার এই পরিস্থিতিকে কতটা অসংবেদনশীলভাবে সামলাচ্ছে।”
কোরোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দিল্লি সরকারকে। দিল্লি সরকার জানিয়েছিল, মার্চ মাস থেকে 10 জুন পর্যন্ত রাজ্যে কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে 2,098 জনের। বাকি 984 জনের মৃত্যু কোরোনায় হয়নি। দিল্লির হাসপাতালগুলিতে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের হেনস্থা ও মৃতদেহের অমর্যাদার জন্য শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লি সরকারকে। পাশাপাশি কোরোনা পরীক্ষা কমে যাওয়া নিয়ে দিল্লি সরকারকে প্রশ্ন করে সু্প্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি S K কল এবং বিচারপতি M R শাহের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা দিল্লি সরকারের কাছে জানতে চান কেন দিল্লিতে কোরোনা পরীক্ষার সংখ্যা দিনে 7,000 থেকে 5,000-এ নেমে এল। শুক্রবার দেশে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখ। গত 28 ঘণ্টায় দেশজুড়ে কোরোনা পজিটি়ভ হয়েছে 10,000-র বেশি। যার মধ্যে দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন 2,137 জন।